বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) বিনিয়োগ শিক্ষা সংক্রান্ত ওয়েবসাইট ও ইউটিউব লিংক জাতীয় তথ্য বাতায়নে যুক্ত করা হয়েছে। বিনিয়োগ শিক্ষা সংক্রান্ত সকল তথ্য এতে পাওয়া যাবে। বিনিয়োগ শিক্ষার প্রসার এবং আর্থিক সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যেই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

বুধবার (৬ আগস্ট) বিএসইসির মুখপাত্র ও পরিচালক আবুল কালাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, জাতীয় তথ্য বাতায়ন (Bangladesh.

gov.bd) হোমপেজে গিয়ে নিচে স্ক্রল করলে ডানপাশে ‘সকল বাতায়ন’ মেনু পাওয়া যাবে। উক্ত মেনু হতে যেকোন বিভাগ/জেলা/উপজেলা/ইউনিয়ন অপশনে ক্লিক করলে উক্ত বিভাগ/জেলা/উপজেলা/ইউনিয়ন ওয়েবসাইটে যাওয়া যাবে। ওয়েবসাইটের হোমপেজে নিচে গেলে ডানপাশে বিএসইসির বিনিয়োগ শিক্ষা সংক্রান্ত ওয়েবসাইট লিংক ও ইউটিউব লিংক পাওয়া যাবে। বিনিয়োগ শিক্ষা সংক্রান্ত সকল তথ্য এতে পাওয়া যাবে।

আরো পড়ুন:

সহযোগী কোম্পানির মালিকানা বিক্রি করবে কনফিডেন্স সিমেন্ট

পুঁজিবাজারে সূচকের পতন, কমেছে লেনদেন ‎

উদাহারণসরূপ Bangladesh.gov.bd ওয়েবসাইটে নিচে স্ক্রল করলে ডানপাশে ‘সকল বাতায়ন’ লেখা একটি অপশন দেখা যায়। ওখানে চট্টগ্রাম বিভাগ ক্লিক করলে (https://chattogramdiv.gov.bd/) চট্টগ্রাম বিভাগের হোমপেজ আসবে। হোমপেজের নিচে গেলে ডানপাশে ‘বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রম’ লেখার সাথে ওয়েবসাইট লিংক ও ইউটিউব লিংক পাওয়া যাবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, দেশব্যাপী বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রম ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিএসইসি বিবিধ কার্যক্রম গ্রহণ করেছে, যার আওতায় বিনিয়োগ শিক্ষার প্রাথমিক ধারণা, গুরুত্বপূর্ণ সচেতনতামূলক বার্তা, তথ্যচিত্র ও ভিডিও কনটেন্ট বিনিয়োগ শিক্ষা সংক্রান্ত ওয়েবসাইট (http:// www.finlitbd.com) ও ইউটিউব চ্যানেল (https://www.youtube.com/@financialliteracyprogramba6178) চালু রয়েছে। সঠিক বিনিয়োগ শিক্ষার ফলে আর্থিক জালিয়াতি থেকে রক্ষা পাওয়া এবং সুরক্ষিত আর্থিক ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার দ্বৈত সুবিধা পাওয়া যায়। বিনিয়োগ শিক্ষা বিনিয়োগকারীদের বিভিন্ন বিনিয়োগ পণ্যে উপযুক্ততা সম্পর্কে প্রয়োজনীয় জ্ঞান প্রদান করে তাদেরকে সঠিক বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করে।

বিনিয়োগ শিক্ষার বিকাশ ও প্রসারের মাধ্যমে আগামীতে দেশের পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীরা আরো ভালো বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম হবেন বলে বিএসইসি আশা করে।

ঢাকা/এনটি/এসবি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এসইস

এছাড়াও পড়ুন:

বড় বিনিয়োগকারীদের মুনাফার তথ্য চেয়ে সকালে চিঠি, বিকেলে না

গত ২০২৪–২৫ অর্থবছরে বিনিয়োগ করে ৫০ লাখ টাকা বা তার বেশি মূলধনি মুনাফা করেছে, এমন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের তথ্য চেয়ে চিঠি পাঠিয়ে সেটির কার্যকারিতা স্থগিত করেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ বা সিএসই। আজ বৃহস্পতিবার সকালে এই তথ্য চেয়ে বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউসে চিঠি পাঠিয়েছিল সিএসই। বিকেলে সিএসই সেই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে কোনো তথ্য দিতে হবে না বলে ব্রোকারেজ হাউসগুলোর কাছে বার্তা পাঠায়।

জানা যায়, পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে সিএসইর পক্ষ থেকে ওই চিঠি ব্রোকারেজ হাউসগুলোতে বিতরণ করা হয়। বড় বিনিয়োগকারীদের মুনাফার ব্যক্তিগত তথ্য চেয়ে আজ সকালে চিঠিটি বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউসে পাঠানোর পর তা নিয়ে বাজারে প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এরপর বিকেলে তা সিএসই ফিরতি এক বার্তায় তথ্য দিতে হবে না বলে ব্রোকারেজ হাউসগুলোকে জানিয়ে দেয়।

জানা যায়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বা এনবিআরের এক চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে ৫০ লাখ টাকার বেশি মূলধনি মুনাফা করেছে, এমন বিনিয়োগকারীর তথ্য চেয়ে গত ১৪ সেপ্টেম্বর দুই স্টক এক্সচেঞ্জের কাছে চিঠি পাঠায় বিএসইসি। চিঠিতে ব্রোকারেজ হাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংক থেকে এসব তথ্য সংগ্রহ করে বিএসইসিতে জমা দেওয়ার কথা বলা হয়। তবে তথ্য দেওয়ার কোনো সময়সীমা চিঠিতে উল্লেখ করা হয়নি।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এনবিআর থেকে এ ধরনের তথ্য চাওয়া হলে বাজারে সেটির প্রতিক্রিয়া কী হতে পারে, তা না ভেবেই বিএসইসির পক্ষ থেকে বিনিয়োগকারীদের এসব তথ্য চেয়ে স্টক এক্সচেঞ্জে চিঠি পাঠানো হয়েছিল। তবে বিএসইসির সঙ্গে আলোচনা না করে ব্রোকারেজ হাউসগুলোর কাছে এ ধরনের চিঠি না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় ডিএসই। এর কারণ, চিঠিতে বিনিয়োগকারীদের যে তথ্য চাওয়া হয়েছে, তা অত্যন্ত সংবেদনশীল এবং বিনিয়োগকারীদের ব্যক্তিগত গোপনীয় তথ্য। তা ছাড়া এমন তথ্য পাঠানোর কোনো সময়সীমাও ছিল না। এ কারণে ডিএসইর পক্ষ থেকে এই চিঠি আর ব্রোকারেজ হাউসগুলোতে বিতরণ করা হয়নি। তবে সিএসই আজ সকালে এই চিঠি বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউসে পাঠায়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএসইসির সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে জানান, আপাতত এ বিষয়ে আর অগ্রসর না হওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এনবিআরের সঙ্গে আলোচনা করে পরে বিষয়টির সমাধান করা হবে।

গত বছর শেয়ারবাজারে ৫০ লাখ টাকার বেশি মূলধনি মুনাফার ওপর ১৫ শতাংশ হারে করারোপ করা হয়। সেই হিসাবে ২০২৪–২৫ অর্থবছরে যেসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ৫০ লাখ টাকার বেশি মুলধনি মুনাফা করেছে, তাদের কর দেওয়ার কথা। সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীরা কর দিচ্ছেন কি না, তা যাচাইয়ে গত ২৫ আগস্ট এনবিআর থেকে এ বিষয়ে তথ্য চেয়ে বিএসইসিতে চিঠি পাঠানো হয়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ১৪ সেপ্টেম্বর এই তথ্য চেয়ে বিএসইসির পক্ষ থেকে ডিএসই ও সিএসইকে চিঠি দেওয়া হয়।

একাধিক ব্রোকারেজ হাউস জানিয়েছে, আজ সকালে সংস্থাটির সদস্যভুক্ত ব্রোকারেজ হাউসে এই চিঠি পাঠিয়ে তথ্য চাওয়া হয়েছে। তবে বিকেলে তথ্য পাঠাতে হবে না মর্মে নতুন বার্তা পাঠানো হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চাকরির আবেদনের ক্ষেত্রে জনপ্রিয় হচ্ছে ‘ইউরোপাস সিভি’, কীভাবে তৈরি করবেন
  • গোল্ডেন হারভেস্টের নিরীক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ
  • বড় বিনিয়োগকারীদের মুনাফার তথ্য চেয়ে সকালে চিঠি, বিকেলে না
  • জেনেক্স ইনফোসিসের নয় পরিচালককে সোয়া ৯ কোটি টাকা জরিমানা