সাংবাদিক সমাজে সুখ্যাতি ছিল মামুন রেজার। সব মতের মানুষের কাছে জনপ্রিয় ছিলেন তিনি। মামুন তরুণ সাংবাদিকদের শিখিয়েছেন, দলমতের ঊর্ধ্বে ওঠে কীভাবে সংবাদ পরিবেশন করতে হয়। তাঁর মৃত্যু এমন শূন্যতা তৈরি করেছে, যা কখনও পূরণ হবে না। গতকাল বুধবার খুলনা প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত সমকালের খুলনা ব্যুরোপ্রধান ও চ্যানেল ২৪ এর আঞ্চলিক প্রধান প্রতিবেদক মামুন রেজার স্মরণসভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বক্তারা। 

তারা আরও বলেন, মামুন রেজা শুধু সাংবাদিকতাই করেননি, মানবিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে প্রতিনিয়ত কাজ করেছেন। তাঁর নেতৃত্বের গুণাবলি ছিল। ছিল আলাদা প্রতিভা, কাজের বিষয়ে একনিষ্ঠতা। পেশাদার সাংবাদিকতার সব গুণ তাঁর ছিল। মামুনের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন আগতরা।

বক্তারা বলেন, মামুন রেজার মৃত্যু কেউ মেনে নিতে পারেনি। বর্তমান ক্রান্তিকালে এমন প্রতিভাবান একজন সাংবাদিকের প্রয়োজন ছিল। আজীবন তিনি অন্তরের মণিকোঠায় থাকবেন। 

সমকালের খুলনা ব্যুরোর স্টাফ রিপোর্টার আবুল হাসান হিমালয়ের সঞ্চালনায় স্মরণ সভায় সভাপতিত্ব করেন খুলনা প্রেস ক্লাবের আহ্বায়ক এনামুল হক। বক্তব্য রাখেন খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি এসএম শফিকুল আলম মনা ও সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন, খুলনা মহানগর জামায়াতের আমির অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান, সচেতন নাগরিক কমিটির (সনাক) সাবেক সভাপতি অধ্যাপক আনোয়ারুল কাদির, বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফ-উজ-জামান, বিএমএ খুলনার সভাপতি ডা.

বাহারুল আলম, ইসলামী আন্দোলনের নগর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শেখ নাসির উদ্দীন, ওয়ার্কার্স পার্টির মহানগর সভাপতি মফিদুল ইসলাম, মহানগর সিপিবির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাবু, খুলনা সিভিল সোসাইটির আহ্বায়ক শাহনেওয়াজ আলী, খুলনা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি আহমদ আলী খান, শেখ আবু হাসান ও এস এম হাবিব, প্রবীণ সাংবাদিক শেখ দিদারুল আলম, বিএফইউজের সাবেক সহ-সভাপতি মো. রাশিদুল ইসলাম, মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন খুলনার সাবেক সাধারণ সম্পাদক এইচ এম আলাউদ্দিন, খুলনা টিভি রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবু হেনা মোস্তফা জামাল পপলু, খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মহেন্দ্রনাথ সেন, খুলনা অনলাইন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মিলন প্রমুখ। 

পরিবারের সদস্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন মামুন রেজার বাবা সরদার কাওসার আলী ও বড় ভাই মাসুদ রানা। এ সময় একমাত্র শিশুপুত্র জাওয়াদ রেজা উপস্থিত ছিল।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ল আলম

এছাড়াও পড়ুন:

নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে, নারী নিহত

ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের মাদারীপুরের রাজৈরে যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের খাদে পড়ে এক নারী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন। শুক্রবার (৩ অক্টোবর) মধ্যরাতে রাজৈর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দুর্ঘটনার শিকার হন তারা। 

নিহত নিলুফা ইয়াসমিন নিলা (৩০) বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার রুনসী গ্রামের আবুল বাসারের স্ত্রী।

আরো পড়ুন:

গাজীপুরে ডাম্পট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত

অটোরিকশায় ট্রেনের ধাক্কা, মা-মেয়ে নিহত

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কুয়াকাটা থেকে ঢাকার দিকে যাচ্ছিল চন্দ্রা পরিবহনের বাসটি। ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের রাজৈর বাসস্ট্যান্ড পার হওয়ার পর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি সড়কের পাশের খাদে পড়ে যায়।  পরে হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে নিলার মরদেহ উদ্ধার করে। আহত হন অন্তত ২০ জন। তাদের মধ্যে কয়েকজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

মাদারীপুরের মস্তফাপুর হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, বাস খাদে পড়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করা হয়। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। একজনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। নিহত নারীর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ঢাকা/বেলাল/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ