Prothomalo:
2025-11-13@05:51:53 GMT

৪১৬ বছর বয়সী আঙুর গাছ

Published: 13th, November 2025 GMT

পাহাড়ের গা ঘেঁষে তিব্বতের পূর্বাঞ্চলের জুবা গ্রামের নির্জন উপত্যকায় দাঁড়িয়ে আছে এক প্রাচীন আঙুরগাছ—যার বয়স এখন প্রায় ৪১৬ বছর। চার শতাব্দীর ঝড়বৃষ্টি, তুষার আর সময়ের ভার উপেক্ষা করে টিকে আছে এই বুনো আঙুরগাছ। চলতি বছরের ২১ সেপ্টেম্বর গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস আনুষ্ঠানিকভাবে এটিকে বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীন জীবিত বুনো আঙুরগাছ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

গাছটির উচ্চতা প্রায় আট মিটার, গোড়ার পরিধি ২ মিটার ৯ সেন্টিমিটার, আর কাণ্ডের ব্যাস ৬৭ সেন্টিমিটার। চাংদু শহরের তৃতীয় ‘প্রাচীন বৃক্ষ জরিপে’ এটি প্রথম নজরে আসে। পরে চীনের সাউথওয়েস্ট ফরেস্ট্রি ইউনিভার্সিটির উড সায়েন্স রিসার্চ ল্যাবরেটরি বলয়বর্ষ পরীক্ষার মাধ্যমে গাছটির বয়স নিশ্চিত করে।

বিজ্ঞানীদের মতে, এ ধরনের আঙুরগাছ সাধারণত ৫০ বছরের বেশি টেকে না। এই জাতের শতবর্ষী গাছও বিরল। কিন্তু ঝুগাং কাউন্টিতে এখনো ১০০ বছরের বেশি বয়সী ৬৪টি আঙুরগাছ টিকে আছে। এটা বেশ বিস্ময়কর।

চায়নিজ একাডেমি অব অ্যাগ্রিকালচারাল সায়েন্সেসের ইনস্টিটিউট অব ফ্রুট ট্রিজের ডেপুটি ডিরেক্টর ওয়াং হাইবো বলেন, ২ হাজার ৪০০ মিটার উচ্চতায় চার শতাব্দীর বেশি পুরোনো বুনো আঙুরগাছের সন্ধান পাওয়া প্রকৃতির ধৈর্য আর জীবনের টিকে থাকার অবিশ্বাস্য ক্ষমতার এক জীবন্ত সাক্ষ্য। এটি শুধু একটি বিশ্ব রেকর্ড নয়, যেন সময়েরই এক জীবন্ত দলিল।

এর আগে স্লোভেনিয়ার মারিবোর শহরের বিখ্যাত ‘দ্য ওল্ড ভাইন’ আঙুরগাছের বয়স ১৯৭২ সালের গবেষণায় ৩৫০ থেকে ৪০০ বছর বলে ধারণা করা হয়েছিল। কিন্তু তিব্বতের এই বুনো আঙুরগাছ সেই রেকর্ডকেও ছাড়িয়ে গেছে।

তিব্বতের এই অঞ্চলে মদ তৈরির ঐতিহ্যও বেশ পুরোনো। প্রায় এক হাজার বছরের পুরোনো সাহিত্যকর্ম ‘দ্য এপিক অব কিং গেসার’-এ এই অঞ্চলে আঙুরচাষের উল্লেখ পাওয়া যায়। ২০০৪ সালে ঝুগাং অঞ্চলকে ‘চীনের বুনো লাল আঙুরের জন্মস্থান’ ঘোষণা করা হয়। দুই দশক পর সেই একই অঞ্চলের নাম আবার উঠে এসেছে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে।

বিজ্ঞানীরা বলেন, আঙুরগাছের বলয়বর্ষ শুধু সময়ের হিসাবই রাখে না, বরং এটি স্থানীয় আবহাওয়ার ইতিহাস সম্পর্কেও ধারণা দেয়। কোন বছর ঠান্ডা ছিল, কোন বছর উষ্ণ ছিল, খরা বা বৃষ্টির অবস্থান কেমন ছিল—তা–ও আঙুরগাছের বলয়বর্ষ থেকে জানা যায়।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র কর ড র বয়স বছর র

এছাড়াও পড়ুন:

৪১৬ বছর বয়সী আঙুর গাছ

পাহাড়ের গা ঘেঁষে তিব্বতের পূর্বাঞ্চলের জুবা গ্রামের নির্জন উপত্যকায় দাঁড়িয়ে আছে এক প্রাচীন আঙুরগাছ—যার বয়স এখন প্রায় ৪১৬ বছর। চার শতাব্দীর ঝড়বৃষ্টি, তুষার আর সময়ের ভার উপেক্ষা করে টিকে আছে এই বুনো আঙুরগাছ। চলতি বছরের ২১ সেপ্টেম্বর গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস আনুষ্ঠানিকভাবে এটিকে বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীন জীবিত বুনো আঙুরগাছ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

গাছটির উচ্চতা প্রায় আট মিটার, গোড়ার পরিধি ২ মিটার ৯ সেন্টিমিটার, আর কাণ্ডের ব্যাস ৬৭ সেন্টিমিটার। চাংদু শহরের তৃতীয় ‘প্রাচীন বৃক্ষ জরিপে’ এটি প্রথম নজরে আসে। পরে চীনের সাউথওয়েস্ট ফরেস্ট্রি ইউনিভার্সিটির উড সায়েন্স রিসার্চ ল্যাবরেটরি বলয়বর্ষ পরীক্ষার মাধ্যমে গাছটির বয়স নিশ্চিত করে।

বিজ্ঞানীদের মতে, এ ধরনের আঙুরগাছ সাধারণত ৫০ বছরের বেশি টেকে না। এই জাতের শতবর্ষী গাছও বিরল। কিন্তু ঝুগাং কাউন্টিতে এখনো ১০০ বছরের বেশি বয়সী ৬৪টি আঙুরগাছ টিকে আছে। এটা বেশ বিস্ময়কর।

চায়নিজ একাডেমি অব অ্যাগ্রিকালচারাল সায়েন্সেসের ইনস্টিটিউট অব ফ্রুট ট্রিজের ডেপুটি ডিরেক্টর ওয়াং হাইবো বলেন, ২ হাজার ৪০০ মিটার উচ্চতায় চার শতাব্দীর বেশি পুরোনো বুনো আঙুরগাছের সন্ধান পাওয়া প্রকৃতির ধৈর্য আর জীবনের টিকে থাকার অবিশ্বাস্য ক্ষমতার এক জীবন্ত সাক্ষ্য। এটি শুধু একটি বিশ্ব রেকর্ড নয়, যেন সময়েরই এক জীবন্ত দলিল।

এর আগে স্লোভেনিয়ার মারিবোর শহরের বিখ্যাত ‘দ্য ওল্ড ভাইন’ আঙুরগাছের বয়স ১৯৭২ সালের গবেষণায় ৩৫০ থেকে ৪০০ বছর বলে ধারণা করা হয়েছিল। কিন্তু তিব্বতের এই বুনো আঙুরগাছ সেই রেকর্ডকেও ছাড়িয়ে গেছে।

তিব্বতের এই অঞ্চলে মদ তৈরির ঐতিহ্যও বেশ পুরোনো। প্রায় এক হাজার বছরের পুরোনো সাহিত্যকর্ম ‘দ্য এপিক অব কিং গেসার’-এ এই অঞ্চলে আঙুরচাষের উল্লেখ পাওয়া যায়। ২০০৪ সালে ঝুগাং অঞ্চলকে ‘চীনের বুনো লাল আঙুরের জন্মস্থান’ ঘোষণা করা হয়। দুই দশক পর সেই একই অঞ্চলের নাম আবার উঠে এসেছে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে।

বিজ্ঞানীরা বলেন, আঙুরগাছের বলয়বর্ষ শুধু সময়ের হিসাবই রাখে না, বরং এটি স্থানীয় আবহাওয়ার ইতিহাস সম্পর্কেও ধারণা দেয়। কোন বছর ঠান্ডা ছিল, কোন বছর উষ্ণ ছিল, খরা বা বৃষ্টির অবস্থান কেমন ছিল—তা–ও আঙুরগাছের বলয়বর্ষ থেকে জানা যায়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ