বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ: ‘রিকমেন্ডেশন’ লেটার কেন ‘তদবির’ হয়ে ওঠে
Published: 6th, August 2025 GMT
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এক বিভাগের শিক্ষক নিয়োগে এক প্রার্থীর প্রবেশপত্র ভুলবশত বিশ্ববিদ্যালয়টির সহ-উপাচার্য ফরিদ খানের ফেসবুকের ‘স্টোরিতে’ চলে এসেছে। সহ-উপাচার্যের দাবি, তাঁর ছেলে মুঠোফোন খেলার ছলে ওই প্রার্থীর ‘প্রবেশপত্র’ চলে আসে, যার জন্য তিনি ‘ক্ষমা প্রার্থনা’ করেন।
তবে বিষয়টি এখানেই শেষ হয়নি, এই প্রবেশপত্রে এক রাজনৈতিক দলের সাবেক সংসদ সদস্যের নাম ও জেলার নাম হস্তাক্ষরে স্বাক্ষর করা হয়েছে, যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। অনেকে বলছে, সহ-উপাচার্যের এই ‘ভুলবশত’ আপলোড অভ্যুত্থান–পরবর্তী বিশ্ববিদ্যালয় নিয়োগব্যবস্থার সামগ্রিক চিত্র তুলে আনছে, বিশেষ করে ‘তদবিরচর্চা’ আগের মতো আছে। অরাজনৈতিক সরকারের সময়ে রাজনৈতিক সুপারিশ ঠিক কতটা কাজে লাগছে, তা সময় বলে দেবে, তবে আপাতত এই আলোচনা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগে ‘সুপারিশনামা’ প্রয়োজনীয়তা বিষয়ক।
আমাদের দেশে সবার ধারণা থাকে, কারও নামে সুপারিশ করা মানে খারাপ বা অসৎ উদ্দেশ্যে চাকরি/নিয়োগে প্রভাব বিস্তার করা। প্রার্থীর যোগ্যতা থাকুক না থাকুক, এমন সুপারিশনামা পাওয়ার পর ‘নিয়োগকর্তা’রা সেই সুপারিশকারীর ওজন মেপে সিদ্ধান্ত নেন, চাকরি দেন কিংবা দেওয়ার সুযোগ করে দেন। এই বহুল চর্চিত বিষয়টি আমাদের দেশে ‘স্বজনপ্রীতি’ একটি বড় অনুষঙ্গ।
আরও পড়ুনবিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে লিখিত পরীক্ষার যৌক্তিকতা কতটুকু০১ আগস্ট ২০২৫কয়েক দশক ধরে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষক নিয়োগে দেশের মন্ত্রী, এমপি, স্থানীয় প্রভাবশালীদের সুপারিশ জোগাড় করা ‘প্রার্থীদের’ যোগ্যতা হিসেবে দেখা হয়। একাডেমিক যোগ্যতা যেটাই থাকুক না, ক্ষমতাশালীদের এমন সুপারিশে যে কাজ হয়, তার নিদর্শন শত শত আছে। সম্ভবত এসব কারণে গণ-অভ্যুত্থানের পর দেশে বিপুলসংখ্যক মানুষ চাকরি হারিয়েছেন, মূলত আগের সরকারের সুপারিশে নিয়োগপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে।
প্রশ্ন সেটা নয়, সারা বিশ্বে বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি ভর্তি থেকে শুরু করে পোস্টডক, গবেষক এবং শিক্ষক নিয়োগে রিকমেন্ডেশন বা সুপারিশপত্র থাকা, সেই সব নিয়োগের যোগ্যতার বা আবেদনের অন্যতম শর্ত। এই শর্ত পূরণ প্রত্যেক প্রার্থীর জন্য জরুরি। কারণ, এমন রিকমেন্ডেশন ওই প্রার্থীর যোগ্যতা নিরূপণের একটি বড় হাতিয়ার হিসেবে ধরা হয়। তাই একাডেমিক সনদের পাশাপাশি আবেদনপত্রে ‘রেফারেন্স’ হিসেবে তিন–চারজনের নাম উল্লেখ করতে হয়, যা পরবর্তী সময়ে নিয়োগ বোর্ড ওই প্রার্থীর জন্য তাঁদের কাছ থেকে সুপারিশপত্র সংগ্রহ করে।
প্রার্থীর জন্য কারা কারা সুপারিশ করবেন, তার কিছু শর্তও দেওয়া থাকে। যেমন প্রার্থীর পিএইচডি তত্ত্বাবধায়ক, তাঁর সর্বশেষ কর্মস্থলের তত্ত্বাবধায়ক/নিয়োগকর্তা কিংবা প্রার্থীর সঙ্গে কাজ করেছেন, এমন ব্যক্তি যিনি তাঁকে ভালো করে জানেন। এসব সুপারিশের ওপর নির্ভর করে সেই প্রার্থীর মৌলিক গুণাবলি। কারণ, দেশের বাইরে যাঁরা সুপারিশপত্র লেখেন, তাঁরা মূলত প্রার্থীর বিষয়ে সততার সঙ্গে লেখেন। ফলে দেশের বাইরের শিক্ষক নিয়োগে এমন সুপারিশনামা বড্ড বেশি কাজের হয়ে থাকে। আর এটাই সর্বজনীন নিয়ম।
কিন্তু এই আদর্শিক নিয়ম বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রয়োজন হলেও আমাদের দেশের শিক্ষক নিয়োগের ‘বিজ্ঞপ্তিতে’ এমন সুপারিশপত্র চাওয়ার কোনো নজির দেখিনি। তবে আবেদনপত্রের সঙ্গে সেঁটে দেওয়া এমপি/মন্ত্রী/মেয়র কিংবা সচিবদের সুপারিশনামার ওপর ভর করে প্রার্থী বাছাইয়ের দুর্লভ নিয়োগ আমাদের দেশে বছরের পর বছর ধরে চলে আছে। যাদের সঙ্গে ন্যূনতম যোগাযোগ নেই, যে প্রার্থীকে কোনো দিন দেখেনি, সেই প্রার্থীর হয়ে লিখে, আমি তাকে ব্যক্তিগতভাবে চিনি, তিনি অমুক আদর্শের লোক, আপনি তাঁর বিষয়টি দেখতে পারেন, এই সব কথা বলে উপাচার্য বরাবর চিঠি দেয় মূলত প্রার্থীর কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে।
সবচেয়ে মজার বিষয় হলো, একাডেমিক নিয়োগে প্রার্থীর সঙ্গে ওই সুপারিশকারীরা না করেছে একাডেমিক কাজ, না করেছে তাঁর গবেষণার তত্ত্বাবধায়ক। অথচ তাঁরাই করছেন চাকরির সুপারিশ, যা কেবল অনৈতিক চর্চাই নয়, দেশকে সামগ্রিক পিছিয়ে ফেলার বড় কৌশলমাত্র। কেন তাঁরা এই কাজ করেন?
এই প্রশ্নের সহজ উত্তর আর্থিক সুবিধা আর দ্বিতীয়টি রাজনৈতিক দলের লোকবল বৃদ্ধি। যদিও অনেক সময় দেখা যায়, কেবল আর্থিক সুবিধার জন্য ভিন্ন রাজনৈতিক দলের সমর্থকদের তাঁরা সুপারিশ করে চাকরি পাইয়ে দেন। ফলে দেশের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগব্যবস্থা এতটাই দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে যে সেখানে মেরুদণ্ডওয়ালা শিক্ষক খুঁজে পাওয়া মুশকিল।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য ফরিদ খানের ফেসবুকের ‘স্টোরিতে’ চলে আসা শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: এমন স প র শ স প র শপত র আম দ র দ শ এক ড ম ক র জন ত ক র জন য য গ যত
এছাড়াও পড়ুন:
আরব আমিরাতের সেরা ১০ স্কলারশিপ: এভিয়েশন–মেডিকেলে পড়াশোনা
মধ্যপ্রাচ্যের সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য অন্যতম গন্তব্য হয়ে উঠছে। দেশটির অনেক উচ্চ শিক্ষার প্রতিষ্ঠান বিশ্বের বিভিন্ন জরিপে জায়গাও করে নিচ্ছে। বিদেশি ও দেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ফুল ফান্ডেড বৃত্তি দেয় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়। বিদেশি শিক্ষার্থী যারা আরব আমিরাতে উচ্চশিক্ষার পড়ার স্বপ্ন দেখেন তাদের জন্য ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে ১০টি বৃত্তি (পূর্ণ-ফান্ডেড ও আংশিক-ফান্ডেড) তথ্য দেওয়া হলো।
এসব বৃত্তি আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে (যেমন—স্টেম, ব্যবসা, মানববিদ্যা) উচ্চমানের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার সুযোগ দেয়। বৃত্তি প্রোগ্রামগুলোর মধ্যে রয়েছে অংশ-ফান্ডেড এবং পুরোপুরি-ফান্ডেড ধরনের বৃত্তি, যা শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি মওকুফ বা অন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করে।
সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) আধুনিক অবকাঠামো, বহুসাংস্কৃতিক পরিবেশ এবং উন্নত প্রযুক্তিমূলক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য পরিচিত। এসব কারণে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য একটি আকর্ষণীয় পড়াশোনার গন্তব্য হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে দেশটি।
আরও পড়ুনইউরোপের সেরা ১০ বৃত্তি ও ফেলোশিপের খোঁজ২২ অক্টোবর ২০২৫১. এমবিজেডইউএআই স্কলারশিপ—
মোহাম্মদ বিন জায়েদ ইউনির্ভাসিটি অব আর্টফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স (এমবিজেডইউএআই) বৃত্তিটি পূর্ণ ফান্ডেড। পড়াশোনার প্রায় সব খরচ মেলে এ বৃত্তিতে। স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি প্রোগ্রামে মাসে মাসে মিলবে হাত খরচ।
ডেডলাইন: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫
বৃত্তির সুবিধা:শিক্ষার্থীরা পূর্ণ টিউশন ফি মওকুফ পাবেন
মাস্টার্স শিক্ষার্থীদের মাসিক ভাতা হবে ১৫ হাজার দিরহাম এবং পিএইচডি শিক্ষার্থীদের জন্য ১৭ হাজার ৫০০ দিরহাম (১ দিরহাম সমান ৩৩ টা ২৬ পয়সা)।
আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য আবাসনের খরচ এই ভাতার অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
স্বাস্থ্যবিমা প্রদান করা হবে।
ইউএই ভিসা স্পনসরশিপের সুবিধা থাকবে।
আরও পড়ুনযুক্তরাজ্যে নতুন অভিবাসন নীতি: প্রয়োজন এ-লেভেল মানের ইংরেজি দক্ষতা১৯ অক্টোবর ২০২৫২. খলিফা ইউনিভার্সিটি স্কলারশিপ ইন ইউএই ২০২৫এই বৃত্তিতে পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তি হতে পারবেন শিক্ষার্থীরা। নেই কোনো আবেদন ফি। ফুল ফান্ডেড এই বৃত্তিতে পড়ার খরচ নিয়ে কোনো চিন্তা করতে হবে না শিক্ষার্থীদের। টিউশন ফি মওকুফ, মেডিকেল ইনস্যুরেন্স, আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে অংশগ্রহণের সহায়তাসহ মাসিক ভাতাও পাবেন শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়টি ইউএই-এর অন্যতম সেরা প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত। খলিফা ইউনিভার্সিটিতে আংশিক ফান্ডেড বৃত্তিও দেওয়া হয়, যা বৃত্তির স্তর অনুযায়ী নির্ধারিত হয়।
৩. আবুধাবি ইউনিভার্সিটি স্কলারশিপ ইন ইউএই ২০২৫-২৬আবুধাবি বিশ্ববিদ্যালয় (এডিইউ–ADU) স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীদের জন্য পূর্ণ ও আংশিক বৃত্তি প্রদান করে। এই বৃত্তিতে শিক্ষার্থীদের একাডেমিক রেকার্ড ও সহশিক্ষা কার্যক্রমে মূল্য দেয়। এর লক্ষ্য হলো প্রতিভাবান শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার সুযোগ দেওয়া এবং ইউএই-এর শিক্ষার মান উন্নয়ন করা।
৪. ইউএই ইউনিভার্সিটি স্কলারশিপ ফর ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্টস ২০২৫সংযুক্ত আরব আমিরাত বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য পূর্ণ ও আংশিক বৃত্তি দিচ্ছে। বৃত্তিটি স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য এবং এতে টিউশন ফি-এর ৭৫% বা ৫০% পর্যন্ত ছাড় দেওয়া হয়। যেসব শিক্ষার্থী মাধ্যমিকে ভালো ফল করেছে, তারা পূর্ণ টিউশন ফি-এর বৃত্তি পেতে পারে।
আরও পড়ুনইংল্যান্ডের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বাড়ছে টিউশন ফি২১ অক্টোবর ২০২৫৫. এমিরেটস অ্যাভিয়েশন ইউনিভার্সিটি স্কলারশিপবিমানবিষয়ে আগ্রহীদের জন্য এমিরেটস অ্যাভিয়েশন ইউনিভার্সিটি অসাধারণ সুযোগ দিচ্ছে। এটি এমিরেটস গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এবং বিমানচালনা-সংক্রান্ত উচ্চমানের শিক্ষা প্রদানে বিশেষায়িত। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা এখানে তাদের স্বপ্নের পেশা গড়ে তুলতে পারবেন।
৬. জায়েদ ইউনিভার্সিটি স্কলারশিপ ইন ইউএইইউএই-এর প্রতিষ্ঠাতা শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ানের নামে প্রতিষ্ঠিত জায়েদ ইউনিভার্সিটি সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনে উৎসাহ দিতে পূর্ণ ও আংশিক বৃত্তি দেয়।
এতে শিক্ষার্থীরা আর্থিক সহায়তা ও ভাতা পেয়ে পড়াশোনার খরচ সহজে বহন করতে পারে।
৭. আমেরিকান ইউনিভার্সিটি ইন দুবাই স্কলারশিপআমেরিকান ইউনিভার্সিটি ইন দুবাই (এইউডি–AUD) স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ব্যবসা, স্থাপত্য ও প্রকৌশল বিষয়ে পূর্ণ ফান্ডেড বৃত্তি দিচ্ছে। বৃত্তিটি নেতৃত্বগুণ,একাডেমিক কৃতিত্ব ও সামাজিক অবদানের ওপর ভিত্তি করে প্রদান করা হয়।
৮. বোহেরিঙ্গার ইনগেলহেইম ফান্ডস এমডি ফেলোশিপ ২০২৫চিকিৎসা গবেষণায় আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য এই ফেলোশিপ একটি বড় সুযোগ। এতে মাসিক ভাতা, ভ্রমণ ভাতা, ব্যক্তিগত পরামর্শ এবং বৈশ্বিক ফেলো ও অ্যালামনাই নেটওয়ার্কে যোগদানের সুযোগ থাকবে।
আরও পড়ুনফ্রিল্যান্সিংয়ে নামার আগে এ পাঁচটি বিষয় ভাবুন১৯ অক্টোবর ২০২৫৯. কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি দুবাই স্কলারশিপকানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি দুবাই আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য একাধিক বৃত্তি দিচ্ছে। প্রত্যেক বৃত্তির শর্ত ও অর্থায়ন ভিন্ন ভিন্ন।
১০. মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভস স্কলারশিপএ বৃত্তিগুলো শিক্ষার পাশাপাশি সামাজিক উন্নয়নেও অবদান রাখে। এ প্রোগ্রামের সর্বোচ্চ ১০০ শতাশ টিউশন ফি কভার করা হয়, বাকি খরচ আবেদনকারীকেই বহন করতে হবে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের এসব বৃত্তি শুধু অর্থনৈতিক সহায়তাই নয়, বরং শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত উন্নয়ন, একাডেমিক উৎকর্ষতা ও সমাজে অবদান রাখার পথ তৈরি করে। প্রযুক্তি, বিমানচালনা, চিকিৎসা বা অন্য যে কোনো ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিতে চাইলে এসব বৃত্তিই হতে পারে ভবিষ্যতের চাবিকাঠি। পূর্ণ বা আংশিক ফান্ডেড যেকোনো ইউএই স্কলারশিপ বেছে নিয়ে আপনি গড়ে তুলতে পারেন নিজের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার।