অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলিউডের বরেণ্য অভিনেতা ধর্মেন্দ্র। কয়েক দিন হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর গতকাল বাসায় ফিরেছেন এই অভিনেতা। বাসায় রেখেই এখন তার চিকিৎসা চলছে। তবে খুব কঠিন সময় পার করছেন বলে মন্তব্য করেছেন ধর্মেন্দ্রর স্ত্রী হেমা মালিনী।   

ধর্মেন্দ্রর স্বাস্থ্যের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে হেমা মালিনী বলেন, “সময়টা আমার জন্য সহজ না। ধর্মজির স্বাস্থ্যের অবস্থা আমাদের সবার জন্য বড় চিন্তার বিষয়। তার সন্তানেরা রাতের পর রাত জেগে আছে। আমি দুর্বল হতে পারি না, আমার ওপর অনেক দায়িত্ব।” 

আরো পড়ুন:

বিয়ের নির্ধারিত মেয়াদ থাকা উচিত: কাজল

অসুস্থ গোবিন্দর পাশে কেন ছিলেন না তার স্ত্রী?

সবার কাছে দোয়া চেয়ে হেমা মালিনি বলেন, “তবে হ্যাঁ, আমি খুশি কারণ উনি বাড়িতে ফিরেছেন। আমরা সবাই স্বস্তি পেয়েছি, উনি এখন হাসপাতালের বাইরে। উনার প্রিয়জনদের মাঝে থাকা খুব দরকার। বাকি সব উপরওয়ালার হাতে। দয়া করে আমাদের জন্য প্রার্থনা করবেন।” 

কয়েক দিন ধরে মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন বর্ষীয়ান অভিনেতা ধর্মেন্দ্র। গত ১১ নভেম্বর সকালে সর্বত্র তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ে। পরে ধর্মেন্দ্রর মেয়ে এষা দেওল ও স্ত্রী হেমা মালিনী এক পোস্টের মাধ্যমে কিংবদন্তি এই অভিনেতার মৃত্যুর গুজব উড়িয়ে দেন। তারা জানান, ধর্মেন্দ্রর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। গতকাল সকালে তাকে ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতাল থেকে ডিসচার্জ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। 

১৯৩৫ সালে পাঞ্জাবের লুধিয়ানায় জন্মগ্রহণ করেন ধর্মেন্দ্র। দরিদ্র কৃষক পরিবারের সন্তান হয়েও ছোটবেলা থেকেই সিনেমার প্রতি ছিল তার প্রবল টান। ১৯৬০ সালে ফিল্মফেয়ার ট্যালেন্ট প্রতিযোগিতায় জিতে মুম্বাইয়ে তার আগমন। সেখান থেকেই শুরু ইতিহাস। 

‘ফুল আউর পাথর’ (১৯৬৬) সিনেমায় অভিনয় করে বলিউডে অ্যাকশন নায়কে পরিণত হন ধর্মেন্দ্র। পরের দুই দশকে তিনি হয়ে ওঠেন হিন্দি সিনেমার এক অপ্রতিরোধ্য মুখ। ‘শোলে’, ‘চুপকে চুপকে’, ‘জাদুগর’, ‘ধর্ম বীর’, ‘দোস্ত’, ‘আনপড়’, ‘মেরা গাঁও মেরা দেশ’ প্রতিটি চলচ্চিত্রেই নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করেন এই অভিনেতা। 

ধর্মেন্দ্রর জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হেমা মালিনীকে ঘিরে। ১৯৮০ সালে বিয়ে করেন এই জুটি। তাদের বিয়ের গল্প সিনেমার কাহিনিকে হার মানাবে। তারা একসঙ্গে ৩০টির বেশি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। ‘সীতা আউর গীতা’, ‘ড্রিমগার্ল’, ‘শরীফ বদমাশ’, ‘জুগনু’, ‘দোস্ত’ এখনো জনপ্রিয়। 

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

অসুস্থ ধর্মেন্দ্রকে নিয়ে হেমা মালিনী বললেন, সব উপরওয়ালার হাতে

অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলিউডের বরেণ্য অভিনেতা ধর্মেন্দ্র। কয়েক দিন হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর গতকাল বাসায় ফিরেছেন এই অভিনেতা। বাসায় রেখেই এখন তার চিকিৎসা চলছে। তবে খুব কঠিন সময় পার করছেন বলে মন্তব্য করেছেন ধর্মেন্দ্রর স্ত্রী হেমা মালিনী।   

ধর্মেন্দ্রর স্বাস্থ্যের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে হেমা মালিনী বলেন, “সময়টা আমার জন্য সহজ না। ধর্মজির স্বাস্থ্যের অবস্থা আমাদের সবার জন্য বড় চিন্তার বিষয়। তার সন্তানেরা রাতের পর রাত জেগে আছে। আমি দুর্বল হতে পারি না, আমার ওপর অনেক দায়িত্ব।” 

আরো পড়ুন:

বিয়ের নির্ধারিত মেয়াদ থাকা উচিত: কাজল

অসুস্থ গোবিন্দর পাশে কেন ছিলেন না তার স্ত্রী?

সবার কাছে দোয়া চেয়ে হেমা মালিনি বলেন, “তবে হ্যাঁ, আমি খুশি কারণ উনি বাড়িতে ফিরেছেন। আমরা সবাই স্বস্তি পেয়েছি, উনি এখন হাসপাতালের বাইরে। উনার প্রিয়জনদের মাঝে থাকা খুব দরকার। বাকি সব উপরওয়ালার হাতে। দয়া করে আমাদের জন্য প্রার্থনা করবেন।” 

কয়েক দিন ধরে মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন বর্ষীয়ান অভিনেতা ধর্মেন্দ্র। গত ১১ নভেম্বর সকালে সর্বত্র তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ে। পরে ধর্মেন্দ্রর মেয়ে এষা দেওল ও স্ত্রী হেমা মালিনী এক পোস্টের মাধ্যমে কিংবদন্তি এই অভিনেতার মৃত্যুর গুজব উড়িয়ে দেন। তারা জানান, ধর্মেন্দ্রর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। গতকাল সকালে তাকে ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতাল থেকে ডিসচার্জ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। 

১৯৩৫ সালে পাঞ্জাবের লুধিয়ানায় জন্মগ্রহণ করেন ধর্মেন্দ্র। দরিদ্র কৃষক পরিবারের সন্তান হয়েও ছোটবেলা থেকেই সিনেমার প্রতি ছিল তার প্রবল টান। ১৯৬০ সালে ফিল্মফেয়ার ট্যালেন্ট প্রতিযোগিতায় জিতে মুম্বাইয়ে তার আগমন। সেখান থেকেই শুরু ইতিহাস। 

‘ফুল আউর পাথর’ (১৯৬৬) সিনেমায় অভিনয় করে বলিউডে অ্যাকশন নায়কে পরিণত হন ধর্মেন্দ্র। পরের দুই দশকে তিনি হয়ে ওঠেন হিন্দি সিনেমার এক অপ্রতিরোধ্য মুখ। ‘শোলে’, ‘চুপকে চুপকে’, ‘জাদুগর’, ‘ধর্ম বীর’, ‘দোস্ত’, ‘আনপড়’, ‘মেরা গাঁও মেরা দেশ’ প্রতিটি চলচ্চিত্রেই নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করেন এই অভিনেতা। 

ধর্মেন্দ্রর জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হেমা মালিনীকে ঘিরে। ১৯৮০ সালে বিয়ে করেন এই জুটি। তাদের বিয়ের গল্প সিনেমার কাহিনিকে হার মানাবে। তারা একসঙ্গে ৩০টির বেশি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। ‘সীতা আউর গীতা’, ‘ড্রিমগার্ল’, ‘শরীফ বদমাশ’, ‘জুগনু’, ‘দোস্ত’ এখনো জনপ্রিয়। 

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ