বাংলাদেশ দল নাকি রংপুর রাইডার্স, যা বললেন নুরুল হাসান
Published: 6th, August 2025 GMT
টানা দ্বিতীয়বার গ্লোবাল সুপার লিগে অংশগ্রহণ করেছিল রংপুর রাইডার্স। প্রথম আসরে বিপিএলের দলটি গ্লোবাল সুপার লিগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। এবারও ভালো দল নিয়ে তারা গিয়েছিল প্রতিযোগিতায়। কোনো ম্যাচ না হেরে, তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বীতা গড়ে পেয়েছিল ফাইনালের টিকিট। কিন্তু শিরোপা ধরে রাখতে পারেননি। গায়ানা আমাজন ওয়ারিয়র্সের কাছে হেরে শিরোপা হাতছাড়া করে। এই দলটিতে খেলেছিলেন এবং নেতৃত্ব দিয়েছিলেন কাজী নুরুল হাসান সোহান।
গুঞ্জন উঠেছে, গ্লোবাল সুপার লিগে খেলার জন্য জাতীয় দলের হয়ে শ্রীলঙ্কা সফরে যেতে আগ্রহ দেখাননি সোহান। জাতীয় দল তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছে। সোহানের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স, নিউ জিল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষে ধারাবাহিক রান পাওয়ায় মনে হচ্ছিল শ্রীলঙ্কা সফরে তাকে পাঠাবে নির্বাচকরা। কিন্তু তাকে না রেখেই দল বাছাই করেন নির্বাচকরা। কিন্তু গঞ্জন ছড়ায় সোহান ইচ্ছা করেই জাতীয় দলের পরিবর্তে রংপুর রাইডার্সের হয়ে গ্লোবাল সুপার লিগে খেলার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এ নিয়ে সংশ্লিষ্টরা কেউই মুখ খোলেননি।
মিরপুরে আজ সোহানকেই পাওয়া যায় সংবাদ সম্মেলনে। উঠে আসে রংপুর রাইডার্স ও বাংলাদেশ জাতীয় দল প্রসঙ্গ। নিজের প্রতিক্রিয়া জানানোর আগে তিনি একটু অবাকই হয়েছেন, এ ধরণের গুঞ্জন, জল্পনা-কল্পনা ছড়ানোয়। উত্তরে সোহান বলেছেন, ‘‘ফাঁকা ছিলাম বলে খেলেছি। আমি একটা কথা পরিষ্কার করতে চাই। আমার প্রথম পছন্দ কখনোই গ্লোবাল টি–টোয়েন্টি ছিল না। অনেকে বলেন, আমি নাকি গ্লোবাল টি–টোয়েন্টি খেলব বলেই জাতীয় দলে ছিলাম না। কথাটা একেবারেই সত্য নয়।’’
আরো পড়ুন:
অধরা শিরোপার খোঁজে অস্ট্রেলিয়া মিশনে ‘এ’ দল
ছয় বছর পর আবার সভাপতি হচ্ছেন সৌরভ
‘‘আমি তখন চট্টগ্রামে জাতীয় দলের ক্যাম্পে ছিলাম। কিন্তু শ্রীলঙ্কা সিরিজের দলে ডাক পাইনি। ঘরে বসে থেকে সময় নষ্ট করার চেয়ে মনে করেছি গ্লোবাল টি–টোয়েন্টিতে খেলাটা ভালো হবে। জাতীয় দলই সবসময় আমার প্রথম প্রায়োরিটি। শুধু আমি না, সব ক্রিকেটারের ক্ষেত্রেই এটা সত্য। এই বিষয় নিয়ে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে আমার কোনো কথাই হয়নি।’’ - যোগ করেন তিনি।
‘এ’ দল তার নেতৃত্বে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়াতে টপ এন্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে। সেখানে চারদিনের ম্যাচ খেলারও সম্ভাবনা আছে তার। এছাড়া এশিয়া কাপের প্রাথমিক ২৫ জনের দলেও জায়গা পেয়েছেন তিনি।
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
লিভারপুলের আর্জেন্টাইন হেডে ‘ভাঙল’ রিয়ালের কোর্তোয়া-দেয়াল
লিভারপুল ১-০ রিয়াল মাদ্রিদ
কিছু খেলোয়াড়ের জন্মই হয় বড় মঞ্চের জন্য। থিবো কোর্তোয়া কোন কাতারে পড়েন তা অনেকেরই জানা। বিশেষ করে লিভারপুল সমর্থকদের। তিন বছর আগের চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল এত দ্রুত ভোলার কথা নয়।
সেই লিভারপুলের মাঠ অ্যানফিল্ডে আজ ম্যাচের ৫০ মিনিট পর্যন্ত কোর্তোয়ার নামের পাশে সেভ লেখা ৬টি! তবু শেষ রক্ষা হয়নি। ৬১ মিনিটে অ্যালেক্সিস ম্যাক-অ্যালিস্টারের হেড বেলজিয়ান এই গোলকিপার আর ফেরাতে পারেননি। আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডারের গোলই শেষ পর্যন্ত রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে লিভারপুলকে এনে দেয় ১-০ গোলের জয়।
গোলের আগ পর্যন্ত ম্যাচটি ছিল আসলে কোর্তোয়া বনাম লিভারপুল। প্রথমার্ধেই চারটি দারুণ সেভ করেন। দুই অর্ধ মিলিয়ে লিভারপুল মিডফিল্ডার দমিনিক সোবোসলাইয়ের একাধিক শট ফেরান কোর্তোয়া। ম্যাচের শেষ দিকেও নিশ্চিত গোল বাঁচিয়েছেন।
৮৬ মিনিটে ডান প্রান্ত থেকে মোহাম্মদ সালাহর শট বক্সে পেয়ে যান ডাচ ফরোয়ার্ড কোডি গাকপো। খুব কাছ থেকে তাঁর শট প্রথমে ঠেকান কোর্তোয়া। ফিরতি বলে সালাহর শট ফেরান রিয়াল ডিফেন্ডার এদের মিলিতাও।
প্রথমার্ধেও রিয়ালের এমন একটি নিশ্চিত গোল হজম থেকে বাঁচিয়েছেন কোর্তোয়া। ২৭ মিনিটে লিভারপুলের অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার ফ্লোরিয়ান ভির্টৎসের ক্রস রিয়ালের গোলপোস্টের সামনে পান সোবোসলাই। তাঁর শট অবিশ্বাস্য দক্ষতায় ডান পা দিয়ে ঠেকান কোর্তোয়া। প্রথমার্ধের শেষ দিকে লিভারপুলের গোলকিপার গিওর্গিও মামারদাশভিলির একবার পরীক্ষা নিতে পারে রিয়াল। বাঁ প্রান্ত দিয়ে বক্সে ঢুকে জুড বেলিংহামের শট পা দিয়ে ঠেকান।
রিয়াল গোল হজম করেছে বেলিংহামের ভুলেই। ৬১ মিনিটে গ্রাভেনবার্চকে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন ইংল্যান্ড মিডফিল্ডার। ডান প্রান্তে ফ্রি কিক পায় লিভারপুল। সেখান থেকে সোবোসলাইয়ের মাপা শটে হেডে গোল করেন ম্যাক-অ্যালিস্টার।
বিস্তারিত আসছে…।