জুলাই আন্দোলনের সময় রামপুরায় একটি হত্যাকাণ্ডের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আসামি করা হয়েছিল শেখ বশিরউদ্দীনকে; এরপর তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হওয়ার সময় তা নিয়ে আলোচনাও উঠেছিল। কিন্তু এ ঘটনায় তাঁর সম্পৃক্ততার কোনো প্রমাণ পাননি আদালত। তাই তাঁকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

ভারগো গার্মেন্টসের ‘এক্সিকিউটিভ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার’ মো.

সোহান শাহ হত্যার মামলায় শেখ বশিরউদ্দীনকে অব্যাহতি দিয়ে আজ মঙ্গলবার আদেশ দেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. জামসেদ আলম।

মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে দেওয়া প্রতিবদনে বলেছিলেন, ‘এ মামলার ঘটনার সঙ্গে আসামি শেখ বশিরউদ্দীনের কোনো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি। তাঁকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি প্রার্থনা করছি।’

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) প্রসিকিউশন বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মিয়া মোহাম্মদ আশিস বিন হাছান জানান, ২৪ নভেম্বর তদন্তকারী কর্মকর্তা, র‍্যাব-৩–এর উপপরিদর্শক মো. মোস্তাফিজুর রহমান আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৭৩(ক) ধারা অনুযায়ী অন্তর্বর্তীকালীন প্রতিবেদন দিয়েছিলেন।

আকিজ বশির গ্রুপের কর্ণধার শেখ বশিরউদ্দীন গত বছর অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের তিন মাস পর গত বছরের নভেম্বরে এই সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন। এর পরপরই জুলাই আন্দোলনের সময় রামপুরা থানায় করা একটি মামলায় তাঁর আসামি হওয়ার বিষয়টি আলোচনায় ওঠে।

জুলাই আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ১৯ জুলাই রামপুরার সিএনজি স্টেশনের সামনে গুলিতে আহত হন সোহান শাহ (৩০)। ওই বছরের ২৮ আগস্ট চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

এরপর গত বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর সোহানের মা সুফিয়া বেগম বাদী হয়ে ঢাকার আদালতে একটি হত্যা মামলা করেন। এজাহারে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৫৭ জনের নাম উল্লেখ করেন তিনি, এর মধ্যে ৪৯ নম্বর আসামি হিসেবে নামটি ছিল ‘শেখ বশির উদ্দিন ভূঁইয়া’। এই নামের সঙ্গে শেখ বশিরউদ্দীনের, এমনকি তাঁর বাবার নামও মিলে গিয়েছিল।

তবে মামলার বাদী সুফিয়া বেগম তখন প্রথম আলোকে বলেছিলেন, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও পুলিশ তাঁর ছেলে হত্যার জন্য দায়ী। তবে আসামি কারা করেছে, তা তিনি বলতে পারছেন না।

তখন শেখ বশিরউদ্দীন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ভুল তথ্যের ভিত্তিতে হয়তো তাঁর নাম এ মামলায় দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন‘শেখ বশিরের’ বিরুদ্ধে হত্যামামলা: বাদী বললেন জানেন না, উপদেষ্টা সেখ বশির বললেন নিশ্চিত নন১১ নভেম্বর ২০২৪

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উপদ ষ ট গত বছর বছর র

এছাড়াও পড়ুন:

শাকসু নির্বাচনের নতুন তারিখ ২০ জানুয়ারি, পুনঃ তফসিল কাল

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (শাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন ১৭ ডিসেম্বরের পরিবর্তে আগামী বছরের ২০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।

আজ রোববার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সৈয়দ ছলিম মোহাম্মদ আব্দুল কাদির স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভবন-১-এর চতুর্থ তলার সম্মেলনকক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব রাজনৈতিক, অরাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ছাত্রসংগঠনের নেতা ও নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের শাকসু নির্বাচন নিয়ে উন্মুক্ত আলোচনা সভা হয়। সভায় উপস্থিত সবার সর্বসম্মত প্রস্তাব ও সুপারিশ অনুযায়ী, সব শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে আগামী ২০ জানুয়ারি শাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

শাকসু নির্বাচনের নতুন তারিখ নির্ধারণ করলেও পুনঃ তফসিল ঘোষণা করেনি কমিশন। পুনঃ তফসিল কবে হতে পারে জানতে চাইলে শাকসু নির্বাচন কমিশনের মুখপাত্র নজরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আজ নির্বাচনের তারিখ সর্বসম্মতিক্রমে পুনর্নির্ধারিত হয়েছে। কাল সোমবার বেলা তিনটায় কমিশনের বৈঠকের পর সন্ধ্যার দিকে পুনঃ তফসিল ঘোষণা করা হবে।’

এর আগে আজ বেলা ১১টা থেকে টানা প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে উন্মুক্ত আলোচনা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সাজেদুল করিমের সভাপতিত্বে কোষাধ্যক্ষ ইসমাইল হোসেন, রেজিস্ট্রার সৈয়দ ছলিম মোহাম্মদ আব্দুল কাদির, শাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার আবুল মুকিত মোহাম্মদ মোকাদ্দেস, নির্বাচন কমিশনের মুখপাত্র নজরুল ইসলাম, নির্বাচন কমিশনার কামরুল ইসলাম, রাজিক মিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সভায় শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ছাত্র মজলিশ, ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি, শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মের সদস্য ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। সবার ঐকমত্যের ভিত্তিতে নতুন তারিখ নির্ধারণের সিদ্ধান্ত আসে বলে শিক্ষার্থীদের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।

১৬ নভেম্বর শাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছিল নির্বাচন কমিশন। তখন ১৭ ডিসেম্বর ভোট গ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। এরপর নির্বাচনের তারিখ নিয়ে আন্দোলন, ছুটি নিয়ে বিতর্ক ও সর্বশেষ নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা। এরপর আজ নির্বাচনের নতুন তারিখ জানানো হলো।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রাজশাহীতে পুকুর ভরাট বন্ধে অভিযান, পুনঃখননের উদ্যোগ
  • পাবনার বেড়ায় স্পিডবোটে এসে বাজারে ডাকাতি, আতঙ্কে ব্যবসায়ীরা
  • ভারতের নয়ডায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
  • বাংলাদেশ স্কুল মাসকাট বাংলাদেশিদের প্রত্যাশা পূরণ করুক
  • বেলিংহামের শেষ মুহূর্তের গোলে হার এড়াল রিয়াল
  • রূপকথার গল্প লেখা হলো না রিপন–গাফফারদের, সুপার ওভারে জিতে চ্যাম্পিয়ন শাহিনস
  • রাবির দুই শিক্ষককে বিভাগীয় সকল কার্যক্রম থেকে সাময়িক অব্যাহতি
  • তিশার বিরুদ্ধে ভারতীয় প্রযোজকের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ
  • শাকসু নির্বাচনের নতুন তারিখ ২০ জানুয়ারি, পুনঃ তফসিল কাল