‘এভরি স্টোরি ইজ ইউনিক, এভরি জার্নি ম্যাটার্স‘ স্লোগানে ওয়ালটন পরিবারে কর্মরত নারী সদস্যদের মধ্যে স্তন ক্যান্সার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে বিশেষ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (২১ অক্টোবর, ২০২৫) ঢাকার ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির করপোরেট অফিসে প্রশাসন বিভাগ ও মেডিক্যাল টিমের তত্ত্বাবধানে ওই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

জানা গেছে, চলমান স্তন ক্যান্সার সচেতনতা মাস উপলক্ষে ওয়ালটন ও বেসরকারি এভারকেয়ার হাসপাতালের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত হয় সেমিনার। ওয়ালটনে কর্মরত নারী সদস্যদের মধ্যে দেড় শতাধিক নারী ওই সেমিনারে অংশ নেন।
সেমিনারে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন হাই-টেকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর ইভা রিজওয়ানা, ওয়ালটনের মেডিক্যাল অ্যাডভাইজার ডা.

ইয়াজদান রেজা চৌধুরী, অ্যাডমিন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত প্রধান কুদরত মোল্লা, এভারকেয়ার হাসপাতালের চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার মো. মাইনুর রহমান, হাসপাতালের জেনারেল ম্যানেজার (হেড অব করপোরেট মার্কেটিং) এ এম আবুল কাশেম রনি, চিফ নার্সিং অফিসার (সিএনও) ডা. সামিনাসহ প্রতিষ্ঠান দুটির সিনিয়র কর্মকর্তারা।

সেমিনারে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাসপাতালটির অনকোলোজি বিভাগের সিনিয়র কনসাল্ট্যান্ট ডা. ফেরদৌস শাহরিয়ার সাঈদ।

ওয়ালটনের মেডিক্যাল অ্যাডভাইজার ডা. ইয়াজদান রেজা চৌধুরী বলেন, “সুন্দর কর্মপরিবেশ নিশ্চিতের পাশাপাশি পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বদ্ধপরিকর ওয়ালটন। এরই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন সময়ে নানাধর্মী স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ওয়ালটন। স্তন ক্যান্সার সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানে ওয়ালটনে কর্মরত নারী সদস্যদের দেওয়া হয় ক্যানসার বিষয়ক নানা পরামর্শ।”

সেমিনারে স্তন ক্যান্সার কীভাবে চিহ্নিত করা যায়, লক্ষণ, প্রতিরোধ ও চিকিৎসা পদ্ধতিসহ সার্জারির পরবর্তী সময়ে করণীয় পদক্ষেপসমূহ আলোচনা করেন ডা. ফেরদৌস শাহরিয়ার সাঈদ। ছিলো প্রশ্নোত্তর পর্বও।

নারীদের স্তন ক্যান্সার নিয়ে সচেতন করার জন্যই প্রতি বছর অক্টোবর মাসকে বিশ্বব্যাপী স্তন ক্যানসার সচেতনতার মাস হিসেবে উদযাপন করা হয়।

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অন ষ ঠ

এছাড়াও পড়ুন:

প্রকাশ্যে গুলি ছোড়েন কিশোর গ্যাং নেতা, রয়েছে নিজস্ব টর্চার সেল

চুরি, ছিনতাইয়ের মাধ্যমে অপরাধে হাতেখড়ি। এরপর জড়িয়ে পড়েন মাদক কারবারে। আধিপত্য বজায় রাখতে গড়ে তোলেন নিজস্ব বাহিনী। নামের সঙ্গে যুক্ত হয় কিশোর গ্যাং নেতা। পুলিশের খাতায় তোলেন নাম। ছিনতাই, অস্ত্র, চাঁদাবাজি, মাদকের ২০টি মামলাও হয় তাঁর বিরুদ্ধে। চাঁদা আদায় ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তারে কথায় কথায় প্রকাশ্যে ছোড়েন গুলি। রয়েছে ‘টর্চার সেল’ও। চট্টগ্রামের আলোচিত এই ‘সন্ত্রাসীর’ নাম শহীদুল ইসলাম। এলাকার মানুষ ও পুলিশের কাছে তিনি পরিচিত বুইস্যা নামে।

চট্টগ্রাম নগরের আলোচিত ‘সন্ত্রাসী’ শহীদুল ওরফে বুইস্যা চান্দগাঁও, পাঁচলাইশ এলাকার মানুষের কাছে আতঙ্কের নাম। পুলিশ বলছে, মাদক বিক্রি ও চাঁদাবাজির টাকা দ্রুত গুনতে তাঁর রয়েছে টাকা গণনার যন্ত্র। তাঁকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালানোর কথা বলছে পুলিশ। ইতিমধ্যে তাঁর কিছু সহযোগী গ্রেপ্তারও হয়েছেন।

শহীদুল ইসলাম বুইস্যা ও তাঁর বাহিনীর লোকজন চাঁদা না পেলেই গুলি ছোড়েন। এই কারণে চান্দগাঁও, পাঁচলাইশ এলাকার বাসিন্দারা আতঙ্কে থাকেন। সর্বশেষ ৪ অক্টোবর বুইস্যার সহযোগী মুন্না পাঁচলাইশ বাদুরতলা এলাকায় একটি গ্যারেজের সামনে গুলি ছোড়েন। এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে দেখা যায়, বিজয় চৌধুরীর গ্যারেজের সামনে এসে হুমকি দিতে থাকেন মুন্না। একপর্যায়ে কোমর থেকে পিস্তল বের করে গুলি করেন। তবে এ ঘটনায় কেউ আহত হননি। পরবর্তী সময়ে গ্যারেজ মালিকসহ আশপাশের লোকজন ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার করলে মুন্না পালিয়ে যান।কে এই বুইস্যা

ভোলার দৌলতখান থানা সদরের মোহাম্মদ আলীর ছেলে শহীদুল ইসলাম ওরফে বুইস্যা। চট্টগ্রাম নগরের পশ্চিম ষোলোশহর এলাকায় থাকেন তিনি। পড়াশোনা তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত। কোনো রকমে নিজের নামটি লিখতে পারেন। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সমাবেশে দলবল নিয়ে যোগদান করতেন তিনি। সেসবের ছবি, ভিডিও রয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। নিজেকে পরিচয় দিতেন নিষিদ্ধ সংগঠন নগর ছাত্রলীগের নেতা হিসেবে। তবে কোনো পদে ছিলেন না।

পুলিশ জানায়, শুরুতে চুরি, ছিনতাই করতেন। গায়ের সঙ্গে ধাক্কা লাগিয়ে জটলা পাকিয়ে লোকজনের জিনিসপত্র ছিনিয়ে নিতেন। পরে হাতে তুলে নেন অস্ত্র। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। প্রকাশ্যে গুলি ছুড়ে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ছিনতাই, চাঁদাবাজি করে আসছেন।

গত বছরের মার্চে নগর পুলিশের করা এক জরিপে উঠে আসে, চট্টগ্রাম নগরে সক্রিয় প্রায় ২০০ কিশোর গ্যাং। এসব গ্যাংয়ের সদস্যসংখ্যা ১ হাজার ৪০০ জনের মতো। গত ছয় বছরে ৫৪৮টি অপরাধের ঘটনায় কিশোর গ্যাং জড়িত। তাঁদের প্রশ্রয় ও পৃষ্ঠপোষকতায় ৬৪ ‘বড় ভাই’ থাকার কথা সেই জরিপে উঠে আসে। তালিকায় শহীদুল ওরফে বুইস্যার নামও রয়েছে।

অস্ত্রসহ ধরা পড়া সন্ত্রাসী শহীদুলের সহযোগীরা

সম্পর্কিত নিবন্ধ