পার্বত্য চট্টগ্রামের একটি বনে চিতাবাঘের সন্ধান পেয়েছে ক্রিয়েটিভ কনজারভেশন এলায়েন্স (সিসিএ) নামের বন্যপ্রাণীবিষয়ক একটি সংস্থা। ক্যামেরার ফাঁদ পেতে তারা তুলেছে বাঘের ছবিও। এতে দেখা যায়, সংরক্ষিত একটি বনে স্বাধীনভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে চিতাবাঘ। সিসিএ তাদের ফেসবুক পেজে এই ছবি বুধবার প্রকাশ করেছে। তবে পার্বত্য চট্টগ্রামের কোন এলাকার বনে এই ছবি মিলেছে; নিরাপত্তাজনিত কারণে তা প্রকাশ করেনি তারা।

সিসিএর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহরিয়ার সিজার বুধবার রাতে গণমাধ্যমকে বলেন, জুন মাসে পার্বত্য চট্টগ্রামের একটি বনে এক চিতার দেখা মিলেছে। এক মাস আগে থেকে এই ক্যামেরা সেখানে স্থাপন করা হয়। এর মাধ্যমে আমরা নিশ্চিত হয়েছি, পার্বত্য চট্টগ্রামে চিতা বাঘ আছে। তবে বন্য প্রাণীর সঠিক ঠিকানা যাতে কেউ শিকারীরা না পায় সে কারণে এলাকার নাম প্রকাশ করিনি আমরা। তবে বুধবার রাতে ক্রিয়েটিভ কনজারভেশন অ্যালায়েন্সের ফেসবুক পেজে চিতা বাঘের দুটি ছবি দেওয়া হয়। সেটাতে দেখা যায়, বনের মধ্যে চিতা বাঘটি নিশ্চিন্তে ঘুরে বেড়াচ্ছে। 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আসা এক ভিডিওতে বাঘবিশেষজ্ঞ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এম মনিরুল এইচ খান বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের বনে চিতা থাকার খবরটা খুবই আশাপ্রদ। তবে কোন বনে কী সংখ্যক চিতা বাঘ রয়েছে, তা বলা কঠিন। 

তিনি জানান, যে চিতা বাঘটির ছবি বুধবার প্রকাশ করা হয়েছে, সেটিকে পূর্ণবয়স্ক মনে করছেন গবেষকেরা। তবে এটা নিয়ে আরও পর্যবেক্ষণ এবং গবেষণা চালানো দরকার। 

এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট বনটি বান্দরবানে বলে ধারণা করেছেন অনেকে। বান্দরবানের চিম্বুক রেঞ্জ, মোদক রেঞ্জ, রেং তলাং রেঞ্জের রাতের জঙ্গলে প্রায়শই অদ্ভুত পশুপাখির শব্দ শোনা যায় বলে মন্তব্য করেন অনেকে। এসব বনে বানর, মেছোবাঘ, ধূসর বনমোরগ আর সবুজ বোড়া সাপ দেখেছেন বলে উল্লেখ করেন বি ডি রায়হান নামের এক ব্যক্তি।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ফেসবুকে ভিডিওতে ‘জয় বাংলা, আমি শেখ হাসিনার লোক’, কিশোর গ্রেপ্তার

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের পক্ষে বিভিন্ন মন্তব্য করায় এক কিশোরকে (১৬) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সম্প্রতি ওই কিশোরের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। গতকাল শনিবার রাতে কুলাউড়া পৌর শহরের ভাঙারিপট্টি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার কিশোর স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে পড়ে। তার বাবা একটি সাজসজ্জা প্রতিষ্ঠানের কর্মী; মা বাসাবাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করেন। ভাঙারিপট্টি এলাকায় তাঁরা ভাড়া থাকেন। তাঁদের গ্রামের বাড়ি সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলায়।

ছড়িয়ে পড়া ৪৭ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, ওই কিশোর একটি কক্ষে চেয়ারে বসে আছে। সামনে টেবিল রাখা। পেছনের দেয়ালে বিএনপি নেতা প্রয়াত এম সাইফুর রহমানের ছবিসংবলিত একটি ব্যানার টানানো। ভিডিওতে সে বলে, ‘একমাত্র শেখ হাসিনা ছিলেন বাংলাদেশের একজন গর্বিত নারী। ইনশা আল্লাহ তিনি একদিন না একদিন ফিরে আসবেন। ইনশা আল্লাহ আওয়ামী লীগ আবার ফিরে আসবে। জয় বাংলা, জয় বাংলা। আমি শেখ হাসিনার লোক। গর্ব করে বলতে পারি আমি বঙ্গবন্ধুর সৈনিক। ইনশা আল্লাহ আবার দেখা হবে রাজপথে, ধন্যবাদ।’

পুলিশ জানায়, ফেসবুকে ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ায় গতকাল রাত ১০টার দিকে বাসায় অভিযান চালিয়ে ওই স্কুলছাত্রকে আটক করা হয়। পরে ২০২৪ সালে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগে কুলাউড়া থানায় করা একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। মামলার প্রতিবেদনে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় ফ্যাসিস্টের পক্ষে ওই স্কুলছাত্র সক্রিয় ছিল এবং তার বয়স ১৯ বছর উল্লেখ করা হয়েছিল।

কুলাউড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হাবিবুর রহমান বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই কিশোর না বুঝে এ কাজ করেছে বলে দাবি করেছে। তার মা যে বাসায় কাজ করেন ওই বাসার মালিকের ব্যক্তিগত কার্যালয়ে ভিডিওটি ধারণ করা হয়। তাকে মৌলভীবাজারের আদালতে পাঠানো হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ