টানা দ্বিতীয়বার গ্লোবাল সুপার লিগে অংশগ্রহণ করেছিল রংপুর রাইডার্স। প্রথম আসরে বিপিএলের দলটি গ্লোবাল সুপার লিগে চ‌্যাম্পিয়ন হয়েছিল। এবারও ভালো দল নিয়ে তারা গিয়েছিল প্রতিযোগিতায়। কোনো ম‌্যাচ না হেরে, তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বীতা গড়ে পেয়েছিল ফাইনালের টিকিট। কিন্তু শিরোপা ধরে রাখতে পারেননি। গায়ানা আমাজন ওয়ারিয়র্সের কাছে হেরে শিরোপা হাতছাড়া করে। এই দলটিতে খেলেছিলেন এবং নেতৃত্ব দিয়েছিলেন কাজী নুরুল হাসান সোহান। 

গুঞ্জন উঠেছে, গ্লোবাল সুপার লিগে খেলার জন‌্য জাতীয় দলের হয়ে শ্রীলঙ্কা সফরে যেতে আগ্রহ দেখাননি সোহান। জাতীয় দল তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ম‌্যাচ খেলেছে। সোহানের সাম্প্রতিক পারফরম‌্যান্স, নিউ জিল‌্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষে ধারাবাহিক রান পাওয়ায় মনে হচ্ছিল শ্রীলঙ্কা সফরে তাকে পাঠাবে নির্বাচকরা। কিন্তু তাকে না রেখেই দল বাছাই করেন নির্বাচকরা। কিন্তু গঞ্জন ছড়ায় সোহান ইচ্ছা করেই জাতীয় দলের পরিবর্তে রংপুর রাইডার্সের হয়ে গ্লোবাল সুপার লিগে খেলার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এ নিয়ে সংশ্লিষ্টরা কেউই মুখ খোলেননি।

মিরপুরে আজ সোহানকেই পাওয়া যায় সংবাদ সম্মেলনে। উঠে আসে রংপুর রাইডার্স ও বাংলাদেশ জাতীয় দল প্রসঙ্গ। নিজের প্রতিক্রিয়া জানানোর আগে তিনি একটু অবাকই হয়েছেন, এ ধরণের গুঞ্জন, জল্পনা-কল্পনা ছড়ানোয়। উত্তরে সোহান বলেছেন, ‘‘ফাঁকা ছিলাম বলে খেলেছি। আমি একটা কথা পরিষ্কার করতে চাই। আমার প্রথম পছন্দ কখনোই গ্লোবাল টি–টোয়েন্টি ছিল না। অনেকে বলেন, আমি নাকি গ্লোবাল টি–টোয়েন্টি খেলব বলেই জাতীয় দলে ছিলাম না। কথাটা একেবারেই সত্য নয়।’’

আরো পড়ুন:

অধরা শিরোপার খোঁজে অস্ট্রেলিয়া মিশনে ‘এ’ দল

ছয় বছর পর আবার সভাপতি হচ্ছেন সৌরভ

‘‘আমি তখন চট্টগ্রামে জাতীয় দলের ক্যাম্পে ছিলাম। কিন্তু শ্রীলঙ্কা সিরিজের দলে ডাক পাইনি। ঘরে বসে থেকে সময় নষ্ট করার চেয়ে মনে করেছি গ্লোবাল টি–টোয়েন্টিতে খেলাটা ভালো হবে। জাতীয় দলই সবসময় আমার প্রথম প্রায়োরিটি। শুধু আমি না, সব ক্রিকেটারের ক্ষেত্রেই এটা সত্য। এই বিষয় নিয়ে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে আমার কোনো কথাই হয়নি।’’ - যোগ করেন তিনি।

‘এ’ দল তার নেতৃত্বে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়াতে টপ এন্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে। সেখানে চারদিনের ম‌্যাচ খেলারও সম্ভাবনা আছে তার। এছাড়া এশিয়া কাপের প্রাথমিক ২৫ জনের দলেও জায়গা পেয়েছেন তিনি।

ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জ ত য় দল

এছাড়াও পড়ুন:

জবি প্রশাসনের ‘দায়সারা’ জবাবের প্রতিবাদ শিক্ষার্থীদের

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রণয়ন, দ্বিতীয় ক্যাম্পাস ও দুটি হলের কাজের অগ্রগতি এবং সম্পূরক বৃত্তি কার্যকর না হওয়ার প্রতিবাদ ব্যতিক্রমী কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (৬ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে একটি চেয়ারে ‘প্রশাসন’ লিখে বসিয়ে এ প্রতীকী প্রতিবাদ জানান শিক্ষার্থীরা।

ওই চেয়ারের সামনে রাখা প্ল্যাকার্ডে তারা ‘ছাত্র সংসদ কবে হবে?’, ‘দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ কবে শুরু হবে?’, ‘পুরান ঢাকায় দুটি হলের কাজ কবে হবে?’, ‘সম্পূরক বৃত্তি কবে হবে?’ লিখেছেন।

আরো পড়ুন:

রাবিতে বিজয় ফিস্টের খাবার খেয়ে অসুস্থ ৮৩ শিক্ষার্থী

চবি প্রশাসনকে নিয়ে পথনাটক ‘বহুতদিন অইয়ে আর মুলা ন ঝুলায়ো’

এসব প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের বক্তব্যের অনুকরণে চেয়ারে লিখে দেন— ‘আলহামদুলিল্লাহ’, ‘চিঠি পাঠিয়েছি’, ‘বের হয়ে যাও’, ‘হচ্ছে, চলছে, চলমান’, ‘৮টা টু ৮টা’।

এ বিষয়ে আপ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সদস্য ও পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মাসুদ রানা বলেন, “জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নীরবতা শিক্ষার্থীদের প্রতি চরম অবহেলার প্রতিফলন। ন্যায্য অধিকার- সম্পূরক বৃত্তি প্রদান ও জকসু নির্বাচনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে প্রশাসনের নির্লিপ্ত ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। আজকের প্রতীকী কর্মসূচির মাধ্যমে জানিয়ে দিচ্ছি— এই নীরবতা চলতে দেওয়া হবে না। প্রশাসন যদি দ্রুত সিদ্ধান্ত না নেয়, বৃহত্তর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হব।”

অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ফয়সাল আহমেদ বলেন, “এই জবাবদিহিতা কোনো আনুষ্ঠানিকতা নয়; অথর্ব ও মেরুদণ্ডহীন প্রশাসনের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ। গণঅভ্যুত্থানের পর যাদের ক্ষমতায় আনতে আমরা গেট লক কর্মসূচি পালন করেছিলাম, তারাই আজ মৌলিক অধিকার নিয়ে উদাসীন।”

তিনি বলেন, “আবাসন, ভাতা, ছাত্র সংসদ— সবখানেই ব্যর্থতা। দ্বিতীয় ক্যাম্পাস ও দুটি হলের কাজের কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়নি। এই প্রতীকী জবাবদিহিতা প্রশাসনের ব্যর্থতা ও গাফিলতির নগ্ন মুখোশ খুলে দিতেই।”

সম্প্রতি জকসু নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. শেখ গিয়াস উদ্দিনকে প্রশ্ন করলে তিনি দুই সাংবাদিকের ওপর চড়াও হন এবং জকসু ইস্যুতে কোনো মন্তব্য করতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেন।

২০০৫ সালে প্রণীত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইনে ছাত্র সংসদ গঠনের বিধান না থাকায় প্রতিষ্ঠার পর থেকে জকসু নির্বাচন হয়নি। গত ২ জানুয়ারি ৯৯তম সিন্ডিকেট সভায় জকসু গঠনতন্ত্র প্রণয়নের জন্য কমিটি গঠন করা হয়। ৭ মে ১০০তম বিশেষ সিন্ডিকেট সভায় আরো একটি উচ্চতর কমিটি গঠন করা হয়, যা বর্তমানে প্রাপ্ত মতামতের ভিত্তিতে গঠনতন্ত্রকে আইন আকারে প্রণয়নের প্রক্রিয়া চালাচ্ছে।

শিক্ষার্থীদের দাবি, গঠনতন্ত্র প্রণয়নের অজুহাত দেখিয়ে প্রশাসন সময়ক্ষেপণ করছে। ফলে শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের পথ আরো দীর্ঘ হচ্ছে।

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ