ইসলামিক সলিডারিটি গেমসে ভারোত্তোলনে তিন ব্রোঞ্জের পর এবার ন্যূনতম রুপার পদক নিশ্চিত করল বাংলাদেশ। সৌদি আরবের ‎রিয়াদে আজ টেবিল টেনিসের মিশ্র দ্বৈতে বাহরাইনকে ৩–১ সেটে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছেন জাবেদ আহমেদ ও খই খই মারমা জুটি।

আজ বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে আটটায় ফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ তুরস্ক। তাদের হারাতে পারলে সোনার পদক জিতবেন জাবেদ ও খই খই, হারলেও তাঁদের রুপা নিশ্চিত।

গতকাল গায়ানার বিপক্ষে জিতে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছিল বাংলাদেশ। একই দিন কোয়ার্টার ফাইনালে মালদ্বীপের বিপক্ষে জয় বাংলাদেশকে তুলে দেয় সেমিফাইনালে। সেখানেই আজ চার সেটের তিনটিতে (১৩-১১, ৭-১১, ১২-১০, ১১-৩) জিতেছেন জাভেদ–খই। নিয়মানুযায়ী সেমিফাইনালে উঠেই অন্তত ব্রোঞ্জ জয় নিশ্চিত করে লাল–সবুজের দল। তবে ব্রোঞ্জ নয়, বাংলাদেশের সামনে এখন সোনার হাতছানি।

এবারের প্রতিযোগিতায় এখন পর্যন্ত তিনটি ব্রোঞ্জ, একটি রুপা নিশ্চিত হয়েছে বাংলাদেশের। টেবিল টেনিস ছাড়া অন্য তিনটি ব্রোঞ্জ এসেছে ভারোত্তোলন থেকে।
ভারোত্তোলনের ৫৩ কেজি ওজন শ্রেণিতে স্ন্যাচ, ক্লিন অ্যান্ড জার্ক ও টোটাল (দুই লিফটের যোগফল) তিন ক্যাটাগরিতে তিনটি পদক জেতেন বাংলাদেশের মারজিয়া আক্তার।

৭ নভেম্বর শুরু হওয়া এই প্রতিযোগিতা চলবে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত। এবারের আসরে বিশ্বের ৫৭ দেশের প্রায় ৩ হাজার ক্রীড়াবিদ পদকের জন্য লড়ছেন। যার মধ্যে বাংলাদেশ থেকে অংশ নিয়েছেন ১০ খেলার ৩৬ জন অ্যাথলেট।

ইসলামিক সলিডারিটি গেমসে এ নিয়ে অন্তত ১১টি পদক জিতেছে বাংলাদেশ। ২০২২ সালে তুরস্কে হওয়া এই গেমসে আর্চারি থেকে এক রুপা, দুই ব্রোঞ্জ পেয়েছিল বাংলাদেশ। ২০১৭ সালে আজারবাইজানের বাকুতে শুটিং থেকে একটি করে সোনা, রুপা, ব্রোঞ্জ ও রেসলিং থেকে একটি ব্রোঞ্জপদকও এসেছিল।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ফ ইন ল

এছাড়াও পড়ুন:

পেঁয়াজের দামে উদ্বেগ নেই, আমদানি প্রয়োজন হবে না: কৃষি উপদেষ্টা

স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, “পেঁয়াজের দামে উদ্বেগ নেই, আমদানি প্রয়োজন হবে না।”

বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

আরো পড়ুন:

চাঁপাইনবাবগঞ্জে পেঁয়াজের দামে সেঞ্চুরি

১৩ দিন চালু থাকার পর আবারো পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ

উপদেষ্টা বলেন, “পেঁয়াজের দাম সামান্য বেড়েছে, কিন্তু আমাদের উদ্বেগের কিছু নেই। আমরা এ বছর অনেকগুলো হাইফ্লো মেশিন দিয়েছি, ফলে আমদানির প্রয়োজন হয়নি। বাজারে সরবরাহ ভালো আছে।” 

তিনি যোগ করেন, “আমাদের দেশে এখন পেঁয়াজ উৎপাদন পর্যাপ্ত। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী দাম বাড়ানোর চেষ্টা করছে, তবে তারা সফল হবে না। আমরা নজরদারি করছি।”

তিনি বলেন, “সরকারের পদক্ষেপ, বিশেষ করে হাইফ্লো মেশিন বিতরণ, স্থানীয় কৃষি উৎপাদন বাড়াতে সহায়ক হয়েছে এবং এর ফলে আমদানির ওপর চাপ কমেছে। দেশীয় উৎপাদন দিয়েই ভোক্তাদের চাহিদা পূরণ সম্ভব হবে এবং বাজারে স্থিতিশীলতা বজায় থাকবে।”

সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে উপদেষ্টা জানিয়ে দেন যে যারা অনৈতিকভাবে দাম বাড়ানোর চেষ্টা করছে তাদের ওপর তদারকি বাড়ানো হবে এবং প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে যাতে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি না হয়।

ঢাকা/আসাদ/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ