মদ্যপ অবস্থায় আইল্যান্ডে গাড়ি তুলে ধরা ৮ মামলার আসামি
Published: 9th, August 2025 GMT
রাজশাহীতে মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালাতে গিয়ে দুর্ঘটনায় পড়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন ৮ মামলার পলাতক এক আসামি। তার নাম রেজাউন-নবী আল মামুন (৫৫)।
শনিবার (৯ আগস্ট) তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে নগরীর তালাইমারি মোড়ে রাস্তার পাশে থাকা আইল্যান্ডে গাড়ি তুলে দেন মামুন।
তিনি রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর। তার বাড়ি নগরীর দড়িখড়বোনা এলাকায়।
আরো পড়ুন:
বেনাপোলে বিদেশি পিস্তল-গুলিসহ অস্ত্র ব্যবসায়ী আটক
এক বোতলের বিষে প্রাণ গেল স্বামী-স্ত্রীর
র্যাব এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, মদ্যপ অবস্থায় বেপরোয়া গতিতে প্রাইভেটকার চালিয়ে যাচ্ছিলেন মামুন। তালাইমারি মোড়ে হঠাৎ রাস্তার পাশে থাকা আইল্যান্ডে গাড়ি তুলে দেন তিনি। এ সময় আশেপাশের সাধারণ মানুষের দিকেও গাড়ি চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। এতে উপস্থিত লোকজন ক্ষুব্ধ হয়ে গাড়িটি ঘিরে ফেলেন।
খবর পেয়ে র্যাব-৫ এর একটি টহল দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং মামুনকে নিজেদের হেফাজতে নেয়। পরে তল্লাশি চালিয়ে তার ব্যাগ থেকে ৬ পিস ইয়াবা, এক পুরিয়া গাঁজা, নগদ ৩০ হাজার টাকা এবং ৩টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানোর কথা স্বীকার করেছেন। মামুনের বিরুদ্ধে ৮টি মামলা রয়েছে এবং এসব মামলায় তিনি পলাতক ছিলেন। নতুন করে তার বিরুদ্ধে নগরীর মতিহার থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে আরো একটি মামলা করা হয়েছে।
ঢাকা/কেয়া/রাজীব
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিপূরণ এবং বাউল সমর্থকদের ওপর হামলার নিন্দা ফখরুলে
বাউল সমর্থকদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা এবং রাজধানীর করাইল বস্তির ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জন্য জরুরি ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘‘করাইল বস্তিতে কয়েক হাজার মানুষ বসবাস করে। অগ্নিকাণ্ডে তারা নিঃস্ব হয়েছে—এটি দরিদ্র মানুষের ওপর এক চরম আঘাত।’’
বুধবার (২৬ নভেম্বর) বিকাল সাড়ে তিনটায় ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির নতুন ভবন উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘সরকারের কাছে দাবি জানাই ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জন্য দ্রুত ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে হবে। পাশাপাশি অগ্নিকাণ্ডের প্রকৃত কারণ উদঘাটনে সুষ্ঠু তদন্ত প্রয়োজন। যদি কেউ দায়ী থাকে, তাকে অবশ্যই আইনের আওতায় আনতে হবে।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘এই অগ্নিকাণ্ডকে তিনি ষড়যন্ত্র মনে করছেন না। তবে দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিশেষ করে গার্মেন্টস ও ফ্যাক্টরি কারখানায় অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থার ঘাটতি এবং আইন না মানার কারণে এ ধরনের দুর্ঘটনা বাড়ছে। যথাযথ অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা থাকলে এগুলো এড়ানো অনেক সহজ।’’
বাউলদ সমর্থকদের ওপর হামলা উগ্রবাদীদের কাজ উল্লেখ করে এবং বাউল সমর্থকদের ওপর হামলার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘‘বাউলদের ওপর হামলা একটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। বাউলরা বাংলাদেশের আবহমান গ্রামীণ সংস্কৃতির বাহক। তাদের ওপর হামলা উগ্রবাদী ও ধর্মান্ধ চক্রের কাজ বলে মনে করি।’’
এ ধরনের হামলা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় বলে তিনি মন্তব্য করেন।
এর আগে দুপুরের ঠাকুরগাঁও চৌরাস্তায় বাউল সমর্থকরা মানববন্ধন করার জন্য জড়ো হলে তৌহিদী জনতা তাদের ধাওয়া করে ও হামলা চালায়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন।
ঢাকা/হিমেল//