কাপ্তাই বাঁধের গেট খোলা: প্রবল স্রোতে ফেরি চলাচল বন্ধ
Published: 7th, August 2025 GMT
অব্যাহত পাহাড়ি ঢলে কাপ্তাই হ্রদে পানির স্তর বিপৎসীমায় পৌঁছে গেছে। দ্রুত পানি নিষ্কাশনে ৩ ফুট করে খুলে দেওয়া হয়েছে বাঁধের ১৬টি গেট। এতে প্রতি সেকেন্ডে ৫৮ হাজার কিউসেক পানি কর্ণফুলী নদীতে নির্গত হচ্ছে। এছাড়া, বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রতি সেকেন্ডে ৩২ হাজার কিউসেক পানি ছাড়া হচ্ছে। ফলে, কর্ণফুলী নদীতে প্রবল স্রোত দেখা দিয়েছে। নিরাপত্তার স্বার্থে ওই নদীতে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) সকাল ৬টা থেকে চন্দ্রঘোনা-রাইখালী নৌ রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ আছে। ফলে, নদীর দুই পাশে যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। স্থানীয়রা ছাড়াও রাঙামাটি থেকে বান্দরবানগামী ও বান্দরবান থেকে রাঙামাটিগামী যাত্রীরা পারাপারের অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন।
রাঙামাটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী কীর্তি নিশান চাকমা জানিয়েছেন, কাপ্তাই পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্রের স্পিলওয়ের ১৬টি গেট খুলে দেওয়ার ফলে কর্ণফুলী নদীতে প্রবল স্রোত দেখা দিয়েছে। এ কারণে আজ (বৃহস্পতিবার) সকাল ৬টা থেকে এ নৌ রুটে ফেরি চলাচল আপাতত বন্ধ আছে।
ফেরিঘাটে কথা হয় ফেরির ইনচার্জ মো.
ঢাকা/শংকর/রফিক
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
নরসিংদীতে দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা মামলায় প্রধান আসামিসহ গ্রেপ্তার আরও ৩
নরসিংদীর রায়পুরায় ১ শতাংশ জমি নিয়ে বিরোধে দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা মামলায় চাচাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে রায়পুরা উপজেলার সাপমারা এলাকার একটি বাড়ি থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার তিন আসামি হলেন নিহত দুজনের আপন চাচা মো. আবদুল আওয়াল (৬০), তাঁর মেয়ে শাহনাজ বেগম (২৮) ও তাঁর স্বামী শিপন শিকদার (৩২)। পরে আজ তাঁদের আদালতে পাঠানো হয়।
এর আগে গত শনিবার বেলা পৌনে একটার দিকে রায়পুরার পশ্চিম পাড়ায় দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে। নিহত দুজন হলেন ওই এলাকার মৃত আবু তাহের মিয়ার ছেলে হুরুন আলী ওরফে হুরা (৩০) ও শাকিল মিয়া (২২)। তাঁরা দুজনই এলাকায় রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন।
পুলিশ বলছে, জোড়া হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহত দুই ভাইয়ের মা জোসনা বেগম ১১ জনকে আসামি করে রোববার রায়পুরা থানায় মামলা করেন। ঘটনাস্থল থেকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আওয়ালের স্ত্রী শরীফা বেগম (৫২) এবং দুই মেয়ে আরজিনা আক্তার (২২) ও আসমা আক্তারকে (১৮) থানায় নেওয়া হয়েছিল। এ মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি হওয়ায় ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
এ ছাড়া মঙ্গলবার দুপুরে মামলার অন্যতম আসামি আওয়ালের ছেলে শিপন মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই চারজন বর্তমানে আদালতের নির্দেশে কারাগারে আছেন।
রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আদিল মাহমুদ জানান, জোড়া হত্যাকাণ্ডের এ ঘটনায় ১১ জন এজাহারভুক্ত আসামির মধ্যে ৭ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের অভিযান চলছে। শিগগিরই তাঁদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।