ওয়ালটন পণ্য কিনে সাইড বাই সাইড ফ্রিজসহ হাজার হাজার পণ্য ফ্রি
Published: 25th, November 2025 GMT
শীতের আগমনী বার্তা আর উৎসবের আমেজ নিয়ে দেশব্যাপী ‘ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২৩’ শুরু করল দেশের সুপারব্র্যান্ড ওয়ালটন। পূর্বের মতো ক্যাম্পেইনের এই সিজনেও ওয়ালটন ফ্রিজের ক্রেতাদের জন্য রয়েছে বিশেষ চমক।
ক্যাম্পেইনের আওতায় ‘ওয়ালটন নেক্সট লেভেল ডিল’ অফারে দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা, পরিবেশক শোরুম ও অনলাইন সেলস প্ল্যাটফর্ম ই-প্লাজা থেকে যেকোনো মডেলের ফ্রিজ, টিভি, এয়ার কন্ডিশনার, ওয়াশিং মেশিন বা বিএলডিসি ফ্যান কিনে ক্রেতারা পেতে পারেন ওয়ালটনের সাইড বাই সাইড ফ্রিজসহ হাজার হাজার পণ্য ফ্রি। এছাড়াও প্রত্যেক ক্রেতার জন্য রয়েছে নিশ্চিত উপহার।
আরো পড়ুন:
ঢাবির ফিন্যান্স বিভাগকে ডিজিটাল বোর্ড উপহার দিল ওয়ালটন
সেরা কিস্তি ক্রেতাদের ঢাকা-কক্সবাজার এয়ার টিকেট জেতার সুযোগ দিচ্ছে ওয়ালটন প্লাজা
সম্প্রতি রাজধানীতে ওয়ালটন করপোরেট অফিসে আয়োজিত ‘ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২৩’ এর ডিক্লারেশন প্রোগ্রামে এসব সুবিধা ঘোষণা দেওয়া হয়। চলতি বছরের ২৫ নভেম্বর থেকে ২৫ জানুয়ারি, ২০২৬ তারিখ পর্যন্ত এসব সুবিধা পাবেন ক্রেতারা।
দেশব্যাপী ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২৩ এর উদ্বোধন করেন ওয়ালটন ফ্রিজের ব্র্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর চিত্রনায়িকা বিদ্যা সিনহা মিম।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন প্লাজার এমডি মোহাম্মদ রায়হান, ওয়ালটন হাই-টেকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এএমডি) ও চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার (সিএফও) মো.
অনুষ্ঠানে ওয়ালটনের হেড অব স্ট্র্যাটেজিক বিজনেস ডেভেলপমেন্ট আরিফুল আম্বিয়া বলেন, “ওয়ালটন গ্রাহকদের হাতে শুধু আন্তর্জাতিকমানের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও ফিচারের পণ্যই তুলে দিচ্ছে না, সর্বোচ্চ বিক্রয়োত্তর সুবিধা প্রদানেও বদ্ধপরিকর। তাই অনলাইন অটোমেশনের মাধ্যমে গ্রাহকদের আরো দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে কাস্টমার ডাটাবেজ গড়ে তুলছে ওয়ালটন। সেজন্য সারা দেশে চালানো হচ্ছে ডিজিটাল ক্যাম্পেইন। এরই ধারাবাহিকতায় শীতকে সামনে রেখে ‘ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২৩’ শুরু করেছে ওয়ালটন।”
পূর্বের মতো ক্যাম্পেইনের এই সিজনও গ্রাহক পর্যায়ে ব্যাপক সাড়া ফেলবে বলে তিনি দৃঢ় আশাবাদী।
কর্মকর্তারা জানান, সিজন-২৩ এর আওতায় ক্রেতারা দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা, পরিবেশক শোরুম কিংবা অনলাইনে ই-প্লাজা থেকে ফ্রিজ, টিভি, এসি, ওয়াশিং মেশিন ও বিএলডিসি ফ্যান কেনার পর পণ্যটির ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করা হবে। এরপর ওয়ালটনের কাছ থেকে ফিরতি এসএমএস-এর মাধ্যমে ক্রেতারা তাদের প্রাপ্ত সুবিধা সম্পর্কে জানতে পারবেন। পাশাপাশি ওয়ালটনের ক্রেতাদের জন্য তৈরি ‘আমার আওয়াজ’ মোবাইল অ্যাপ প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারকারী ক্রেতারা এবারের ক্যাম্পেইনে বাড়তি সুবিধা পাবেন।
ক্যাম্পেইন চলাকালীন ওয়ালটন পণ্য কেনার পর ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতিতে ক্রেতার নাম, মোবাইল নম্বর এবং পণ্যের মডেল নম্বরসহ বিস্তারিত তথ্য ওয়ালটনের সার্ভারে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। ফলে, ওয়ারেন্টি কার্ড হারিয়ে গেলেও দেশের যেকোনো ওয়ালটন সার্ভিস সেন্টার থেকে দ্রুত সেবা পাচ্ছেন গ্রাহক। অন্যদিকে সার্ভিস সেন্টারের প্রতিনিধিরাও গ্রাহকের ফিডব্যাক জানতে পারছেন। এ কার্যক্রমে ক্রেতাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে ক্যাম্পেইনের প্রতিটি সিজনেই গ্রাহকদের বিশেষ সুবিধা দিচ্ছে ওয়ালটন।
ঢাকা/সাহেল/সাইফ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক য ম প ইন র ন স জন ২৩
এছাড়াও পড়ুন:
সরকারি গাছ কাটায় বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা
নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় গ্রামীণ সড়কের পাশের ৩১টি মেহগনি গাছ কেটে ফেলার অভিযোগে রেজাউল হাসান ভূঁইয়া ওরফে সুমন (৩৮) নামের এক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার (২৪ নভেম্বর) মাসকা ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মো. আবদুল জলিল বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) সকালে সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান।
অভিযুক্ত রেজাউল হাসান ভূঁইয়া মাসকা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি। তিনি পিজাহাতি গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয় বাসিন্দা ও উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, মাসকা ইউনিয়নের দিঘলী–আলমপুর কাঁচা রাস্তা পাকা করার জন্য এলজিইডি ৫ কোটি ৫৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। ৪ হাজার ১৫০ মিটার দীর্ঘ ওই রাস্তা সংস্কারের কাজ পায় মোহাম্মদ ইউনুস অ্যান্ড ব্রাদার্স নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তবে, মাঠপর্যায়ে কাজটি বাস্তবায়ন করছেন বিএনপি নেতা রেজাউল হাসান ভূঁইয়া।
অভিযোগ উঠেছে, তার নির্দেশেই সড়কের পাশে থাকা ৩১টি সরকারি মেহগনি গাছ কর্তৃপক্ষের অনুমতি বা টেন্ডার ছাড়াই কেটে ফেলা হয়েছে। গাছগুলোর বাজারমূল্য প্রায় ৮ লাখ টাকা।
এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রেজাউল হাসান ভূঁইয়াসহ অজ্ঞাত চারজনকে আসামি করে মামলা করা হয়। এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, গত ১৮ নভেম্বর সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গাছগুলো কাটা হয়। এলাকাবাসী বাধা দিতে গেলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন নিজেদের উপজেলা প্রশাসনের লোক পরিচয় দিয়ে গাছ কাটার কাজ চালিয়ে যায়।
দিঘলী গ্রামের বাসিন্দা জিলু মিয়া বলেছেন, “২৫ বছর আগে আমাদের জমির ধারের রাস্তায় সরকারিভাবে গাছগুলো রোপণ করা হয়েছিল। তখন বলা হয়েছিল, বিক্রির সময় আমরাও কিছু অংশ পাব। তাই, এতদিন গাছগুলো দেখাশোনা করেছি। কিন্তু, রাস্তা পাকা করার অজুহাতে ইউএনওর নাম ব্যবহার করে রেজাউল হাসান ভূঁইয়া গাছগুলো কেটে নিয়ে গেছেন।”
একই গ্রামের সনজু রহমান বলেন, “মঙ্গলবার সকাল থেকে গাছ কাটা শুরু হয়। রাতে গাছ সরানোর সময় সন্দেহ হলে আমরা কিছু অংশ আটক করে প্রশাসনকে খবর দিই।”
কেন্দুয়া উপজেলা প্রকৌশলী আল আমিন সরকার বলেছেন, “কোনো নিয়ম অনুসরণ না করেই গাছগুলো কাটা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা হয়েছে বলে শুনেছি।”
অভিযুক্ত রেজাউল হাসান ভূঁইয়ার মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় অভিযোগের বিষয়ে তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমদাদুল হক তালুকদার বলেছেন, “ঠিকাদার ইচ্ছামতো গাছ কাটতে পারে না। ইউএনওর নাম ভাঙিয়ে গাছ কাটা বেআইনি। সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। এর পাশাপাশি মামলাও করা হয়েছে।”
কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান বলেছেন, “এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।”
ঢাকা/ইবাদ/রফিক