আওয়ামী লীগের ঘোষিত লকডাউন কর্মসূচির বিরুদ্ধে রংপুরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ইসলামী ছাত্রশিবির কারমাইকেল কলেজ শাখার নেতাকর্মীরা। এতে ফ্যাসিবাদ বিরোধী সাধারণ শিক্ষার্থীরাও অংশ নেন।

বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে কলেজের প্রধান ফটক থেকে মিছিলটি বের হয়ে লালবাগ খামারমোড় এলাকা প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় কলেজ গেটে এসে শেষ হয়। 

মিছিলে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা আওয়ামী লীগের কর্মসূচিকে ‘চোরা গোপ্তা’ আখ্যা দিয়ে রাজপথে প্রতিহত করার ঘোষণা দেন।

একই সাথে তারা জুলাই গণহত্যার দায়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সংশ্লিষ্টদের বিচারের রায় দ্রুত ঘোষণারও দাবি জানান।

প্রতিবাদী শিক্ষার্থীরা জানান, রংপুরে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ কোনো ধরনের নাশকতা বা বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করলে তা প্রতিহত করতে প্রস্তুত আছে ছাত্রজনতা।

এতে বক্তব্য রাখেন, রংপুর কারমাইকেল কলেজের শিক্ষার্থী, সাজ্জাদ হোসেন, মোয়াজ মিয়া প্রমুখ।

এদিকে একই সময়ে রংপুর প্রেসক্লাবের সামনে লকডাউন বিরোধী বিক্ষোভ করেছে স্থানীয় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এতে বক্তব্য রাখেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা নাহিদ হাসানসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

এসময় তারা বলেন, বিদেশে থেকে শেখ হাসিনা ও তার দোসরা সোশ্যাল মিডিয়ায় লকডাউনের নামে চোরা গোপ্তা নাশকতার কর্মসূচি দিয়েছে। বাংলার জনগণ এসব কর্মসূচিকে রুখে দিতে সোচ্চার রয়েছে। শুধু ঢাকার রাজপথ নয় রংপুরেও আবু সাঈদের সহযোগ করা আওয়ামী লীগের কোনরূপ সন্ত্রাসবিরোধী কর্মকাণ্ড রুখে দিতে সদা জাগ্রত রয়েছে এবং থাকবে বলেও জানান তারা।

ঢাকা/আমিরুল/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

রানের পাহাড়ে চড়ে গলায় রেকর্ডের মালায়

আয়ারল‌্যান্ডের ঢিলেঢালা বোলিংয়ে ব‌্যাটিংটা হলো একেবারে যুৎসই। প্রভাব বিস্তার করে অনায়েসে রান তুলেছেন ব‌্যাটসম‌্যানরা। সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন দুজন। সুযোগ ছিল আরো। হয়নি। তাতে কি? স্কোরবোর্ডে বিশাল পুঁজি পেয়ে বড় কিছু রেকর্ডে নিজেদের যুক্ত করেছেন জয়, সাদমান, লিটন, শান্তরা।

সিলেটে আয়ারল‌্যান্ডকে ২৮৬ রানে থামিয়ে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে তুলেছে ৮ উইকেটে ৫৮৭ রান। লিড পেয়েছে ৩০৭ রানের। স্কোরবোর্ডে তিনশ রানের লিডে চোখ ছিল দলের। নয়তো দ্বিতীয়বারের মতো টেস্টে ৬০০ করার সুযোগ হাতছাড়া করতো না কোনোভাবেই।

আরো পড়ুন:

আয়ারল্যান্ড শিবিরে প্রথম আঘাত রানার

আয়ারল‌্যান্ডের ঢিলেঢালা বোলিংয়ে বাংলাদেশের ‘রান উৎসব’

রান পাহাড়ে চড়ে বেশ কিছু অর্জনে নিজেদের জড়িয়ে নিয়েছে দল। সেগুলোতেই চোখ বুলানো যাক—

এক.
টেস্ট ক্রিকেটে এটি বাংলাদেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ। সর্বোচ্চ সংগ্রহ ৬৩৮। গলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২০১৩ সালে করেছিল বাংলাদেশ। এরপর ২০১৭ সালে ওয়েলিংটনে বাংলাদেশ নিউ জিল‌্যান্ডের বিপক্ষে ৮ উইকেটে ৫৯৫ রান করেছিল। সিলেটে বাংলাদেশ আজ ইনিংস ঘোষণা করে ৫৮৭ রানে।

দুই.
দেশের মাটিতে এটি আবার সর্বোচ্চ সংগ্রহ। দেশের মাটিতে এর আগে সর্বোচ্চ রান ছিল ৬ উইকেটে ৫৬০। ২০২০ সালে মিরপুরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এই রান করেছিল দল।

তিন.
১১৭.৩ ওভারে বাংলাদেশের দলীয় রান ৫০০ ছুঁয়ে ফেলে। টেস্ট ক্রিকেটে যা বাংলাদেশের দ্রুততম দলীয় ৫০০ রান। এর আগে ২০১৭ সালে ১২১.২ ওভারে দলীয় ৫০০ পেরিয়েছিল বাংলাদেশ। ম‌্যাচটি হয়েছিল ওয়েলিংটনে, নিউ জিল‌্যান্ডের বিপক্ষে।

চার.
নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে প্রথম চার ব্যাটসম্যানেরই ফিফটি করার ঘটনা এবারই প্রথম বাংলাদেশের। জয় করেছেন ১৭১ রান। সাদমান ইসলাম ৮০ রানে থেমে যান। মুমিনুল হক করেছেন ৮২ রান। এরপর নাজমুল হোসেন শান্তর ব‌্যাট থেকে আসে ১০০ রান। পাঁচে নামা মুশফিকুর রহিম ২৩ এবং ছয়ে লিটন নেমে আগ্রাসী ক্রিকেট খেলে করেন ৬০ রান। প্রথম ছয় ব‌্যাটসম‌্যানের পাঁচজনের ফিফটি পাওয়ার ঘটনাও এবারই প্রথম।

পাঁচ.
কমপক্ষে ৫০০ দলীয় রান হয়েছে এমন ইনিংসে রান রেটে এবারের ইনিংসই এগিয়ে। এই ইনিংসের রান রেট ৪.১৬। এর আগে একবারই রান রেট ৪ ছুঁয়েছিল। ২০১৫ সালে খুলনায় পাকিস্তানের বিপক্ষে ছিল ৪.০৮।

ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ