রাঙামাটি জেলা কারাগারে সাজাপ্রাপ্ত এক কয়েদির মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) সকালে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের নাম বীর বাহাদুর (২৯)। তিনি রাঙামাটি শহরের রিজার্ভ বাজার পাথরঘাটা এলাকার বাসিন্দা। রাঙামাটি জেলা কারাগারের জেলার মজিবুর রহমান মজুমদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘‘বীর বাহাদুর মাদক মামলায় পাঁচ বছর এবং চুরি মামলায় ছয়মাসের সাজা ভোগ করছিলেন। বৃহস্পতিবার সকালে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’’

আরো পড়ুন:

পাবনায় সেপটিক ট্যাংকে আটকা পড়ে ২ শ্রমিকের মৃত্যু

বার্ন ইনস্টিটিউটে মাইলস্টোনের শিক্ষক মাহফুজার মৃত্যু

রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) মো.

শওকত আকবর বলেন, ‘‘হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই ওই কয়েদির মৃত্যু হয়। পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়ার জন্য লাশ মর্গে রাখা রয়েছে।’’

ঢাকা/শংকর/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বিশ্বের যেকোনো আদালতের মানদণ্ডে এই সাক্ষ্যপ্রমাণগুলো উতরে যাবে: চিফ প্রসিকিউটর

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলায় শেখ হাসিনাসহ আসামিদের যে সাজা দেওয়া হয়েছে, পৃথিবীর যেকোনো আদালতে এই সাক্ষ্যপ্রমাণ উপস্থাপন করলে একই শাস্তি পাবেন।

আজ সোমবার দুপুরে রায় ঘোষণার পর এক সংবাদ সম্মেলনে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এ কথা বলেন।

তাজুল ইসলাম বলেন, ‘যে ধরনের সাক্ষ্যপ্রমাণ এই আদালতে উপস্থাপিত হয়েছে, বিশ্বের যেকোনো আদালতের স্ট্যান্ডার্ডে এই সাক্ষ্যপ্রমাণগুলো উতরে যাবে এবং পৃথিবীর যেকোনো আদালতে এই সাক্ষ্যপ্রমাণ উপস্থাপন করা হলে আজ যেসব আসামিকে শাস্তি প্রদান করা হয়েছে, তাঁরা প্রত্যেকেই একই শাস্তি প্রাপ্ত হবেন।’

মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশ সব আন্তর্জাতিক নর্মস, আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ড মেইনটেইন করে ক্রাইমস এগেন্স হিউম্যানিটির মতো কমপ্লেক্স (মানবতাবিরোধী অপরাধের মতো জটিল) অপরাধের বিচার করতে সক্ষম এবং বাংলাদেশ সাফল্যের সঙ্গে সেটা করেছে।’ তিনি বলেন, ‘অপরাধী যতই ক্ষমতাশালী হোক, সে আইনের ঊর্ধ্বে নয়। বাংলাদেশ এমন একটি রাষ্ট্র, যেখানে যত বড় অপরাধীই হোক, তার অপরাধের জন্য তাকে জবাবদিহির মুখোমুখি হতে হবে এবং তার প্রাপ্য শাস্তি পেতে হবে।’

তাজুল ইসলাম আরও বলেন, এই রায়ের প্রক্রিয়া সমাপ্ত হওয়ার মাধ্যমে দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের সমাপ্তি হয়েছে। যদিও আরও অনেকগুলো মামলা বিচারাধীন রয়েছে। তিনি বলেন, ‘শহীদ পরিবার, যাদের ক্ষতি কোনো কিছু দিয়ে পূরণ হবে না, তাদের সামনে অন্তত একটা ন্যায়বিচারের দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পেরেছি। এ জন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ