ভুল চিকিৎসা, প্রেমে প্রতারিত, সেই আলোচিত নায়িকার করুণ মৃত্যু
Published: 13th, November 2025 GMT
তাঁর নাম হয়তো আজকের প্রজন্মের কাছে খুব পরিচিত নয়; কিন্তু একসময় তিনি ছিলেন মোহনলাল, মাম্মুট্টি, রজনীকান্তদের সহ-অভিনেত্রী—দক্ষিণ ভারতের আলোচিত অভিনেত্রী। ১৮ বছরের ক্যারিয়ারে প্রায় ৪০টি সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন তিনি। মালয়ালম, তামিল ও তেলেগু—তিন ভাষার সিনেমায় কাজ করেছেন সাফল্যের সঙ্গে; কিন্তু এক ব্যর্থ প্রেম তাঁর জীবনকে থামিয়ে দেয় অকালেই।
খ্যাতির শুরুর দিনগুলো
১৯৬৬ সালে জন্ম নেওয়া ভিজি আশ্বত ১৬ বছর বয়সে চলচ্চিত্রে পা রাখেন লেখক-পরিচালক গঙ্গাই আমারনের ‘কোজি কুভুথু’ (১৯৮২) সিনেমার মাধ্যমে। প্রভু, সুরেশ ও বিখ্যাত অভিনেত্রী সিল্ক স্মিতার সঙ্গে অভিনীত সেই সিনেমা ছিল হিট। সেখান থেকেই শুরু হয় ভিজির তারকাযাত্রা। পরের বছরই তিনি একাধিক ছবিতে অভিনয় করেন—বিজয়কান্তের ‘সাচ্চি’ ও ‘ডাওরি কল্যানাম’, কার্তিকের ‘ধুরম আধিঘামিল্লাই’—সব কটিই বাণিজ্যিকভাবে সফল।
এরপর ভিজি দক্ষিণ ভারতের বড় তারকাদের সঙ্গে কাজ করতে শুরু করেন। মোহনলালের সঙ্গে ‘উয়ারাঙ্গালিল’ ও ‘নায়কান’, মাম্মুট্টির সঙ্গে ‘অননুম মিনদাথা ভার্যা’ ও ‘সায়ম সন্ধ্যা’, রজনীকান্তের সঙ্গে ‘মিস্টার ভারত’ আর নন্দমুরি বালকৃষ্ণের সঙ্গে ‘সহাসামে জীবিতম’—সব কটি ছবিতেই ভিজির পারফরম্যান্স প্রশংসিত হয়। বিজয়কান্তের সঙ্গে তিনি আবারও জুটি বাঁধেন ‘নল্লা নাল’ ও ‘ইট্টি’ ছবিতে।
ভিজি আশ্বত। আইএমডিবি.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বিটিআরসির ৫৬৮ কোটি টাকা আত্মসাৎ মামলায় ১২ জনের জামিন বাতিল
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) ৫৬৮ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গুলশান থানায় করা মামলার ১২ জনের জামিন বাতিলের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ সাব্বির ফয়েজ আজ বৃহস্পতিবার এই আদেশ দিয়েছেন।
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, গত ২৭ অক্টোবর বিটিআরসির ৫৬৮ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও প্রতারণার অভিযোগে করা মামলায় ১২ জনের জামিন মঞ্জুর করেন ঢাকার সিএমএম আদালত। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে ১০ নভেম্বর তাঁদের জামিন বাতিল চেয়ে মহানগর দায়রা আদালতে রিভিশন দাখিল করা হয়। ওই দিন রিভিশন শুনানির জন্য আদালত আজকের দিন ধার্য করেন। আজ আদালত রিভিশন আবেদন মঞ্জুর করে ওই ১২ জনের জামিন বাতিলের আদেশ দেন।
জামিন বাতিল হওয়া আসামিরা হলেন আইজিডব্লিউ অপারেটরস ফোরাম (আইওএফ) নির্বাহী কমিটির সদস্য সৈয়দ মঈনুল হক, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আবদুল হান্নান, আশিক আহমেদ, গাজী মো. সালাহউদ্দিন, হাফিজুর রহমান, খালিদ ইসলাম, মো. মাহতাবুল আমিন, সোহেল শরীফ, তাজিন আলম, নাদির শাহ কোরেশী, মীর নাসির হোসেন ও সিসিও মুসফিক মনজুর।
এর আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর বিটিআরসির পক্ষে সংস্থাটির সিনিয়র সহকারী পরিচালক তৌফিকুল ইসলাম গুলশান থানায় প্রতারণার অভিযোগে মামলাটি করেন। মামলায় সালমান এফ রহমানসহ ২৭ জনকে আসামি করা হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, আইজিডব্লিউ অপারেটরস ফোরাম (আইওএফ) গঠনের পর প্রতিষ্ঠানগুলো লাইসেন্স এবং চুক্তির শর্ত ও বিশ্বাস ভঙ্গ করাসহ প্রতারণামূলকভাবে অর্থ আত্মসাৎ করে। নেটওয়ার্ক উন্নয়নে আদায় করা মার্কেট ডেভেলপমেন্ট ফান্ডের টাকা আত্মসাতে জড়িত ছিলেন আইওএফ কার্যনির্বাহী কমিটির এসব সদস্য। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আন্তর্জাতিক কল পরিচালনায় নিয়োজিত আন্তর্জাতিক গেটওয়ে খাত কুক্ষিগত করেন সালমান। তাঁর প্রত্যক্ষ নেতৃত্বে গড়ে ওঠে আইওএফ নামের এই সিন্ডিকেট।
এতে আরও বলা হয়, সালমান এফ রহমানের নির্দেশনায় প্রতি মাসে আইজিডব্লিউ অপারেটরদের বিপুল অঙ্কের অর্থ জমা দিতে হতো তাঁর মালিকানাধীন বেক্সিমকো কম্পিউটারস লিমিটেডে। অথচ এই প্রতিষ্ঠানের নামে আইজিডব্লিউ পরিচালনার কোনো লাইসেন্স নেই। মার্কেট ডেভেলপমেন্ট ফান্ডের নামে অর্থ সংগ্রহ করা হলেও এর প্রকৃত ব্যবহার সম্পর্কে অবগত নন খোদ আইজিডব্লিউ অপারেটররাই।
আরও পড়ুন১২ জনের জামিন বাতিলের আবেদন১০ নভেম্বর ২০২৫