খুবই হালকা-পাতলা ডমিনো খেলনা ব্লক। হালকা ধাক্কাতেই তা ঢলে পড়ে। এগুলো একটার ওপর একটা স্থিরভাবে দাঁড় করানোটা শুধু খেলা নয়, ধৈর্যের পরীক্ষাও বটে! ভুল করলে গোটা কাঠামোটাই ধসে পড়তে পারে। তবে এমন নাজুক ব্লক দিয়েই তৈরি করা হয়েছে ৩৩ ফুট উঁচু একটি টাওয়ার।

শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও যুক্তরাষ্ট্রের ইউটিউবার লিলি হেভেশের নেতৃত্বাধীন একটি দল এমনটাই করে দেখিয়েছে। এর মধ্য দিয়ে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নামও লিখিয়েছে তারা।

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল বিল্ডিং জাদুঘরে তৈরি হয় এই বিশাল কাঠামো। লিলির সঙ্গে ছিলেন ৪টি দেশ থেকে আসা ১০ জন ডমিনো শিল্পী। পাঁচ দিন ধরে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু এই ডমিনো টাওয়ার তৈরি করা হয়। এর উচ্চতা পৌঁছায় প্রায় ৩৩ ফুট ৩ ইঞ্চিতে। উচ্চতার দিক থেকে এটি প্রায় তিনতলা বাড়ির সমান। এর আগের রেকর্ডটি ছিল ৩২ দশমিক ৯ ফুট উচ্চতার।

লিলি বলেন, টাওয়ারটিকে মজবুত করতে সাধারণ চতুর্ভুজ আকৃতির বদলে তাঁরা আট কোণাকৃতির ভিত্তি স্তম্ভ তৈরি করেছেন। দলবদ্ধভাবে টাওয়ারের প্রতিটি স্তর পর্যায়ক্রমে বানাতে থাকেন এবং টাওয়ার অনেক উঁচু হওয়ার পর কাজ চালিয়ে যেতে সিজার লিফট ব্যবহার করেন।

যখন শেষ ডমিনোটি বসানো হয়, পুরো দল উল্লাসে ফেটে পড়ে। সব শেষে আনন্দ উদ্‌যাপন করতে তারা টাওয়ারের চূড়ায় ছুড়ে মারে তুলার তৈরি একটা ছোট্ট কাঠবিড়ালি খেলনা। মুহূর্তেই ধসে পড়ে গোটা টাওয়ার। ২০২৪ সালের ১৩ জুলাই ডমিনো টাওয়ারটি উন্মোচন করা হয়। আর গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের ওয়েবসাইটে এ রেকর্ডের খবর প্রকাশ হয়েছে এ বছরের ২৫ জুন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র কর ড

এছাড়াও পড়ুন:

‘জুলাই সনদ বাস্তবায়নে জাতীয় ঐক্য না হলে সংসদ নির্বাচন ঝূকিতে পড়ব

জুলাই সনদ বাস্তবায়নে জাতীয় ঐক্য না হলে সংসদ নির্বাচন ঝূকিতে পড়বে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের নেতারা।

শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) ঢাকার তোপখানা রোডের মেহেরবা প্লাজার প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত নতুন যোগদানকারীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সংস্কার আন্দোলনের নেতারা এসব কথা বলেন। 

আরো পড়ুন:

চাকসু: ছাত্র অধিকার ও ইসলামী ছাত্র মজলিসের যৌথ প্যানেল ঘোষণা

গকসু নির্বাচন: জাহিদের প্রচারণায় সবুজের ডাক

রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনে যুক্ত হলেছেন, ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক এ জেড নিজাম উদ্দিন ঠাকুর (মানু), নিরাপদ ডেভলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ইবনুল সৈয়দ রানা,

বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অফ হেলথ সাইন্সের সহযোগী অধ্যাপক সামিউল হক শিমুল, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জামিলুল করিম তরুণ, আবু আল রায়হান, ব্যবসায়ী ও শ্রমিক সংগঠক শাহীন মন্ডল, বাংলাদেশ ভুমিহীন আন্দোলনের অর্থ সম্পাদক মো. শামসুদ্দিন (রাকিব), রাজনৈতিক সংগঠক প্রশান্ত কুমার রায়, সিটিজেন জার্নালিস্ট (পর্যবেক্ষণ) খালেদ মাহমুদ রকি, রাজনৈতিক সংগঠক আশরাফ হোসাইন সরকার (বুলবুল), সাংস্কৃতিক সংগঠক ও ব্যবসায়ী সোহেল মাহমুদ খান প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন সবসময় দায়িত্বশীলতার রাজনীতিতে গুরুত্ব দিয়েছে। অভ্যুত্থানের পর সেটার প্রমাণ আরো ভালোভাবে হয়েছে। সময়ের রাজনীতির প্রয়োজনে নিজের প্রাথমিক অবস্থান গণপরিষদের মাধ্যমে নতুন সংবিধান করার দাবি ছেড়ে একই নির্বাচনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও সংবিধান সংস্কার সভা আয়োজনের প্রস্তাব কমিশনে করেছে। একই সঙ্গে এমন একটি বিশেষ ধরনের নির্বাচন আয়োজনের বৈধতা নিশ্চিতে সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদের মাধ্যমে বিচার বিভাগের মতামত নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের হাসনাত কাইয়ূম বলেন, “সকল দলের মতামত ও ঐক্যের স্বার্থে এর  চেয়েও গ্রহণযোগ্য কোনো পন্থা পাওয়া গেলে, দলীয় প্রস্তাব ত্যাগ করে সেটার পক্ষে দাঁড়াবে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন। দেশকে অস্থিতিশীল বা বিদেশী শক্তির  হস্তক্ষেপ থেকে বাঁচাতে বাংলাদেশের জনগণের প্রতি এটা রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের অঙ্গীকার।”

তিনি বলেন, “অভ্যুত্থানের পর অনেক দল নিয়ে অনেক ধরনের অভিযোগ এরই মধ্যে উঠেছে। রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বিভিন্ন সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে নিবিড়ভাবে কাজ করলেও এখন পর্যন্ত দলের কোনো নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ উঠেনি।”

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য দিদারুল ভূঁইয়া, মাহবুবুর রহমান সেলিম, জাতীয় সমন্বয় কমিটির সদস্য জাকিয়া শিশির, ঢাকা জেলা কমিটির আহ্বায়ক লিটন কবিরাজ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কমিটির দপ্তর সমন্বয়ক এহসান আহমেদ, রাষ্ট্র যুব আন্দোলনের সংগঠক মো. মহসিন, ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক লামিয়া ইসলাম, সংগঠক রাকিব হাসান মজুমদার, রাষ্ট্র সংস্কার কৃষক আন্দোলনের সংগঠক আরিফুল ইসলাম জুয়েল, রাষ্ট্র সংস্কার সাংস্কৃতিক আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক আবুল হাসান অলি প্রমুখ।

ঢাকা/নাজমুল/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ