সীতাকুণ্ডে তিন ঘণ্টায় ১২৫ মিলিমিটার বৃষ্টি, ডুবেছে আশ্রয়ণ প্রকল্পের শতাধিক ঘর
Published: 7th, August 2025 GMT
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে কয়েক ঘণ্টার ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পাশাপাশি আশ্রয়ণ প্রকল্পের শতাধিক ঘরবাড়ি কোমরপানিতে ডুবে গেছে। ফলে শিশু, বৃদ্ধসহ হাজারো মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। গবাদিপশু নিয়েও বিপাকে পড়েছেন কৃষকেরা।
সীতাকুণ্ড আবহাওয়া অফিস জানায়, আজ বৃহস্পতিবার সকাল ছয়টার আগেই মাত্র তিন ঘণ্টায় ১২৫ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। গতকাল বুধবার ভোর ছয়টা থেকে ২৪ ঘণ্টায় মোট বৃষ্টি হয়েছে ২০৮ মিলিমিটার। ২৪ ঘণ্টায় ৮৮ মিলিমিটার বেশি বৃষ্টি হলেই অতি ভারী বর্ষণ হিসেবে ধরা হয়।
জানতে চাইলে সীতাকুণ্ড আবহাওয়া কার্যালয়ে আবহাওয়াবিদ মো.
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উপজেলার ভাটিয়ারী ইউনিয়নের পাহাড়ঘেরা আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাড়ি। গতকাল রাত থেকেই ওই এলাকায় পানি ঢুকতে শুরু করে। এতে অনেক বাসিন্দা ঘরেই আটকা পড়েন। স্থানীয় বাসিন্দা জিল্লুর রহমান বলেন, ‘রাত আড়াইটার দিকে বৃষ্টির শব্দে ঘুম ভাঙে। ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই পানি আমাদের ঘরে ঢুকে পড়ে। সকাল হতেই দেখি, ঘরের ভেতরে কোমরপানি। এর পর থেকে বের হতে পারছি না। রান্না করারও উপায় নেই। আশপাশে দোকানপাটও নেই।’
আশ্রয়ণ প্রকল্প ছাড়াও উপজেলার কুমিরা, সৈয়দপুর, বারৈয়ারঢালা, মুরাদপুর এবং পৌর এলাকার বেশ কিছু জায়গা পানিতে তলিয়ে গেছে। পানি থাকায় যান চলাচলও বন্ধ রয়েছে অনেক সড়কে। প্রবল স্রোতের কারণে স্থানীয় বাসিন্দারাও ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। এ কারণে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
ছুটি ঘোষণা করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের একটি কুমিরা ইউনিয়নের মছজিদ্দা মডার্ন কিন্ডারগার্টেন অ্যান্ড হাইস্কুল। বিদ্যালয়টির পরিচালনা কমিটির সদস্য সন্তোষ চক্রবর্তী প্রথম আলোকে বলেন, বিদ্যালয়ের সামনের সড়কে হাঁটুপানি। আবার স্রোতও প্রবল। শিশুদের বিদ্যালয়ে যাতায়াত ঝুঁকিপূর্ণ মনে হওয়ায় আজ ছুটি দেওয়া হয়েছে।
সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফখরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর সরকারি বাসভবনের নিচতলা পানিতে ডুবে গেছে। উপজেলা পরিষদ চত্বরেও হাঁটুপানি। ভাটিয়ারীর আশ্রয়ণ প্রকল্পসহ যেসব জায়গায় পানি উঠেছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে আনা অথবা শুকনা খাবার পাঠানোর ব্যবস্থা নিতে লোক পাঠানো হয়েছে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
কক্সের ব্যাটিং ঝলক আর বোলারদের দাপটে ইংল্যান্ডের সিরিজ জয়
ডাবলিনের মালাহাইড ভিলেজে রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে আয়ারল্যান্ডকে ছয় উইকেটে হারিয়ে তিন ম্যাচের সিরিজ নিজেদের করে নিল ইংল্যান্ড। ম্যাচের নায়ক জর্ডান কক্স করেছেন হাফ সেঞ্চুরি। সঙ্গে লিয়াম ডসন, জেমি ওভারটন ও আদিল রশিদের বোলিং জাদুতেই ধরা খেল স্বাগতিকরা।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৫৪ রান তুলেছিল আয়ারল্যান্ড। ইনিংসের মূল ভরসা ছিলেন গ্যারেথ ডেলানি। শেষদিকে তার ঝড়ো ২৯ বলে অপরাজিত ৪৮ রানে ভর করে লড়াকু সংগ্রহ পায় দল। ইনিংসে ছিল ৪টি চার আর ৩টি বিশাল ছক্কা। ওপেনার রস অ্যাডায়ার ২৩ বলে ৩৩ এবং তিন নম্বরে নামা হ্যারি টেক্টর ২৭ বলে ২৮ রান যোগ করেন। তবে অধিনায়ক পল স্টার্লিংকে দ্রুত ফেরান ডসন। পরে টেক্টরকেও আউট করে ২ ওভারে ৯ রানে ২ উইকেটের বোলিং ফিগার দাঁড় করান তিনি।
আরো পড়ুন:
ভারতকে ১৭২ রানের টার্গেট ছুড়ল পাকিস্তান
টস জিতে ফিল্ডিংয়ে ভারত
জেমি ওভারটন তার চার ওভারে লরকান টাকার ও কার্টিস ক্যাম্ফারকে ফিরিয়ে আয়ারল্যান্ডের মিডল অর্ডারে আঘাত হানেন। সবচেয়ে কার্যকরী ছিলেন লেগস্পিনার আদিল রশিদ। ইনিংসের শেষভাগে ৩ উইকেট তুলে নেন তিনি। শেষ পর্যন্ত তার বোলিং ফিগার দাঁড়ায় ২৯ রানে ৩ উইকেট।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় ইংল্যান্ড। দ্বিতীয় ওভারেই সিনিয়র ব্যাটার জস বাটলারকে শূন্য রানে ফেরান ব্যারি ম্যাককার্থি। অধিনায়ক জেকব বেথেলও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি, করেন মাত্র ১৫ রান।
তবে একপ্রান্ত আগলে ব্যাট চালান ফিল সল্ট। ২৩ বলে ২৯ রানের ইনিংসে দুই চার ও একটি ছক্কা হাঁকিয়ে গড়েন কক্সের সঙ্গে ৫৭ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি। সেখানেই ম্যাচের মোড় ঘুরে যায়। কক্স খেলেন ৩৭ বলে ৫৫ রানের দৃষ্টিনন্দন ইনিংস। যেখানে ছিল নিয়ন্ত্রিত শটের ছড়াছড়ি। শেষ পর্যন্ত বেন হোয়াইট তাকে বোল্ড করলেও তখন জয় প্রায় নিশ্চিত।
বাকি কাজটা সেরে দেন টম ব্যান্টন ও রেহান আহমেদ। ব্যান্টনের ২৬ বলে অপরাজিত ৩৭ রানে ভর করে ১৭.১ ওভারেই ৪ উইকেট হাতে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ইংল্যান্ড।
এই জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতল ইংল্যান্ড।
ঢাকা/আমিনুল