জুলাই অভ্যুত্থান উদ্যাপনে নানা কর্মসূচি এবি পার্টির
Published: 27th, June 2025 GMT
চব্বিশের জুলাই গণ-অভ্যুত্থান উদ্যাপনে প্রতীকী রোডমার্চ, আলোচনা সভাসহ নানা কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি। আজ শুক্রবার রাজধানীতে এবি পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন দলটির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু।
ঘোষিত কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ১৪ জুলাই স্মরণে প্রতীকী মিছিল, রংপুরে শহীদ আবু সাঈদের কবরে দোয়া ও দুস্থদের মধ্যে খাবার বিতরণ, গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী নারীদের প্রতীকী সম্মাননা প্রদান ও সংবর্ধনা, রায়েরবাজারে গণকবরে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন ও দোয়া, আলোচনা সভা, প্রতীকী রোডমার্চ ও পথসভা, স্মারকলিপি প্রদান এবং প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন। আগামী ১ জুলাই শুরু হয়ে এসব কর্মসূচি চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত।
নির্বাচনের মাধ্যমে শেখ হাসিনার পতন হয়নি উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে এবি পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, হাজারো মানুষের রক্তক্ষয়ী গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তাঁকে সিংহাসন ছেড়ে পালাতে হয়েছিল। কাজেই শুধু একটা নির্বাচন করে ক্ষমতায় নতুন সরকার বসলেই গণ-অভ্যুত্থানের অঙ্গীকার পূর্ণ হবে না। বরং একাত্তর, নব্বই ও চব্বিশের অঙ্গীকার বাস্তবায়নে সবার ঐকমত্যে পৌঁছার মাধ্যমে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে রাষ্ট্রকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে হবে।
ক্ষমতাসীনরা সব সময় নির্বাচন ছাড়া জোর করে ক্ষমতা আঁকড়ে থাকতে চেয়েছে উল্লেখ করে মজিবুর রহমান বলেন, নব্বইয়ের গণ-আন্দোলনের পর একানব্বইয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হয়েছিল, যা সংবিধানে নতুন করে অন্তর্ভুক্ত করতে হয়েছে। নব্বইয়ে তিন জোটের রূপরেখা ঘোষণা করে রাষ্ট্র পরিচালনার অঙ্গীকার করা হয়েছিল। কিন্তু শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসন তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিলসহ সব কিছু ধ্বংস করে দিয়ে গেছে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান লে.
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বিশ্বের যেকোনো আদালতের মানদণ্ডে এই সাক্ষ্যপ্রমাণগুলো উতরে যাবে: চিফ প্রসিকিউটর
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলায় শেখ হাসিনাসহ আসামিদের যে সাজা দেওয়া হয়েছে, পৃথিবীর যেকোনো আদালতে এই সাক্ষ্যপ্রমাণ উপস্থাপন করলে একই শাস্তি পাবেন।
আজ সোমবার দুপুরে রায় ঘোষণার পর এক সংবাদ সম্মেলনে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এ কথা বলেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘যে ধরনের সাক্ষ্যপ্রমাণ এই আদালতে উপস্থাপিত হয়েছে, বিশ্বের যেকোনো আদালতের স্ট্যান্ডার্ডে এই সাক্ষ্যপ্রমাণগুলো উতরে যাবে এবং পৃথিবীর যেকোনো আদালতে এই সাক্ষ্যপ্রমাণ উপস্থাপন করা হলে আজ যেসব আসামিকে শাস্তি প্রদান করা হয়েছে, তাঁরা প্রত্যেকেই একই শাস্তি প্রাপ্ত হবেন।’
মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশ সব আন্তর্জাতিক নর্মস, আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ড মেইনটেইন করে ক্রাইমস এগেন্স হিউম্যানিটির মতো কমপ্লেক্স (মানবতাবিরোধী অপরাধের মতো জটিল) অপরাধের বিচার করতে সক্ষম এবং বাংলাদেশ সাফল্যের সঙ্গে সেটা করেছে।’ তিনি বলেন, ‘অপরাধী যতই ক্ষমতাশালী হোক, সে আইনের ঊর্ধ্বে নয়। বাংলাদেশ এমন একটি রাষ্ট্র, যেখানে যত বড় অপরাধীই হোক, তার অপরাধের জন্য তাকে জবাবদিহির মুখোমুখি হতে হবে এবং তার প্রাপ্য শাস্তি পেতে হবে।’
তাজুল ইসলাম আরও বলেন, এই রায়ের প্রক্রিয়া সমাপ্ত হওয়ার মাধ্যমে দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের সমাপ্তি হয়েছে। যদিও আরও অনেকগুলো মামলা বিচারাধীন রয়েছে। তিনি বলেন, ‘শহীদ পরিবার, যাদের ক্ষতি কোনো কিছু দিয়ে পূরণ হবে না, তাদের সামনে অন্তত একটা ন্যায়বিচারের দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পেরেছি। এ জন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা।’