জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘আমরা শহীদ আবরার ফাহাদের উত্তরসূরি। সেই শহীদ আবরার ফাহাদের মাটিতে দাঁড়িয়ে রয়েছি, আমরা শহীদ ইয়ামিনের মাটিতে দাঁড়িয়ে রয়েছি। আমরা স্পষ্ট বলেছি, শহীদ আবরার থেকে শহীদ আবু সাঈদ, শহীদ ইয়ামিন পর্যন্ত বাংলাদেশের মানুষের যে আশা–আকাঙ্ক্ষা, আধিপত্য আগ্রাসনবিরোধী আশা–আকাঙ্ক্ষা, সেই আশা–আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে আমরা এগিয়ে যাব।’

আজ মঙ্গলবার বেলা তিনটার দিকে কুষ্টিয়া শহরের পাঁচরাস্তার মোড়ে এক পথসভায় নাহিদ ইসলাম এ কথা বলেন।

আরও পড়ুননাটোরে এনসিপির জুলাই পদযাত্রার ফেস্টুন-ব্যানার ছিঁড়েছে দুষ্কৃতকারীরা০৭ জুলাই ২০২৫আরও পড়ুনপরিবর্তন আমরা এখনো দেখতে পাচ্ছি না: নাহিদ ইসলাম১৯ ঘণ্টা আগেআরও পড়ুন৩ আগস্ট দেশ পুনর্গঠনে ইশতেহার ঘোষণা হবে: নাহিদ ইসলাম০৫ জুলাই ২০২৫

এনসিপির আহ্বায়ক আরও বলেন, ‘আমরা ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে আবরার ফাহাদের পথ ধরে লড়াই করছি। আবার যদি কোনো রাজনৈতিক দল, কোনো রাজনৈতিক পক্ষ সেই আধিপত্যবাদের গোলাম হতে চায়, আমরা তার বিরুদ্ধে দাঁড়াব। বাংলাদেশের জনগণ তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ তৈরি করবে। আমরা স্পষ্টভাবে স্লোগান তুলেছি, গোলামি নয়, আজাদি চাই। ভারতের গোলামি থেকে আমরা মুক্তি পেয়েছি, দিল্লির গোলামি থেকে আমরা মুক্তি পেয়েছি।’

এর আগে বেলা আড়াইটার দিকে প্রচণ্ড বৃষ্টির মধ্যে ভিজে শহরের এনএস রোডে জুলাই পদযাত্রা শুরু করেন এনসিপির নেতা–কর্মীরা। এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, যুগ্ম আহ্বায়ক নুসরাত তাবাসসুম ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা হাত নেড়ে সড়কের দুই পাশের মানুষকে শুভেচ্ছা জানান। পরে পদযাত্রাটি থানা মোড় হয়ে পাঁচরাস্তার মোড়ে পথসভায় মিলিত হয়।

কুষ্টিয়া শহরে এনসিপি নেতাদের পদযাত্রা। মঙ্গলবার বিকেলে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আবর র ফ হ দ র ন হ দ ইসল ম এনস প র পদয ত র

এছাড়াও পড়ুন:

শিশু জিনিয়ার হৃদ্‌যন্ত্রের ছিদ্রের চিকিৎসায় সহায়তা প্রয়োজন

মাত্র চার লাখ টাকায় সুস্থ হয়ে যেতে পারে দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী জিনিয়া আক্তার (১১)। চলতি বছরের শুরুতে তার হৃদ্‌যন্ত্রে ছিদ্র শনাক্ত হয়েছে। এ জন্য জরুরি অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক। কিন্তু তার পরিবারের পক্ষে এত টাকা জোগাড় করা সম্ভব হচ্ছে না।

জিনিয়া নীলফামারীর ডোমার উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের কলমদার গ্রামের আবদুল জব্বারের মেয়ে। আবদুল জব্বার পেশায় গ্রাম পুলিশ।

আবদুল জব্বার বলেন, পৈতৃক সূত্রে পাওয়া চার শতাংশ ভিটেবাড়িই তাঁর একমাত্র সম্বল। পরিবারে বৃদ্ধ বাবা, মা, স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছেন। পরিবারে তিনিই একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। গ্রাম পুলিশের চাকরি করে মাসে সাত হাজার টাকা বেতন পান। এই আয়ের ওপর নির্ভর করে কোনোরকমে চলে তাঁর সংসার।

এমন পরিস্থিতিতে মেয়ের জীবন বাঁচাতে দেশের হৃদয়বান মানুষের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন আবদুল জব্বার। জিনিয়ার জন্য সহায়তা পাঠানো যাবে আবদুল জব্বার, হিসাব নম্বর; ৫৩০৫৮৩৪১২৬৪২৩, সোনালী ব্যাংক, ডোমার শাখা, নীলফামারী। মুঠোফোন নম্বরে— 01774644253 (বিকাশ)।

সম্পর্কিত নিবন্ধ