খেলনা ডমিনো ব্লক দিয়ে তিনতলা সমান টাওয়ার
Published: 28th, June 2025 GMT
খুবই হালকা-পাতলা ডমিনো খেলনা ব্লক। হালকা ধাক্কাতেই তা ঢলে পড়ে। এগুলো একটার ওপর একটা স্থিরভাবে দাঁড় করানোটা শুধু খেলা নয়, ধৈর্যের পরীক্ষাও বটে! ভুল করলে গোটা কাঠামোটাই ধসে পড়তে পারে। তবে এমন নাজুক ব্লক দিয়েই তৈরি করা হয়েছে ৩৩ ফুট উঁচু একটি টাওয়ার।
শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও যুক্তরাষ্ট্রের ইউটিউবার লিলি হেভেশের নেতৃত্বাধীন একটি দল এমনটাই করে দেখিয়েছে। এর মধ্য দিয়ে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নামও লিখিয়েছে তারা।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল বিল্ডিং জাদুঘরে তৈরি হয় এই বিশাল কাঠামো। লিলির সঙ্গে ছিলেন ৪টি দেশ থেকে আসা ১০ জন ডমিনো শিল্পী। পাঁচ দিন ধরে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু এই ডমিনো টাওয়ার তৈরি করা হয়। এর উচ্চতা পৌঁছায় প্রায় ৩৩ ফুট ৩ ইঞ্চিতে। উচ্চতার দিক থেকে এটি প্রায় তিনতলা বাড়ির সমান। এর আগের রেকর্ডটি ছিল ৩২ দশমিক ৯ ফুট উচ্চতার।
লিলি বলেন, টাওয়ারটিকে মজবুত করতে সাধারণ চতুর্ভুজ আকৃতির বদলে তাঁরা আট কোণাকৃতির ভিত্তি স্তম্ভ তৈরি করেছেন। দলবদ্ধভাবে টাওয়ারের প্রতিটি স্তর পর্যায়ক্রমে বানাতে থাকেন এবং টাওয়ার অনেক উঁচু হওয়ার পর কাজ চালিয়ে যেতে সিজার লিফট ব্যবহার করেন।
যখন শেষ ডমিনোটি বসানো হয়, পুরো দল উল্লাসে ফেটে পড়ে। সব শেষে আনন্দ উদ্যাপন করতে তারা টাওয়ারের চূড়ায় ছুড়ে মারে তুলার তৈরি একটা ছোট্ট কাঠবিড়ালি খেলনা। মুহূর্তেই ধসে পড়ে গোটা টাওয়ার। ২০২৪ সালের ১৩ জুলাই ডমিনো টাওয়ারটি উন্মোচন করা হয়। আর গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের ওয়েবসাইটে এ রেকর্ডের খবর প্রকাশ হয়েছে এ বছরের ২৫ জুন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র কর ড
এছাড়াও পড়ুন:
লিভারপুলের আর্জেন্টাইন হেডে ‘ভাঙল’ রিয়ালের কোর্তোয়া-দেয়াল
লিভারপুল ১-০ রিয়াল মাদ্রিদ
কিছু খেলোয়াড়ের জন্মই হয় বড় মঞ্চের জন্য। থিবো কোর্তোয়া কোন কাতারে পড়েন তা অনেকেরই জানা। বিশেষ করে লিভারপুল সমর্থকদের। তিন বছর আগের চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল এত দ্রুত ভোলার কথা নয়।
সেই লিভারপুলের মাঠ অ্যানফিল্ডে আজ ম্যাচের ৫০ মিনিট পর্যন্ত কোর্তোয়ার নামের পাশে সেভ লেখা ৬টি! তবু শেষ রক্ষা হয়নি। ৬১ মিনিটে অ্যালেক্সিস ম্যাক-অ্যালিস্টারের হেড বেলজিয়ান এই গোলকিপার আর ফেরাতে পারেননি। আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডারের গোলই শেষ পর্যন্ত রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে লিভারপুলকে এনে দেয় ১-০ গোলের জয়।
গোলের আগ পর্যন্ত ম্যাচটি ছিল আসলে কোর্তোয়া বনাম লিভারপুল। প্রথমার্ধেই চারটি দারুণ সেভ করেন। দুই অর্ধ মিলিয়ে লিভারপুল মিডফিল্ডার দমিনিক সোবোসলাইয়ের একাধিক শট ফেরান কোর্তোয়া। ম্যাচের শেষ দিকেও নিশ্চিত গোল বাঁচিয়েছেন।
৮৬ মিনিটে ডান প্রান্ত থেকে মোহাম্মদ সালাহর শট বক্সে পেয়ে যান ডাচ ফরোয়ার্ড কোডি গাকপো। খুব কাছ থেকে তাঁর শট প্রথমে ঠেকান কোর্তোয়া। ফিরতি বলে সালাহর শট ফেরান রিয়াল ডিফেন্ডার এদের মিলিতাও।
প্রথমার্ধেও রিয়ালের এমন একটি নিশ্চিত গোল হজম থেকে বাঁচিয়েছেন কোর্তোয়া। ২৭ মিনিটে লিভারপুলের অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার ফ্লোরিয়ান ভির্টৎসের ক্রস রিয়ালের গোলপোস্টের সামনে পান সোবোসলাই। তাঁর শট অবিশ্বাস্য দক্ষতায় ডান পা দিয়ে ঠেকান কোর্তোয়া। প্রথমার্ধের শেষ দিকে লিভারপুলের গোলকিপার গিওর্গিও মামারদাশভিলির একবার পরীক্ষা নিতে পারে রিয়াল। বাঁ প্রান্ত দিয়ে বক্সে ঢুকে জুড বেলিংহামের শট পা দিয়ে ঠেকান।
রিয়াল গোল হজম করেছে বেলিংহামের ভুলেই। ৬১ মিনিটে গ্রাভেনবার্চকে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন ইংল্যান্ড মিডফিল্ডার। ডান প্রান্তে ফ্রি কিক পায় লিভারপুল। সেখান থেকে সোবোসলাইয়ের মাপা শটে হেডে গোল করেন ম্যাক-অ্যালিস্টার।
বিস্তারিত আসছে…।