ইরানের ওপর ফের নতুন করে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয় এ ঘোষণা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ইরানের সরকারি বার্তা সংস্থা মেহের।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ অফিস অব ফরেন অ্যাসেটস কন্ট্রোল (ওএফএসি) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও মানববিহীন বিমান (ইউএভি) উৎপাদনকে সহায়তা দেওয়া একাধিক ক্রয় নেটওয়ার্কে জড়িত ৩২ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

মার্কিন ইতিহাসের দীর্ঘতম শাটডাউন অবসানে বিলে স্বাক্ষর করলেন ট্রাম্প

ক্যারিবীয় সাগরে বিশ্বের বৃহত্তম যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করল যুক্তরাষ্ট্র

ওএফএসির দাবি, এই নেটওয়ার্কের সদস্যরা বিভিন্ন দেশ থেকে প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ, উপকরণ এবং প্রযুক্তি সংগ্রহ করে ইরানের প্রতিরক্ষা শিল্পে সরবরাহ করছিলেন। ফলে এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য হলো ইরানের সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধির সেই আন্তর্জাতিক সরবরাহ শৃঙ্খলকে ভেঙে দেওয়া।

মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়ের সরকারি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, নিষেধাজ্ঞার আওতাভুক্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলো ইরান ছাড়াও সংযুক্ত আরব আমিরাত, তুরস্ক, চীন, হংকং, ভারত, জার্মানি ও ইউক্রেনে অবস্থিত। অর্থাৎ, ইরানের প্রতিরক্ষা প্রকল্পে সহায়তা করার জন্য একটি বিস্তৃত আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নেটওয়ার্ক কাজ করছে বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর সম্পদ জব্দ করা হবে এবং যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কোনো সংস্থা বা ব্যক্তি তাদের সঙ্গে আর্থিক লেনদেন করতে পারবে না।

ওয়াশিংটনের এই অভিযোগ ও নিষেধাজ্ঞার জবাবে তেহরান দৃঢ় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বারবার বলেছে, তাদের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন কর্মসূচি সম্পূর্ণরূপে প্রতিরক্ষামূলক উদ্দেশ্যে এবং তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ প্রকৃতির।

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য ক তর ষ ট র য ক তর ষ ট র

এছাড়াও পড়ুন:

তেল, ছোলা, চিনিসহ ১০ পণ্য আমদানিতে ব্যবসায়ীদের মার্জিন–সুবিধা বাড়ল

পবিত্র রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের পর্যাপ্ত সরবরাহ বজায় রাখতে ১০টি পণ্য আমদানিতে ঋণপত্র (এলসি) খোলার সময় নগদ মার্জিন ন্যূনতম পর্যায়ে রাখার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর ফলে এসব পণ্যের সরবরাহ বাড়বে, কমতে পারে দামও। গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ–সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ব্যাংকার–গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে চাল, গম, পেঁয়াজ, ডাল, ভোজ্যতেল, চিনি, ছোলা, মটর, মসলা ও খেজুর—এই ১০ পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় নগদ মার্জিন সর্বনিম্ন পর্যায়ে রাখতে হবে। নির্দেশনাটি তাৎক্ষণিক কার্যকর হবে এবং ২০২৬ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বহাল থাকবে।

এর আগে পবিত্র রমজান মৌসুমে কিছু পণ্যের আমদানিতে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত নগদ মার্জিন বাধ্যতামূলক ছিল। পরবর্তী সময়ে বাজার পরিস্থিতি ও চাহিদা বিবেচনায় ব্যাংকার–গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে মার্জিনের হার কমানোর সুযোগ দেওয়া হয়, যা সর্বশেষ ২০২৫ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বলবৎ ছিল।

নতুন নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, অভ্যন্তরীণ বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে ব্যাংকগুলোকে সংশ্লিষ্ট পণ্যের আমদানি ঋণপত্র স্থাপনে অগ্রাধিকার দিতে হবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পবিত্র রমজান মাসে এসব পণ্যের চাহিদা সাধারণত অনেক বেড়ে যায়। তাই বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ বজায় রাখা ও মূল্য সহনীয় রাখতে আমদানি সহজীকরণের লক্ষ্যে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে; যার মাধ্যমে পুরো দেশের জনগণ উপকৃত হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ভারতে মূল্যস্ফীতি শূন্যের কাছাকাছি, বাংলাদেশে ৮ শতাংশের বেশি
  • চীন থেকে সরবরাহব্যবস্থা সরিয়ে নিচ্ছে জিএম
  • নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি: ৯০ দিনে অর্থ পরিশোধের সুযোগ
  • নিত্যপণ্যের বাজার স্বাভাবিক রাখতে সবাইকে দায়িত্বশীল থাকার আহ্বান
  • সিঙ্গাপুর থেকে চাল ও দুবাই থেকে সয়াবিন তেল কিনবে সরকার
  • তেল, ছোলা, চিনিসহ ১০ পণ্য আমদানিতে ব্যবসায়ীদের মার্জিন–সুবিধা বাড়ল
  • ধামরাই বাজারে চাল-ডাল স্থিতিশীল, বেড়ছে সবজি-আলু-পেঁয়াজের দাম
  • টেলিভিশনে ভোজ্যতেল উদ্ধারের নাটক প্রচার করা হয়: বাণিজ্য উপদেষ্টা
  • জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় ১৮ প্রকল্প অনুমোদন