হাসি–কান্নার এক অন্য রকম দৃশ্য মঞ্চায়িত হলো আজ খুলনা বিভাগীয় মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সে। এক দলের আনন্দ, আরেক দল ডুবে গেছে বিষাদে। ফুটবলে দিন শেষে এমনই হয়। এই বিকেলে জয়ী দলটার নাম গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। খুলনার আঞ্চলিক ফাইনালে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে ১-০ গোলে হারিয়ে যারা উঠে গেছে ইস্পাহানি-প্রথম আলো তৃতীয় আন্তবিশ্ববিদ্যালয় ফুটবলের চূড়ান্ত পর্বে।

উত্তেজনাপূর্ণ আঞ্চলিক ফাইনাল দারুণ উপভোগ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। নিজ নিজ দলকে সমর্থন দিয়েছেন। কিন্তু শেষ হাসি গোপালগঞ্জের। শেষ বাঁশির পর তাদের খেলোয়াড়েরা এমন আনন্দে মেতে ওঠেন যেন পুরো টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেছে দল।

ম্যাচসেরার পুরস্কার হাতে গোপালগঞ্জের ডিফেন্ডার ইমরান হোসেন.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব শ বব দ য প লগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

শহীদ বুদ্ধিজীবী ও মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিমুলক সভা

নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শহীদ বুদ্ধিজীবী ও মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিমুলক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক মোঃ রায়হান কবির এর সভাপতিত্বে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় আগামী ১৪ ডিসেম্বর সকাল ১১ টায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে ডিসির সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা ও পঞ্চবটি বদ্ধভুমিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে। ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের সকালে সরকারী ও বেসরকারী সকল দপ্তরে জাতীয় পতাকা উত্তোলনসহ সরকারী ভবনে আলোকসজ্জা করন, ৩১বার তোপধ্বনি, চাষাড়া বিজয় স্তম্ভে পুস্পস্তবক অর্পন করা হবে। ওসমানী পৌর স্টেডিয়ামে শিশু কিশোর কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও শিল্পকলা একাডেমিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সম্মাননা প্রদান করা হবে।

এ সময় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. রায়হান কবির বলেন, এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বাংলার স্বাধীনতার সেই সকল অকুতোভয় সূর্য সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আমরা কখনো ভুলবো না। এর সাথে ২৪ এর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন তাদেরকেও শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি। তাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা নতুন বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার সুযোগ পেয়েছি। তাদের এই ত্যাগ ইতিহাসের পাতায় লিখা থাকবে।

জেলা প্রশাসক বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে পঞ্চবটি বদ্ধভূমিতে ফুলেল শুভেচ্ছা নিবেদনসহ বিভিন্ন  মসজিদে মিলাদ মাহফিলের মাধ্যমে তাদের আত্মার মাগফিরাতের জন্য দোয়ার আয়োজন করা হবে। এছাড়াও সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ভূমিকম্পের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত সবার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন।

ভূমিকম্পের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য সকল দপ্তরের কর্মকর্তাদের আহ্বান করেন। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন বিল্ডিং চিহ্নিত করাসহ ঝুঁকিপূর্ণ আরো বিল্ডিং এর খোঁজখবর নেওয়ার বিষয়ে মতমতা প্রকাশ করেন। এছাড়াও ভবিষ্যতে ভূমিকম্প হলে বড় ধরনের কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেই দিকে সবার দৃষ্টির রাখার আহ্বান জানান।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ আলমগীর হোসাইন এর সঞ্চালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ আ,ফ,ম মশিউর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তাসমিন আক্তার, নারায়গঞ্জ জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সদস্য সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নুর আলম, মহানগর  বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট  সাখাওয়াত হোসেন খান, জামায়েত ইসলামী কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য মাওলানা মঈন উদ্দিন, ইসলামী আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ।

এছাড়াও জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন  দপ্তরের বিভিন্ন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ  ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধানগন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ সহ সুশীল সমাজ এর নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ