ভারতীয় বাংলা টিভি সিরিয়ালের জনপ্রিয় জুটি সুস্মিতা দে ও সাহেব ভট্টাচার্য। ‘কথা’ ধারাবাহিকের শুটিং করতে গিয়ে এ জুটির প্রেমের গুঞ্জন চাউর হয়। এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে বরাবরই তা এড়িয়ে গিয়েছেন তারা। 

সম্পর্কের প্রশ্ন উঠলেই এড়িয়ে যাওয়ার পথ বেছে নেন সাহেব-সুস্মিতা। তবে যেকোনো অনুষ্ঠানে হাতে হাত রেখে চলতে দেখা গিয়েছে তাদের। কিছু দিন ধরে টলিপাড়ায় গুঞ্জন উড়ছে, ‘কথা’ ধারাবাহিক শেষ হওয়ার পরই বাগদান সেরেছেন এই যুগল। 

আরো পড়ুন:

অভিনেত্রী সালি কর্কল্যান্ড মারা গেছেন

মেয়েকে নিয়ে বাজে কথা বলা পারিবারিক মানসিক অসুস্থতা: স্পর্শিয়া

ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে বলেন, “এই ছুটিতেই সাহেব-সুস্মিতার ‘পাকাদেখা’ হয়েছে। এরই মাঝে আংটিবদলও সেরেছেন তারা।”  

বাগদানের খবরটি কী সত্যি? এ প্রশ্নের উত্তর জানতে সুস্মিতার সঙ্গে যোগাযোগ করে ভারতীয় একটি গণমাধ্যম। জবাবে তিনি বলেন, “সবাই কি পাগল হয়ে গিয়েছে! সবটাই ভুল খবর। দুর্গাপূজার সময়ের একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলাম; সেটা দেখেই হয়তো সবাই এসব ভেবেছেন।” 

শোনা যাচ্ছে, সুস্মিতা নতুন ধারাবাহিকে অভিনয় করতে যাচ্ছেন। এ বিষয়ে সুস্মিতা দে বলেন, “আগের ধারাবাহিকের রেশ কাটার আগেই কী করে নতুন ধারাবাহিকের শুটিং শুরু করব? এটা কী কেউ করে?” 

পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে সুস্মিতা দে বলেন, “আমি এখন ছুটি উপভোগ করছি। ঘুমাচ্ছি, প্রচুর সিনেমা দেখছি। এদিক-সেদিক বেড়াতে যাচ্ছি। এখনই নতুন ধারাবাহিক শুরু করার কোনো পরিকল্পনা নেই।” 

ভারতীয় বাংলা টিভি সিরিয়ালের অন্যতম পরিচিত মুখ সুস্মিতা দে। এর আগে অনির্বাণ রায়ের সঙ্গে বাগদান সেরেছিলেন তিনি। জি বাংলার রিয়েলিটি শো ‘ঘরে ঘরে জি বাংলা’। এ অনুষ্ঠানের মঞ্চে অনির্বাণকে হবু স্বামী হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন এই অভিনেত্রী। কয়েক বছরের মধ্যে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করার পরিকল্পনাও করেছিলেন। তবে গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে অনির্বাণ জানান, ভেঙে গেছে তাদের সম্পর্ক।

অনেক দর্শকপ্রিয় টিভি সিরিয়ালে অভিনয় করেছেন সুস্মিতা দে। এ তালিকায় রয়েছে—‘কথা’, ‘পঞ্চমী’, ‘বউমা একঘর’, ‘অপরাজিত অপু’ প্রভৃতি। 

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট ভ ন টক চলচ চ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

অঙ্গীকার করেছিলাম, যত শক্তিশালী হোক না কেন, প্রাপ্য বুঝিয়ে দেওয়া হবে: তাজুল ইসলাম

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেছেন, ‘আশা করছি,... ১৭ নভেম্বর আদালত তাঁর সুবিবেচনা, তাঁর প্রজ্ঞা প্রয়োগ করবেন। একটি সঠিক রায়ের মাধ্যমে বাংলাদেশে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের একটা ইতি ঘটাবেন।’

আজ বৃহস্পতিবার জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির মামলার রায় আগামী সোমবার (১৭ নভেম্বর) হবে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল রায়ের এই দিন নির্ধারণ করেন।

এই ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন, বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

পরে ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে ব্রিফিং করেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, 'আমরা অঙ্গীকার করেছিলাম যে যারাই বাংলাদেশে যত শক্তিশালী হোক না কেন, যদি কেউ অপরাধ করে, মানবতাবিরোধী অপরাধ করে, তাদের সঠিক পন্থায় বিচারের মুখোমুখি করা হবে এবং তাদের আইন অনুযায়ী যে প্রাপ্য সেটা তাদের বুঝিয়ে দেওয়া হবে। সেই প্রক্রিয়ায় আমরা একটা দীর্ঘ যাত্রা শেষ করেছি।'

ট্রাইব্যুনাল এখন চূড়ান্ত পর্বে উপনীত হয়েছে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, ‘এই জাতির যে বিচারের জন্য আকাঙ্ক্ষা, যে তৃষ্ণা, সেটার প্রতি তাঁরা সুবিচার করবেন এবং এবং ভবিষ্যতের জন্য এই রায়টি ইনশা আল্লাহ দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে, তেমন একটি রায় আমরা প্রত্যাশা করছি।'

আরও পড়ুনশেখ হাসিনাসহ তিন আসামির মামলার রায় সোমবার১ ঘণ্টা আগে

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘আসামিদের বিরুদ্ধে গত বছরের জুলাই এবং আগস্টে মাসে সংঘটিত যে ম্যাসাকার (হত্যাকাণ্ড) এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ, সেই অপরাধের দায়ে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়েছিল। দীর্ঘ পথপরিক্রমা শেষে, সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে, উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে, সেই মামলাটি এখন রায়ের জন্য প্রস্তুত হয়েছে। আজকে আদালত এই মামলাটির রায় ঘোষণার জন্য আগামী ১৭ নভেম্বর সোমবার দিন নির্ধারিত করেছেন। ইনশা আল্লাহ, আগামী ১৭ নভেম্বর সোমবার এই মামলাটির রায় ঘোষিত হবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ