পুরোনো ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ কম্পিউটার পরিবর্তন করে নতুন গেমিং ও গ্রাফিকস কম্পিউটার কেনার সুযোগ দিচ্ছে কম্পিউটার অদলবদলকারী প্রতিষ্ঠান এক্সচেঞ্জকরি লিমিটেড ও প্রযুক্তিপণ্যের বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান স্টার টেক লিমিটেড। ‘পাওয়ার আপ ইয়োর গেম’ শীর্ষক এই অফারের আওতায় যেকোনো ব্যক্তি নিজেদের পুরোনো ল্যাপটপ ও কম্পিউটার জমা দিয়ে কম দামে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন গেমিং কম্পিউটার কিনতে পারবেন। আজ মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এক্সচেঞ্জকরি লিমিটেড।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নতুন এই উদ্যোগের আওতায় যেকোনো ব্যক্তি এক্সচেঞ্জকরির ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে পুরোনো ল্যাপটপ বা কম্পিউটারের বিস্তারিত তথ্যসহ স্টার টেকের বিক্রি করা নির্দিষ্ট মডেলের কম্পিউটারের তথ্য জমা দিতে পারবেন। এরপর পুরোনো ল্যাপটপ বা কম্পিউটারের মান যাচাই করে বিক্রয় মূল্য নির্ধারণ করে দেবে এক্সচেঞ্জকরি কর্তৃপক্ষ, যা নতুন কম্পিউটারের দাম থেকে বাদ দেওয়া হবে। ফলে পুরোনো পণ্য নির্দিষ্ট দামে বিক্রির পাশাপাশি কম দামে নতুন পণ্য কেনা যাবে। ক্রেতারা চাইলে সর্বোচ্চ দুটি ল্যাপটপ বা কম্পিউটার বদলে নতুন গেমিং ও গ্রাফিকস কম্পিউটার কিনতে পারবেন।

আরও পড়ুনএক্সচেঞ্জকরি: যেখানে ১০ হাজার টাকায় ল্যাপটপ পাওয়া যায়০৩ জুলাই ২০২৫

অফারের বিষয়ে এক্সচেঞ্জকরি লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাসেল আহমেদ বলেন, ‘গ্রাহকদের পক্ষ থেকে দীর্ঘদিন চাহিদা থাকলেও পর্যাপ্ত পণ্য সরবরাহের অভাবে আমরা এত দিন সেবাটি চালু করতে পারিনি। স্টার টেক পর্যাপ্ত নতুন পণ্যের সম্ভার নিয়ে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। ফলে এখন গ্রাহকেরা তাঁদের পুরোনো ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ দিয়ে সহজেই তাঁদের কাঙ্ক্ষিত গেমিং ও গ্রাফিকস কম্পিউটার কিনতে পারবেন।’

আরও পড়ুনযেভাবে বসে কম্পিউটারে কাজ করবেন১৮ জুন ২০২২

স্টার টেক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো.

জাহেদ আলী ভূঁইয়া বলেন, ‘এক্সচেঞ্জকরির সঙ্গে যৌথভাবে আমরা গ্রাহকদের পুরোনো পিসি এক্সচেঞ্জ করে নতুন গেমিং-গ্রাফিকস কম্পিউটার প্রদানের ব্যবস্থা করেছি। এ উদ্যোগের ফলে গ্রাহকেরা স্টার টেকের মানসম্পন্ন পণ্যের পাশাপাশি এক্সচেঞ্জকরির নির্ভরযোগ্য এক্সচেঞ্জ সেবার সুবিধা পাবেন।’

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ল য পটপ ব নত ন গ ম প রব ন

এছাড়াও পড়ুন:

সালথায় ধানখেত থেকে মেছো বিড়ালের তিনটি শাবক উদ্ধার

ফরিদপুরের সালথায় একটি ধানখেত থেকে মেছো বিড়ালের তিনটি শাবক উদ্ধার করা হয়েছে। ধান কাটার সময় এক কৃষক শাবকগুলো পাওয়ার পর বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করেন। লালন–পালনের পর বড় হলে অবমুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছে বন বিভাগ।

গত রোববার বিকেলে সালথা উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের নটখোলা গ্রামের কৃষক রাসেল মাতুব্বর তাঁর ধানখেত থেকে মেছো বিড়ালের শাবক তিনটি উদ্ধার করেন। পরদিন সোমবার দুপুরে শাবকগুলো তিনি ফরিদপুর বন বিভাগের কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করেন। বন বিভাগের তত্ত্বাবধানে আনুমানিক এক মাস বয়সী শাবকগুলোকে লালন–পালন করা হচ্ছে।

রাসেল মাতুব্বর বলেন, রোববার বিকেলে উপজেলার নটখোলা মাঠে ধান কাটার সময় খেতের মাঝে শাবকগুলো দেখতে পান। এ সময় মা মেছো বিড়াল দৌড়ে পালিয়ে যায়। ফাঁকা জায়গায় শাবকগুলো থাকায় তাঁর কাছে নিরাপদ মনে হয়নি। শাবকগুলো বাড়িতে নিয়ে আসেন। পরে বন বিভাগে খবর দেওয়া হয়।

ফরিদপুর বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, মেছো বিড়াল মূলত একটি ছোট প্রজাতির বিড়াল। ওজন ৫–১৬ কেজি। এরা প্রধানত দক্ষিণ এশিয়ার জলাভূমি এলাকায় বসবাস করে। দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ায় খুব কম পাওয়া যায়। খাটো গড়নের মেছো বিড়ালদের লেজও ছোট। সাঁতারের সুবিধার জন্য ব্যাঙের পায়ের মতো এদের পায়ের আঙুলের মাঝে আংশিকভাবে পাতলা ত্বকের সংযোগ আছে। এদের খাবার প্রধানত মাছ, জলাভূমির পাখি ও অন্যান্য ছোট জলজ প্রাণী। শরীরের রং ধূসর ও হলুদের মাঝে ছোট ছোট কালো ছোপ।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুর শহরতলির পূর্বগঙ্গাবর্দী সামাজিক বন বিভাগের ফরিদপুরের ফরেস্ট রেঞ্জার তাওহীদ হোসেন বলেন, বড় আকৃতির একটি খাঁচায় মোটা কাগজের কার্টনের মধ্যে খড় দিয়ে শাবক তিনটি রাখা হয়েছে। শাবকগুলো খুব ছোট। এ অবস্থায় ছেড়ে দেওয়া হলে সেগুলো বাঁচবে না। গতকাল মাছ দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু তা খায়নি। আজ থেকে এদের দুধ খাওয়ানো হচ্ছে। বেশ কিছুদিন লালন–পালন না করে শাবক তিনটি অবমুক্ত করার সুযোগ নেই। কিছুটা বড় হলে নিরাপদ স্থানে এদের অবমুক্ত করা হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ