বরিশালের জয়, তানভীরের ৭ উইকেট, ৭ মৌসুম পর আল আমিনের সেঞ্চুরি
Published: 25th, November 2025 GMT
তানভীরের ৭ উইকেট, বরিশালের দ্বিতীয় জয়
এবারের জাতীয় ক্রিকেট লিগে দ্বিতীয় জয় পেয়েছে বরিশাল বিভাগ। কক্সবাজার আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আজ ঢাকা বিভাগকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে তারা। দলের জয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন অধিনায়ক তানভীর ইসলাম।
ঢাকার দ্বিতীয় ইনিংসে ৬৪ রানে ৭ উইকেট নিয়েছেন এই বাঁহাতি স্পিনার। তাঁর ঘূর্ণি বলে দিশাহারা ঢাকা দ্বিতীয় ইনিংসে অলআউট হয় ১৬৯ রানে। ম্যাচ জিততে ১০২ রানের লক্ষ্য পায় বরিশাল। ৪ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যটা পেরিয়ে যায় তানভীরের দল।
ওপেনার ইফতিখার হোসেন ৫৭ রানে অপরাজিত থাকেন। প্রথম ইনিংসে ৭৮ রান করেছিলেন এই ম্যাচেই ১ হাজার রানের মাইলফলক ছোঁয়া ইফতিখার।
ম্যাচসেরার পুরস্কার নিচ্ছেন তানভীর ইসলাম.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সালথায় ধানখেত থেকে মেছো বিড়ালের তিনটি শাবক উদ্ধার
ফরিদপুরের সালথায় একটি ধানখেত থেকে মেছো বিড়ালের তিনটি শাবক উদ্ধার করা হয়েছে। ধান কাটার সময় এক কৃষক শাবকগুলো পাওয়ার পর বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করেন। লালন–পালনের পর বড় হলে অবমুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছে বন বিভাগ।
গত রোববার বিকেলে সালথা উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের নটখোলা গ্রামের কৃষক রাসেল মাতুব্বর তাঁর ধানখেত থেকে মেছো বিড়ালের শাবক তিনটি উদ্ধার করেন। পরদিন সোমবার দুপুরে শাবকগুলো তিনি ফরিদপুর বন বিভাগের কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করেন। বন বিভাগের তত্ত্বাবধানে আনুমানিক এক মাস বয়সী শাবকগুলোকে লালন–পালন করা হচ্ছে।
রাসেল মাতুব্বর বলেন, রোববার বিকেলে উপজেলার নটখোলা মাঠে ধান কাটার সময় খেতের মাঝে শাবকগুলো দেখতে পান। এ সময় মা মেছো বিড়াল দৌড়ে পালিয়ে যায়। ফাঁকা জায়গায় শাবকগুলো থাকায় তাঁর কাছে নিরাপদ মনে হয়নি। শাবকগুলো বাড়িতে নিয়ে আসেন। পরে বন বিভাগে খবর দেওয়া হয়।
ফরিদপুর বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, মেছো বিড়াল মূলত একটি ছোট প্রজাতির বিড়াল। ওজন ৫–১৬ কেজি। এরা প্রধানত দক্ষিণ এশিয়ার জলাভূমি এলাকায় বসবাস করে। দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ায় খুব কম পাওয়া যায়। খাটো গড়নের মেছো বিড়ালদের লেজও ছোট। সাঁতারের সুবিধার জন্য ব্যাঙের পায়ের মতো এদের পায়ের আঙুলের মাঝে আংশিকভাবে পাতলা ত্বকের সংযোগ আছে। এদের খাবার প্রধানত মাছ, জলাভূমির পাখি ও অন্যান্য ছোট জলজ প্রাণী। শরীরের রং ধূসর ও হলুদের মাঝে ছোট ছোট কালো ছোপ।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুর শহরতলির পূর্বগঙ্গাবর্দী সামাজিক বন বিভাগের ফরিদপুরের ফরেস্ট রেঞ্জার তাওহীদ হোসেন বলেন, বড় আকৃতির একটি খাঁচায় মোটা কাগজের কার্টনের মধ্যে খড় দিয়ে শাবক তিনটি রাখা হয়েছে। শাবকগুলো খুব ছোট। এ অবস্থায় ছেড়ে দেওয়া হলে সেগুলো বাঁচবে না। গতকাল মাছ দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু তা খায়নি। আজ থেকে এদের দুধ খাওয়ানো হচ্ছে। বেশ কিছুদিন লালন–পালন না করে শাবক তিনটি অবমুক্ত করার সুযোগ নেই। কিছুটা বড় হলে নিরাপদ স্থানে এদের অবমুক্ত করা হবে।