কতভাবে আউট হন একজন ব্যাটসম্যান, যে আউটের ঘটনা আছে একবারই
Published: 7th, August 2025 GMT
আঙুল তুলে আউটের সংকেত দিচ্ছেন আম্পায়ার—ক্রিকেট মাঠের অন্যতম পরিচিত দৃশ্য। ফিল্ডিং দল কিংবা তাঁদের সমর্থকদের জন্য সবচেয়ে আকাঙ্ক্ষিত দৃশ্য এটি। আম্পায়ারের সংকেতের পর মন খারাপ নিয়ে ড্রেসিংরুমে ফিরতে হয় ব্যাটসম্যানকে। ১০ জন ফিরলেই যে শেষ হয় ইনিংস।
কখনো কি আপনার মনে প্রশ্ন জেগেছে, ক্রিকেটে একজন ব্যাটসম্যান কতভাবে আউট হতে পারেন? ক্রিকেটের আইনকানুন তৈরি করে মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাব বা এমসিসি। তাদের বইয়ে সব মিলিয়ে ১০ ধরনের আউটের কথা উল্লেখ আছে—বোল্ড, ক্যাচ, এলবিডব্লু (লেগ বিফোর উইকেট), রানআউট, স্টাম্পড, রিটায়ার্ড আউট, হিট দ্য বল টোয়াইস, হিট উইকেট, অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড ও টাইমড আউট।
ক্রিকেটের সঙ্গে টুকটাক পরিচিতি থাকলে আপনার কিছু আউট সম্পর্কে জানা থাকার কথা—যেমন বোলার যদি বল করে ব্যাটসম্যানের স্টাম্প ভেঙে দিতে পারেন, তাহলে বোল্ড, আকাশে তুলে মারলে বল মাটিতে পড়ার আগে বাউন্ডারির ভেতরে থাকা ফিল্ডার ধরে ফেললে ক্যাচ, রান নেওয়ার সময় ক্রিজের ভেতরে ব্যাটসম্যান বা তাঁর ব্যাট প্রবেশ করার আগেই ফিল্ডারদের কেউ স্টাম্প ভেঙে দিলে রানআউট, ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে খেলতে গেলে যদি উইকেটরক্ষক স্টাম্প ভেঙে দেন, তাহলে স্টাম্পড।
তবে এসবের বাইরে আরও কিছু আউটও ক্রিকেটে আছে, যেগুলো সচরাচর দেখা যায় না। আমাদের আলোচনা ওসব আউট নিয়েই….
এই আউটের সঙ্গে অনেকেরই প্রথম পরিচয় ২০২৩ বিশ্বকাপের সময়। তা–ও বাংলাদেশের সৌজন্যে। ঘটনাটি কি মনে পড়েছে? বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান আবেদন করার পর আউট হয়ে গিয়েছিলেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস। সেই ঝাঁজ পরে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচগুলোতে ছিল, অনেকে সমালোচনায়ও মুখর ছিলেন সাকিবদের। কিন্তু ক্রিকেটের আইন মেনেই আউটটি হয়েছিল।
২০২৩ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে টাইমড আউট হয়েছিলেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব য টসম য ন ড আউট আউট র
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাবিতে বিক্ষোভে মেয়েদের ভিডিও করার সময় কলেজছাত্র আটক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডিত ব্যক্তিদের ছবি প্রদর্শনের প্রতিবাদ চলাকালে মেয়েদের ভিডিও করার অভিযোগে এক কলেজছাত্রকে আটক করেছেন শিক্ষার্থীরা। পরে তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিমের কাছে সোপর্দ করা হয়। কবি নজরুল সরকারি কলেজের ওই শিক্ষার্থীকে আটকের সময় ছাত্রশিবিরের কর্মীরা বাধা দেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। প্রক্টরের উপস্থিতিতে ওই কলেজছাত্রের মুঠোফোন ও ফেসবুক অ্যাকাউন্ট পর্যালোচনা করে দেখা যায়, তিনি উসামা বিন লাদেনসহ কয়েকজন বিতর্কিত ব্যক্তির পোস্ট শেয়ার করেছেন। ফেসবুক মেসেঞ্জারে ‘ইসলামী ছাত্রশিবির, চৌমুহনী কচুয়া’ নামের একটি গ্রুপের সক্রিয় সদস্য।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রক্তবীজ অর্ক বলেন, ‘সন্ধ্যার দিকে টিএসসিতে হাঁটতে গিয়ে হঠাৎ দেখি এক লোক মেয়েদের দিকে মোবাইল তাক করে জুম করে ইনঅ্যাপ্রোপিয়েট (অশোভন) ভিডিও করছে। আশপাশে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করতেই লোকটি দৌড় দিয়ে সোজা টিএসসির ভেতরে ঢুকে পড়েন। আমরাও পেছনে যেতে চাই। কিন্তু পরে দেখি, সেখানে গুপ্ত সংগঠনের কিছু ছোট ছোট টিম আমাদের টিএসসির ভেতর ঢুকতে দিচ্ছে না।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অর্ক লিখেন, ‘প্রায় ৪ ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদে ওই ব্যক্তি মোট ৬ বার নিজের নাম বদলায়, ৪টিরও বেশি ফেসবুক আইডি দেখায়।’
ছাত্রশিবিরের কর্মীদের বিরুদ্ধে ওই কলেজছাত্রকে আড়াল করার অভিযোগ তুলে অর্ক তাঁর পোস্টে আরও লিখেন, ‘প্রক্টর স্যার ওই ব্যক্তির মেসেঞ্জারে দেখলেন, “ইসলামী ছাত্রশিবির- চৌমুহনী কচুয়া” গ্রুপে সে একেবারে অ্যাকটিভ সদস্য। ঘটনাস্থলে থাকা ছাত্রশিবিরের লোকজন তাকে আড়াল করতে গেল কেন?’
এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের যুগ্ম সদস্যসচিব নাহিয়ান ফারুক ফেসবুক পোস্টে লিখেন, ‘নারী নিপীড়কদের শেল্টার (আশ্রয়) দেয় কারা? টিএসসিতে যুদ্ধাপরাধীদের ছবি প্রদর্শনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হয়। এই প্রতিবাদের বিপরীতে টিএসসির গেইটের মুখে শিবিরেরাও স্লোগান দিতে থাকে। এমন এক মুহূর্তে শিবিরের এক কর্মী আমাদের প্রতিবাদের ভেতর চলে এসে নারীদের আপত্তিকর ভিডিও নিতে শুরু করে। ধরা পড়ার পর সে জোরপূর্বক পালিয়ে যায়। পালিয়ে শিবিরের মিছিলে ঢুকে পড়ে এবং টিএসসির ভেতর শেল্টার নেয়।’
ওই ব্যক্তিকে আটক করতে গেলে ছাত্রশিবিরের কর্মীরা বাধা দেন অভিযোগ করে নাহিয়ান ফারুক আরও লিখেন, ‘একজন অপরাধীকে তারা টিএসসিতে ঢুকতে দিলেও, আমাদেরকে টিএসসিতে ঢুকতে বারবার বাধা দেয়। আমরা জোরপূর্বক ভেতরে যাই এবং প্রক্টরসহ শিবিরের ফরহাদের (ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি এস এম ফরহাদ) সাথে কথা হয়। ঐ ঘটনার পর সেই হ্যারাসার (নিপীড়ক) ধরা পড়ে।’
প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘ছেলেটা কবি নজরুল কলেজে পড়ে, চাঁদপুরে বাড়ি। আমার কাছে একটু বেকুব টাইপের মনে হয়েছে। তবে ইসলামিক এটা বোঝা যায়। আমি তখন ছাত্রসংগঠনগুলোর নেতাদেরকেও বলেছি, আমার কাছে দুটো অপশন— হয় পুলিশে দেওয়া, না হয় অভিভাবকসহ মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া।’
প্রক্টর আরও জানান, ‘পরে ওর দুজন মামাতো ভাই ও একজন ছোটবেলার বন্ধু আসে। আমরা প্রাথমিকভাবে মুচলেকা নিয়েছি। ওর ছবি নিয়েছি আর ফোন রেখে দিয়েছি। ওর মুচলেকার কপি চাঁদপুর, শাহবাগ ও চকবাজারের (সে যেখানে থাকে) থানায় পাঠাব এবং জিডি (সাধারণ ডায়েরি) করা হবে। পরে যদি এমন কোনো কিছু করে, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশ সরাসরি ব্যবস্থা নেবে।’ তাঁর পরিবারের সদস্যরা এসে তাঁকে নিয়ে গেছেন বলেও জানান প্রক্টর।