তাহসানের সঙ্গে বিচ্ছেদ: মিথিলা ভেবেছিলেন শেষ পর্যন্ত সব ঠিক হয়ে যাবে
Published: 4th, July 2025 GMT
তাহসান-মিথিলার বিচ্ছেদ শোবিজের আলোচিত ঘটনার একটি। ২০১৭ সালে বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন তাঁরা। তবে মিথিলা জানিয়েছেন, এর দুই বছর আগে থেকেই আলাদা থাকছিলেন তাঁরা। অভিনেত্রী ভেবেছিলেন, হয়তো শেষ পর্যন্ত বিচ্ছেদ হবে না, সব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু সেটা বিচ্ছেদেই গড়ায়। তখন মানসিক ও অর্থনৈতিক অনেক সংকটের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছিল মিথিলাকে। সম্প্রতি বিচ্ছেদের পর কঠিন সময়ের কথা মিথিলা তুলে ধরেছেন তিনি। এশা রুশদীর ইউটিউব পডকাস্টে জীবনের অনেক অজানা কথা ভাগ করেছেন তিনি।
মিথিলা বলেন, ‘২০১৫ সালে আমরা সেপারেশনে গেছি, তারপর আরও দুই বছর গেছে। আমি অপেক্ষা করেছি, ভেবেছি যে এটা ঠিক হয়ে যাবে, ঠিক হয়ে যাবে। ২০১৭ সালে এসে সিদ্ধান্ত নিতে পারলাম যে মনে হয় সম্পর্কটা আসলেই কাজ করবে না। আমি ছিলাম তখন অনেক অল্প বয়সী এবং মা হিসেবেও তরুণী। আমি যে কোনো একটা ভালো–মন্দ বিচার করব বা কোনো একটা সিদ্ধান্তে আসব, সেটার শক্তিই আমার ছিল না। কারণ, আমার একটা এক বছরের বাচ্চা। আমার মানসিক অবস্থা ভালো ছিল না, যেখানে আমি কোনো একটা সিদ্ধান্ত নিতে পারব নিজের জীবনের।’
কঠিন সেই সময়ে শুধু মানসিকভাবে নয়, অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়েও যেতে হয়েছিল মিথিলাকে। অভিনেত্রী বলেন, ‘২৩ বছর বয়স থেকে আমি আমার জীবনকে একভাবে ভেবে এসেছিলাম। হঠাৎ করে জীবনটা সম্পূর্ণভাবে পরিবর্তন হয়ে যায়। শ্বশুরবাড়ির মানুষদের সঙ্গে থাকতাম, একে তো আমার বাচ্চা আছে, তারপর আমি জানলাম সেই জায়গাটা আমার ভবিষ্যৎ না। তখন চাকরি করতাম, বছরে এক–দুইটা কাজও করতাম। কিন্তু আমার একটা গাড়িও ছিল না। আমার তো অভ্যাস ছিল গাড়িতে করে বাইরে যাওয়ার, আমার বাচ্চার অভ্যাস ছিল গাড়িতে চড়ার।’
মিথিলা মনে করেন, মেয়েদের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা জরুরি। অভিনেত্রী বলেন, ‘মেয়েদের নিজেদের আসলে জায়গা থাকে না। শ্বশুরবাড়ি আবার বাবার বাড়ি, থ্যাঙ্কফুলি এখন আমার নিজের জায়গা আছে। তা–ও এত বছর পর। যদিও এর ক্রেডিট আমি আমাকেই দেব, অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে আমাকে। মেয়েদের জন্য সবার আগে যেটা দরকার, সেটা হলো অর্থনৈতিক স্বাধীনতা। এই অর্থনৈতিক স্বাধীনতা ছাড়া জীবনের অন্য সব সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন হয়। এখন হয়তো মেয়েরা অনেক বেশি সিদ্ধান্ত নিতে পারছে; কারণ, এখন মেয়েরা অনেক বেশি অর্থনৈতিক স্বাধীনতা পাচ্ছে। আমাকে ছোটবেলা থেকে মা বলেছে, “যা-ই করো, নিজের পায়ে দাঁড়াবে।” ফলে বিয়ের পরও আমি আমার পড়াশোনা, চাকরি সব চালিয়ে গেছি। তবে তখন আমি অতটা অর্থনৈতিকভাবে স্বাধীন ছিলাম না যে একা একা অতটা ভাবতে পারব, বাচ্চা মানুষ করতে পারব। সেটার জন্য সময় লেগেছে।’
তাহসান-মিথিলা। ছবি: ফেসবুক থেকে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ঠ ক হয়
এছাড়াও পড়ুন:
মেহেরপুরে ট্রাক্টরের চাপায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু
মেহেরপুরের গাংনীতে ট্রাক্টরের চাকায় পিষ্ট হয়ে মো. শিহাব (৮) নামের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে গাংনী উপজেলার ষোলটাকা ইউনিয়নের মানিকদিয়া কবরস্থান পাড়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত শিহাব মানিকদিয়া কবরস্থান পাড়ার কৃষক ওসমান গনির ছেলে। সে স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ত।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, শিহাবসহ তার কয়েকজন বন্ধু একটি প্রাচীরের ওপরে বসে গল্প করছিল। প্রাচীরের পাশের জমিতে ট্রাক্টর দিয়ে চাষ করা হচ্ছিল। শিহাব প্রাচীরের ওপর থেকে আকস্মিকভাবে পড়ে ট্রাক্টরের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বনি ইসরাইল দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছেন, এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
ঢাকা/ফারুক/রফিক