ফরিদপুরের সালথায় একটি ধানখেত থেকে মেছো বিড়ালের তিনটি শাবক উদ্ধার করা হয়েছে। ধান কাটার সময় এক কৃষক শাবকগুলো পাওয়ার পর বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করেন। লালন–পালনের পর বড় হলে অবমুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছে বন বিভাগ।

গত রোববার বিকেলে সালথা উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের নটখোলা গ্রামের কৃষক রাসেল মাতুব্বর তাঁর ধানখেত থেকে মেছো বিড়ালের শাবক তিনটি উদ্ধার করেন। পরদিন সোমবার দুপুরে শাবকগুলো তিনি ফরিদপুর বন বিভাগের কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করেন। বন বিভাগের তত্ত্বাবধানে আনুমানিক এক মাস বয়সী শাবকগুলোকে লালন–পালন করা হচ্ছে।

রাসেল মাতুব্বর বলেন, রোববার বিকেলে উপজেলার নটখোলা মাঠে ধান কাটার সময় খেতের মাঝে শাবকগুলো দেখতে পান। এ সময় মা মেছো বিড়াল দৌড়ে পালিয়ে যায়। ফাঁকা জায়গায় শাবকগুলো থাকায় তাঁর কাছে নিরাপদ মনে হয়নি। শাবকগুলো বাড়িতে নিয়ে আসেন। পরে বন বিভাগে খবর দেওয়া হয়।

ফরিদপুর বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, মেছো বিড়াল মূলত একটি ছোট প্রজাতির বিড়াল। ওজন ৫–১৬ কেজি। এরা প্রধানত দক্ষিণ এশিয়ার জলাভূমি এলাকায় বসবাস করে। দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ায় খুব কম পাওয়া যায়। খাটো গড়নের মেছো বিড়ালদের লেজও ছোট। সাঁতারের সুবিধার জন্য ব্যাঙের পায়ের মতো এদের পায়ের আঙুলের মাঝে আংশিকভাবে পাতলা ত্বকের সংযোগ আছে। এদের খাবার প্রধানত মাছ, জলাভূমির পাখি ও অন্যান্য ছোট জলজ প্রাণী। শরীরের রং ধূসর ও হলুদের মাঝে ছোট ছোট কালো ছোপ।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুর শহরতলির পূর্বগঙ্গাবর্দী সামাজিক বন বিভাগের ফরিদপুরের ফরেস্ট রেঞ্জার তাওহীদ হোসেন বলেন, বড় আকৃতির একটি খাঁচায় মোটা কাগজের কার্টনের মধ্যে খড় দিয়ে শাবক তিনটি রাখা হয়েছে। শাবকগুলো খুব ছোট। এ অবস্থায় ছেড়ে দেওয়া হলে সেগুলো বাঁচবে না। গতকাল মাছ দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু তা খায়নি। আজ থেকে এদের দুধ খাওয়ানো হচ্ছে। বেশ কিছুদিন লালন–পালন না করে শাবক তিনটি অবমুক্ত করার সুযোগ নেই। কিছুটা বড় হলে নিরাপদ স্থানে এদের অবমুক্ত করা হবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: বন ব ভ গ র

এছাড়াও পড়ুন:

সাতক্ষীরায় খাদ্যে বিষক্রিয়ায় শিশুসহ ১১ জন অসুস্থ

সাতক্ষীরার শ্যামনগরের এক বাড়িতে নতুন ঘর নির্মাণ উপলক্ষে পারিবারিক পিঠা উৎসব করা হয়েছে। সেই খাবারে বিষক্রিয়ায় শিশুসহ ওই পরিবারের ১১ জন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন। 

সোমবার (২৪ নভেম্বর) রাতে উপজেলার সোনাখালী গ্রামে সাইদ গাজীর বাড়িতে ওই পিঠা উৎসব হয়। 

অসুস্থরা হলেন—সুমাইয়া (২২), আইজা (২), মেহজাবিন (১০), সামিয়া (৪), আকলিমা (৩৫), জান্নাতি (১৫), আইয়ুব খান (৬০), আজিহা (১), শারমিন (২৩), মিতা (৩৫) ও উম্মে হাবিবা (২১)।

পরিবার ও হাসপাতাল সূত্র জানিযেছে, পিঠা বানানোর সময় কালো জিরার পরিবর্তে অসাবধানবশত দানাদার কীটনাশক ব্যবহার করা হয়। রাতে পিঠা খাওয়ার কিছুক্ষণ পর সবাই অসুস্থ হয়ে পড়েন। প্রতিবেশীরা টের পেয়ে দ্রুত তাদেরকে উদ্ধার করে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. শামিম হোসেন বলেন, সবাইকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়েছে। তবে, সবাই শঙ্কামুক্ত নন।

ঢাকা/শাহীন/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ