থাইল্যান্ডের রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন ইউহুয়া আগামী বুধবার (১৯ নভেম্বর) চীন সফরে যাচ্ছেন। ১৯৭৫ সালে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের পর কোনো থাই রাজার এটিই প্রথম চীন সফর হতে যাচ্ছে।

উভয় দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকী উদযাপনের জন্য চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের আমন্ত্রণে এই সফর এসেছে। চীন কয়েক বছর ধরে এই সফরের জন্য চাপ দিচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। খবর বিবিসির।

আরো পড়ুন:

ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষর

থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া শান্তি চুক্তির জন্য মালয়েশিয়া সফরে ট্রাম্প

থাইল্যান্ড এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ সামরিক মিত্র, তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনের সঙ্গে সম্পর্ক ক্রমাগতভাবে ঘনিষ্ঠ হয়েছে।

অন্যদিকে থাইল্যান্ডের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে মার্কিন সমালোচনা ও বাণিজ্য শুস্ক আরোপের ঘটনায় দেশটির অনেকেই বিভ্রান্ত। তারা মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্র তার এশিয়ান মিত্রদের কাছে আগের মতো প্রতিশ্রুতিবদ্ধ নয়।

থাই সরকার এক বিবৃতিতে বলেছে, এই সফর ‘সব স্তরে থাইল্যান্ড ও চীনের মধ্যে ভাগ করা গভীর-মূল বন্ধুত্ব ও পারস্পরিক বোঝাপড়ার উপর ভিত্তি করে’।

রাজধানী বেইজিং ভ্রমণের সময় থাই রাজা ও তার স্ত্রী রানী সুথিদা লিংগুয়াং বৌদ্ধ মন্দির এবং বেইজিং এরোস্পেস সিটির মতো স্থানীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো পরিদর্শন করবেন।

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও তার স্ত্রী থাই রাজপরিবারের জন্য একটি রাষ্ট্রীয় ভোজও আয়োজন করবেন।

চীন থাইল্যান্ডের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার এবং সামরিক সরঞ্জামের সরবরাহকারী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান প্রতিদ্বন্দ্বী।

থাইল্যান্ডের সঙ্গে চীনের সম্পর্কের গুরুত্ব চলতি বছরের শুরুতে স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল, যখন থাই সরকার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সতর্কতা উপেক্ষা করে ৪০ জন উইঘুর আশ্রয়প্রার্থীকে চীনে ফেরত পাঠিয়েছিল।

তারপরে আগস্ট মাসে ব্যাংককের প্রধান শিল্পকলা কেন্দ্রে উইঘুর ও তিব্বতি শিল্পীদের সমন্বিত একটি প্রদর্শনী চীনা কূটনীতিকদের অভিযোগের পর সেন্সর করা হয়েছিল।

থাই রাজা ভাজিরালংকর্ন ৯ বছর আগে সিংহাসনে বসার পর এটি হতে যাচ্ছে তার প্রথম বড় রাষ্ট্রীয় সফর। এর আগে এপ্রিল মাসে তিনি ভুটানে প্রথম বিদেশ সফর করেছিলেন।

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

ট্রাম্পের এনএফএল অ্যাডভেঞ্চার: স্টেডিয়ামে শুনলেন দুয়ো

চার দশকের বেশি সময় পর প্রথমবারের মতো মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ন্যাশনাল ফুটবল লিগের (এনএফএল) নিয়মিত মৌসুমের ম্যাচ দেখতে মাঠে গেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। রোববার মেরিল্যান্ডের ম্যাচটিতে মুখোমুখি হয় ওয়াশিংটন কমান্ডার্স ও ডেট্রয়েট লায়ন্স। তবে মাঠে গিয়ে খেলা দেখতে যাওয়ার অভিজ্ঞতাটা ট্রাম্পের জন্য সুখকর হয়নি।

খেলার প্রথমার্ধের শেষ দিকে বড় পর্দায় ট্রাম্পকে দেখানো হলে গ্যালারির অনেক দর্শক তাকে উদ্দেশ করে দুয়ো দিতে শুরু করেন। সে সময় তিনি মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার মাইক জনসনের সঙ্গে একটি স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে ছিলেন। বিরতির সময় স্টেডিয়ামের ঘোষক যখন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের উপস্থিতির কথা জানান, তখনো গ্যালারির একাংশ থেকে একই প্রতিক্রিয়া শোনা যায়।

এর আগে বিমান থেকে নামার পর সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, ‘আমি একটু দেরি করে ফেলেছি।’ এরপর তিনি বুলেটপ্রুফ গাড়িতে চড়ে স্টেডিয়ামের পথে রওনা দেন। ট্রাম্প বলেন, ‘খেলাটা দারুণ হবে। সবকিছু ভালোই চলছে। দেশও ভালো আছে।’

আরও পড়ুনশান্তি পুরস্কার নিয়ে আসছে ফিফা, প্রথমবার কি ডোনাল্ড ট্রাম্প পাবেন০৬ নভেম্বর ২০২৫

ট্রাম্প মাঠে পৌঁছানোর আগেই, ম্যাচের প্রথম কোয়ার্টারে লায়ন্সের রিসিভার আমন-রা সেন্ট ব্রাউন টাচডাউন করেন। এরপর তিনি গ্যালারির দিকে ইশারা করে হাত নেড়ে উদযাপন করেন, যা ছিল ‘ট্রাম্প ড্যান্স’-এর আদলে। গত বছর কয়েকজন খেলোয়াড় এই উদ্‌যাপনকে জনপ্রিয় করে তোলেন।

চেনা পোজে ডোনাল্ড ট্রাম্প

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সাফারি পার্কে উগান্ডার জাতীয় পাখি ‘গ্রে ক্রাউন্ড ক্রেন’ ছানার জন্
  • ফ্লাইট মিস করার পর ঢাকায় পা রাখলেন হামজা
  • দিনভর ঘোরাঘুরি–সেলফি, শেষে গান–নাচ
  • ট্রাম্পের এনএফএল অ্যাডভেঞ্চার: স্টেডিয়ামে শুনলেন দুয়ো