প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, তাঁরা আশা করছেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে দ্রুত চিঠি পাবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তিনি বলেন, চিঠি না পেলেও ইসি আরও আগে থেকেই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন আয়োজনে বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জ থাকলেও ইসি তার প্রস্তুতি এগিয়ে নিচ্ছে।

আজ বুধবার দুপুরে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিন। তিনি জানান, যেদিন ভোট গ্রহণ করা হবে, তার মাস দুয়েক আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে।

সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ এম এম নাসির উদ্দিন নির্বাচনের চলমান প্রস্তুতির অগ্রগতিও সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, নির্বাচন কমিশনের ওপর মানুষের আস্থা সৃষ্টি করা, ভোটার উপস্থিতি নিশ্চিত করা, এআইয়ের অপব্যবহার রোধ করা এগুলোকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে নির্বাচন কমিশন। তবে তাঁরা আশা করছেন, আগামী নির্বাচন আয়নার মতো স্বচ্ছ হবে।

আরেক প্রশ্নের জবাবে সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। আরও কয়েক মাস সময় আছে। এর মধ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক হয়ে যাবে বলে তাঁরা আশা করছেন।

সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিন আরও জানান, নির্বাচনের প্রস্তুতিমূলক বড় কাজগুলোর মধ্যে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ শেষ পর্যায়ে, সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণের খসড়া প্রকাশ করা হয়েছে, নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের কাজ চলছে, কেনাকাটাও চলছে। আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে বড় প্রস্তুতিমূলক কাজগুলো শেষ হয়ে যাবে বলে তাঁরা আশা করছেন।

সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, নির্বাচন কমিশন একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায়, ভোটারদের ব্যাপক অংশগ্রহণ চায়।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র প রস ত ত করছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব, কারণ জনগণ এটি চায়: ফখরুল 

রাজনৈতিক সংকট সমাধানে তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, “জনগণই এখন নির্বাচন চায় এবং তারাই আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সবচেয়ে বড় প্রহরীর ভূমিকা পালন করবে।” 

বুধবার (৬ আগস্ট) সকালে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, “১৯৯১ সালে একটি ছাত্র গণঅভ্যুত্থানের পরে নির্বাচন হয়েছিলো। তখন তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন হয়েছে। এখন এই নির্বাচন আরো সম্ভব, কারণ জনগণ এটি চায়।” 

দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে নির্বাচন সম্ভব কি না, সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “জনগণই আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য সবচেয়ে বড় প্রহরী হয়ে দাঁড়াবে।”

তিনি বলেন, “আমরা ও পুরো জাতি মনে করে, দ্রুত নির্বাচনই একমাত্র পথ, যা দিয়ে আমরা বর্তমানে রাজনৈতিক সংকট থেকে উত্তরণ করে গণতান্ত্রিক উত্তরণ ঘটাতে পারি।” 

তিনি আরো বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউনূস এখন পর্যন্ত যতগুলো কাজ করেছেন, তাতে তিনি প্রমাণ করেছেন, নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও অবাধ করার জন্য উনি এমন কিছু করবেন না, যাতে করে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে।” 

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।

সংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “গতকালের ঘোষণাপত্রে বলা হয়েছে পরবর্তী নির্বাচিত সংসদ সংবিধানের যাবতীয় সংস্কার-সংশোধনী বাস্তবায়ন করবে। এটিই বৈধ, আইনি ও সাংবিধানিক প্রক্রিয়া।”

ঢাকা/কেএন/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নির্বাচনের আগে লটারির মাধ্যমে এসপি-ওসির পদায়ন হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব, কারণ জনগণ এটি চায়: ফখরুল 
  • অভ্যুত্থানের মুখে পালিয়ে গেলেন শেখ হাসিনা
  • সত্য আড়াল করার চেষ্টা ছিল
  • মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত রুই-কাতলা ধরা পড়ছে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • ১১ মাসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে ৭৬১ মামলা, গ্রেপ্তার ৬১
  • ৫ আগস্ট নিয়ে সরকার সতর্ক, নিরাপত্তাশঙ্কা নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা