ফ্যাক্ট চেকিং প্রশিক্ষণে ফ্রান্সের সহায়তা চাইলেন ফয়েজ আহমদ তৈয়
Published: 25th, November 2025 GMT
প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত জ্যঁ-মার্ক সেরে-শারলে।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে বিশেষ সহকারীর দপ্তরে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘‘বাংলাদেশ সরকার সাইবার নিরাপত্তা আইন, ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা আইন, ডিজিটাল নাগরিক পরিচয় এবং ই-পেমেন্ট সিস্টেমসহ বিভিন্ন আইন ও প্রযুক্তি নির্ভর প্রশাসনিক কাঠামো তৈরি করছে। পাশাপাশি এস্তোনিয়ার সহায়তায় ডিজিটাল ইকোসিস্টেম ও ডেটা ইন্টারঅপারেবিলিটি নিয়েও কাজ চলমান রয়েছে।’’
বিশেষ সহকারী আরও বলেন, ‘‘নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ভুল তথ্য/অসত্য তথ্য মোকাবিলায় একটি জাতীয় কাঠামো তৈরি করা হচ্ছে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ বিভিন্ন সংস্থা একসঙ্গে এ বিষয়ে কাজ করছে। এ ক্ষেত্রে ফ্যাক্ট চেকিং একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাই বাংলাদেশি ফ্যাক্ট চেকারদের অ্যাডভান্সড লেভেলের প্রশিক্ষণে ফ্রান্সের সহযোগিতা প্রয়োজন।’’
স্যাটেলাইট ইমেজ ব্যবহার এবং প্রযুক্তিনির্ভর সেবার সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ফ্রান্সের সহযোগিতা প্রয়োজন বলেও বিশেষ সহকারী মন্তব্য করেন।
ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘‘বাংলাদেশ ও ফ্রান্স গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী। প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ফ্রান্সের সক্রিয় ভূমিকার কারণে বাংলাদেশ তাদের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। ফরাসি বিশ্ববিদ্যালয় ও ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুলগুলো সরকারি ভর্তুকিতে চলে তাই পড়াশোনার খরচ তুলনামূলক কম।’’
এটি ফ্রান্সে পড়াশোনার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য ভালো সুযোগ বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
রাষ্ট্রদূত আরও জানান ফ্রান্সের স্পেস এজেন্সি এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো বিনা খরচে ইমেজারি ও একাডেমিক সহযোগিতা দিতে আগ্রহী।
বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে ডিজিটাল সহযোগিতা, সাইবার নিরাপত্তা, টেলিযোগাযোগ খাতের অগ্রগতি এবং ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা হয়। উভয়পক্ষই ভবিষ্যতে আরও ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা বৃদ্ধির প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
ফরাসি দূতাবাসের ইকোনমিক কাউন্সিলর জুলিয়ান ডিইউর বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/এএএম//
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব শ ষ সহক র সহয গ ত
এছাড়াও পড়ুন:
পাকিস্তানে এফসির সদর দপ্তরে আত্মঘাতী হামলা, বাহিনীর তিন সদস্যসহ ছয়জন নিহত
পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের পেশোয়ারে আজ সোমবার সকালে আধা সামরিক বাহিনী ফেডারেল কনস্টাব্যুলারির (এফসি) সদর দপ্তরে আত্মঘাতী বোমা হামলা চালানো হয়েছে। এতে এফসির তিন সদস্য নিহত হয়েছেন।
পেশোয়ার শহরের সাদ্দার এলাকার ব্যস্ততম সড়কে সকাল আটটার দিকে এ আত্মঘাতী হামলার ঘটনা ঘটেছে। ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, গায়ে চাদর মুড়িয়ে এক সন্ত্রাসী এফসি সদর দপ্তরের গেটের সামনে আসেন এবং আত্মঘাতী বোমা হামলা চালান। এর কয়েক সেকেন্ড পর আরও দুই সন্ত্রাসী সদর দপ্তর প্রাঙ্গণে ঢোকার চেষ্টা করেন।
পেশোয়ার ক্যাপিটাল সিটি পুলিশ কর্মকর্তা মিয়া সাইদ আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, প্রাথমিকভাবে তিন সন্ত্রাসী সদর দপ্তরে হামলার চেষ্টা করেছিল। একজন গেটে আত্মঘাতী হয়, আর দুজনকে এফসি সদস্যরা গুলি করে হত্যা করেছেন।
মিয়া সাইদ আহমদ আরও বলেন, এ হামলায় এফসির তিন সদস্য নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন দুজন। তাঁদের হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। হামলার পরে সদর দপ্তরের বাইরে অভিযান চালানো হয়েছে। এফসি সদস্যদের সতর্কতার কারণে সন্ত্রাসীদের ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়েছে।
আরও পড়ুনখাইবার পাখতুনখাওয়ায় ১৯ পাকিস্তানি সেনা নিহত, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি শাহবাজের১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ‘সঠিক সময়ে পদক্ষেপ নেওয়ায়’ নিরাপত্তা বাহিনীর প্রশংসা করেছেন। আহত ব্যক্তিদের দ্রুত সেরে ওঠার প্রার্থনা করেছেন। তিনি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যেকোনো সন্ত্রাসী ষড়যন্ত্র প্রতিহত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
এফসির সদর দপ্তর ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় সেনানিবাসের কাছাকাছি অবস্থিত। এখানে ব্যারাক, হাসপাতাল ও আবাসিক কোয়ার্টার রয়েছে। হামলার সময় সেখানে একটি অ্যাসেম্বলি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।
এই হামলার পর লেডি রিডিং হাসপাতাল এবং খাইবার টিচিং হাসপাতালে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। ওই দুই হাসপাতালে আহত ১২ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
আজকের ঘটনা সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে পেশোয়ারের নিরাপত্তা স্থাপনায় দ্বিতীয় বৃহৎ সন্ত্রাসী হামলা। ২০২৩ সালে পেশোয়ারের পুলিশ লাইনস এলাকায় একটি মসজিদে আত্মঘাতী হামলায় ৮৪ জন নিহত হয়েছিলেন।