চাঁদা না পেয়ে শিল্প প্রতিষ্ঠানে হামলা, আটক ৫
Published: 25th, November 2025 GMT
জামালপুরের মেলান্দহে চাঁদা না পেয়ে গ্রিন বায়োটেকনোলজির কারখানায় হামলা করা হয়েছে। এ সময় সেখানে ফাঁকা গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ঘটনাস্থল থেকে পাঁচজনকে আটক করেছে মেলান্দহ থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে মেলান্দহ উপজেলার নাংলা ইউনিয়নের মুন্সী নাংলা এলাকায় ওই কারখানায় হামলা করা হয়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন—মেলান্দহ উপজেলার নাংলা ইউনিয়নের মুন্সী নাংলা গ্রামের জিয়াউর রহমানের মেয়ে জান্নাতুল হুমায়রা জেমি (২২), বরগুনার মরখালী গ্রামের আলমগীর হোসেনের ছেলে মো.
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার ভোরে জান্নাতুল হুমায়রা জেমি ও সামিউল ইসলাম জাম্বুর নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্রধারী একদল সন্ত্রাসী গ্রিন বায়োটেকনোলজি কারখানার সামনে ককটেল বিস্ফোরণ ও দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে আতঙ্কের সৃষ্টি করেন। পরে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে কারখানায় হামলা চালান তারা। গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণের শব্দে গ্রামবাসী এগিয়ে যান। পরে গ্রামবাসী দুষ্কৃতকারীদের ধাওয়া দেন। এ সময় তিনজনকে হাতে-নাতে আটক করা হয়। বাকিরা পালিয়ে যান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযান চালিয়ে ওই তিনজনসহ পাঁচজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যান। এর আগেও একাধিকবার ওই কারখানায় চাঁদা না পেয়ে সন্ত্রাসীরা ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের চেষ্টা করে।
গ্রিন বায়োটেকনোলজির ম্যানেজার নজরুল ইসলাম বলেছেন, “৫ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে আজ ভোরে পরিকল্পিতভাবে ওই সস্ত্রাসীরা রড, হকিস্টিক, পেট্রোল বোমা, ককটেল ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে কারখানায় হামলা চালিয়েছিল। প্রথমে তারা দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটনায়। পরে কারখানার ফটক ভাঙচুর করে। এর আগেও এই দলটিই চাঁদার দাবিতে হামলা চালিয়েছে। এ ঘটনায় থানায় আমরা মামলা দায়ের করব।”
তিনি আরো বলেন, “আমাদের এই প্রতিষ্ঠানটি শুধু মেলান্দহ নয়, বরং জামালপুর জেলার গ্রামীণ অর্থনীতি তথা সারা দেশেও কর্মসংস্থানে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। শত শত পরিবার এই কারখানার আয়ের ওপর নির্ভরশীল। অথচ, কিছু দুষ্কৃতকারীর অব্যাহত সন্ত্রাসে এই শিল্প কারখানা এখন ধ্বংসের হুমকির মুখে পড়েছে। এই ধরনের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ যদি দ্রুত বন্ধ না করা হয়, বড় বড় উদ্যোক্তারা উপজেলা শহরে এ ধরনের প্রতিষ্ঠান করা থেকে বিরত থাকবে।”
মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাস বলেন, অস্ত্রধারী একদল দুষ্কৃতকারী ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ওই কারখানার হামলার চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল ও এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। আটকের সময় দুষ্কৃতকারীরা পুলিশের কাজেও বাধা দিয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলছে।”
ঢাকা/শোভন/রফিক
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সন ত র স উপজ ল র
এছাড়াও পড়ুন:
জামালপুরে চাঁদা না পেয়ে কারখানায় ফাঁকা গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণ, গ্রেপ্তার ৫
জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় গ্রিন বায়োটেকনোলজি নামের একটি কারখানায় চাঁদা না পেয়ে ফাঁকা ও ককটেল বিস্ফোরণ করে হামলা চালিয়েছে একদল দুষ্কৃতকারী। মঙ্গলবার ভোরে উপজেলার নাংলা ইউনিয়নের মুন্সী নাংলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে গ্রামবাসীর সহায়তায় ঘটনাস্থল থেকে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার নাংলা ইউনিয়নের মুন্সী নাংলা গ্রামের জান্নাতুল হুমায়রা (২২), বরগুনার মরখালী গ্রামের মো. মাসুম (২৭), মেলান্দহের বাসুদেবপুর গ্রামের মোহাম্মদ সানি মিয়া (২২), একই উপজেলার বয়রাডাঙ্গা গ্রামের লিখন আহমেদ (১৯) ও একই গ্রামের মোশারফ মিয়া (২৭)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে গেছে, আজ ভোরে একদল দুষ্কৃতকারী গ্রিন বায়োটেকনোলজি কারখানার সামনে গিয়ে ককটেল বিস্ফোরণ ও দুটি ফাঁকা গুলি ছুড়ে আতঙ্ক তৈরি করে। এরপর কারখানায় প্রধান ফটকে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর চালায়। ককটেল বিস্ফোরণের শব্দে গ্রামবাসী এগিয়ে যান। পরে স্থানীয় লোকজন দুষ্কৃতকারীদের ধাওয়া দিয়ে তিনজনকে আটক করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযান চালিয়ে ওই তিনজনসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়। আগেও একাধিকবার কারখানাটিতে চাঁদা না পেয়ে চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের চেষ্টা করেছে বলে কারখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
গ্রিন বায়োটেকনোলজি কারখানার ব্যবস্থাপক নজরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, পাঁচ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে আজ ভোরে পরিকল্পিতভাবে চিহ্নিত সস্ত্রাসীরা রড, হকিস্টিক, পেট্রলবোমা, ককটেল ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে কারখানায় হামলা চালায়। প্রথমে তারা দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। পরে কারখানার ফটকে ভাঙচুর করে। আগেও এই দলটি চাঁদার দাবিতে হামলা চালিয়েছে। এ ঘটনায় তাঁরা থানায় মামলা করেছেন।
নজরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘আমাদের এই প্রতিষ্ঠানটি শুধু মেলান্দহ নয়, বরং জামালপুর জেলার গ্রামীণ অর্থনীতি তথা সারা দেশে কর্মসংস্থানে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। শত শত পরিবার কারখানার আয়ের ওপর নির্ভরশীল। অথচ কিছু দুষ্কৃতকারীর অব্যাহত সন্ত্রাসী কার্যক্রমে কারখানা এখন হুমকির মুখে পড়েছে। এই ধরনের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বন্ধ না হলে উদ্যোক্তারা উপজেলা শহরে প্রতিষ্ঠান করতে নিরুৎসাহিত হবেন।’
মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাস বলেন, অস্ত্রধারী একদল চিহ্নিত দুষ্কৃতকারী ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে কারখানায় হামলার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল ও এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে। আটকের সময় দুষ্কৃতকারীরা পুলিশের কাজেও বাধা দেয়। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।