সুনামগঞ্জ-১ (ধর্মপাশা, জামালগঞ্জ, তাহিরপুর ও মধ্যনগর) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রর্থীর সমর্থনে এবং একই আসনে প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ মিছিল করেছেন দুই পক্ষের অনুসারীরা। আজ মঙ্গলবার বিকেলে সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার সদর বাজারে এসব কর্মসূচি পালিত হয়।

সুনামগঞ্জ-১ আসনে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আনিসুল হককে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এই আসনে দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য কামরুজ্জামান কামরুল।

দুই পক্ষের নেতা–কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সুনামগঞ্জ-১ আসনে আনিসুল হকের প্রার্থিতা পরিবর্তনের দাবিতে উপজেলা সদরের ধর্মপাশা সরকারি ডিগ্রি কলেজের মোড় থেকে কামরুজ্জামানের পক্ষে বেলা তিনটার দিকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। পরে সদর বাজারের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে মিছিলটি উপজেলা বিএনপির কার্যালয় প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়। সেখানে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মোহাম্মদ নেহাল উদ্দিনের সঞ্চালনায় সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নূরুল ইসলাম, সদস্য মজিবুর রহমান মজুমদার প্রমুখ। অপর দিকে উপজেলা সদরের উকিলপাড়া মোড় থেকে আনিসুল হকের সমর্থনে বিকেল চারটার দিকে আরেকটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি উপজেলা সদর বাজারের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা বিএনপির কার্যালয় প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়। সেখানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মামুনুর রশীদ, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হাদিছ মিয়া, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক নূরুল ইসলাম প্রমুখ।

আনিসুল হকের সমর্থনে ধর্মপাশা উপজেলা সদরে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ধর্মপাশা উপজেলা বিএনপির কার্যালয় প্রাঙ্গণে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স ন মগঞ জ ১ উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

তানোরে বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত ২০

রাজশাহীর তানোর উপজেলা সদরে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। 

মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনে বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন পাওয়া অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল শরীফ উদ্দিন ও মনোনয়নবঞ্চিত সুলতানুল ইসলাম তারেকের অনুসারীদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। সেখানে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, শরীফ উদ্দিনের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে সন্ধ্যায় উপজেলা সদরে মশাল মিছিল বের করেন সুলতানুল ইসলাম তারেকের অনুসারীরা। শরীফ উদ্দিনের অনুসারীরা তাতে ইট-পাটকেল ছোড়েন। এ সময় উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে দুই পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। কয়েকজনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

সুলতানুল ইসলাম তারেক সাংবাদিকদের বলেছেন, “তারা দল করে, আমরাও করি। প্রার্থী পছন্দ না হলে সারা দেশেই বিক্ষোভ হচ্ছে, আমাদের এখানেও হচ্ছে। আমার অনুসারীরাও সন্ধ্যায় প্রার্থী বদলের দাবিতে মশাল মিছিল বের করেন। এতে শরীফ সাহেবের অনুসারীরা হামলা করেছে।”

তিনি বলেন, “শরীফ সাহেব তানোর পৌরসভার সাবেক মেয়র ও বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান মিজানকে নির্দেশ দিয়েছেন, এলাকায় যেন কোনো বিক্ষোভ না হয়। তাই, মিজানের লোকজন এ হামলা করেছেন। আমরা এ ব্যাপারে অবশ্যই থানায় অভিযোগ দায়ের করব।”

সুলতানুল ইসলাম তারেক অভিযোগ করেছেন, তার অনুসারীদের বহনকারী অন্তত ১৮টি অটোরিকশা ভাঙচুর করা হয়েছে। এসব অটোরিকশায় চড়ে বিভিন্ন স্থান থেকে নেতাকর্মীরা উপজেলা সদরে গিয়েছিলেন। গাড়িগুলো ভাঙচুরের পর চাবি নিয়ে চলে গেছে।

এ বিষয়ে কথা বলতে সাবেক পৌর মেয়র মিজানুর রহমানকে ফোন করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি। ফোন ধরেননি তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেনও।

গোদাগাড়ী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মীর্জা মো. আব্দুস সালাম বলেছেন, “এখন যে কেউ মিছিল-মিটিং করতেই পারে। দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এলাকার পরিস্থিতি এখন শান্ত আছে। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ হলে পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।”

ঢাকা/কেয়া/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ