নারায়ণগঞ্জে ‘চোর’ সন্দেহে নির্মাণশ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার ২৪ ঘণ্টায়ও মামলা হয়নি
Published: 25th, November 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় মো. পারভেজ (৩০) নামের এক যুবককে চোর সন্দেহে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ২৪ ঘণ্টা পরও কোনো মামলা হয়নি। এ ঘটনায় কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
পরিবারের দাবি, পারভেজকে চোর আখ্যা দিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
আরও পড়ুননারায়ণগঞ্জে ‘চোর’ আখ্যা দিয়ে নির্মাণশ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ২৪ নভেম্বর ২০২৫এর আগে গতকাল সোমবার ভোরে উপজেলার সোনাচড়া এলাকায় একটি নির্মাণাধীন বাড়িতে চুরির অভিযোগে পারভেজকে পেটানো হয়। পরে পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে।
পারভেজ সিদ্ধিরগঞ্জ উপজেলার বার্মাস্ট্যান্ড এলাকার মৃত তারা মিয়ার ছেলে। তিনি উপজেলার রামনগর এলাকার একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন এবং নির্মাণশ্রমিকের কাজ করতেন।
পারভেজের স্ত্রী খাদিজা আক্তার অভিযোগ করেন, গতকাল ভোরে কয়েকজন মিলে তাঁর স্বামীকে ‘চোর’ আখ্যা দিয়ে পরিকল্পিতভাবে পিটিয়ে হত্যা করেন। পারভেজ নির্মাণশ্রমিকের কাজ করতেন, চুরির সঙ্গে তাঁর কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি করেন তিনি।
পারভেজের প্রতিবেশী নাজমা আক্তার বলেন, পারভেজকে কখনো খারাপ কাজে দেখেননি। কেউ অপরাধী হলেও এভাবে পিটিয়ে হত্যা করা যায় না।
এ বিষয়ে আজ মঙ্গলবার বেলা আড়াইটার দিকে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী প্রথম আলোকে বলেন, চোর আখ্যা দিয়ে যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। মরদেহ দাফনের পর পরিবারের সদস্যরা মামলা করতে আসবেন বলে জানিয়েছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা পলাতক, তাঁদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
ওসি জানান, পারভেজের বিরুদ্ধে মাদকের ছয়টি মামলা আছে। ওই দিন কী কারণে পিটিয়ে তাঁকে হত্যা করা হলো-তা এখনো পরিষ্কার নয়। তদন্তে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দরে সাবেক কাউন্সিলর মুরাদের উদ্যাগে মিলাদ ও দোয়া
বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার করায় বন্দর থানার ২০ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও বিএনপি নেতা গোলাম নবী মুরাদের উদ্যাগে মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (২৩ নভেম্বর) বিকেল ৫টায় বন্দর থানার সোনাকান্দা কেএনসেন রোডস্থ উল্লেখিত নেতার বাস ভবনে এ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি বক্তব্যে মহানগর বিএনপি সাবেক সহ সভাপতি আলহাজ্ব আতাউর রহমান মুকুল বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী বিএনপির হাই কমান্ড তাদের ইচ্ছানুযায়ী আমাদের বহিস্কার করেছিল পূনরায় তারা আবার বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার করেছে।
আমাদের শেষ ঠিকানা বিএনপি। বিএনপির পতাকাতলেই আমাদের ধ্যান-জ্ঞান। আমাদের সহযোদ্ধা আরো দুজন সাবেক কাউন্সিলর হান্নান সরকার ও সুলতান আহমেদের বহিস্কারাদেশও অচিরেই প্রত্যাহার হবে। আমি সেই সাথে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও নারায়ণগঞ্জ ৫ আসনের প্রার্থী মাসুদুজ্জামান মাসুদ ভাইয়ের সুস্বাস্থ্য কামনাসহ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ছিলেন, ২১ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও বিএনপি নেতা আলহাজ্ব হান্নান সরকার, ২২ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর সুলতান আহম্মেদ, ২৫ নং ওযার্ড বিএনপি নেতা নেসার উদ্দিন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি নেতা মোস্তাকুর রহমান, জান্নাতুল ফেরদৌস রাজিব, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপি নেতা শহীদ মেম্বার, ২০ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা আবু সাঈদ, হাজী মোক্তার হোসেন, ওলিদ, শাহীন, আরমান মৃধা, দেলোয়ার হোসেন, নাদিম মাহামুদ, আক্তারুজ্জামান, দেলোয়ার হোসেন, টাকিন বাদশা, এবাদুল্লাহ ও আজিমসহ স্থানীয় এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ।
মিলাদ ও দোয়া পরিচালনা করেন সোনাকান্দা বড় জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা সিরাজুল ইসলাম। মিলাদ ও দোয়া শেষে উপস্থিত নেতাকর্মীদের তোবারক বিতরন করা হয়।