সোনারগাঁয়ে বাবা ছেলের অত্যাচারে অতিষ্ট ফুসেঁ উঠছে এলাকাবাসী
Published: 14th, August 2025 GMT
সোনারগাঁ উপজেলার নয়াগাঁও গ্রামে বাবা ছেলের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে ফুসেঁ উঠতে শুরু করছে নয়াগাও গ্রামের ৩ হাজার নারী পুরুষ। এ ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় লিখিত অভিযোগও করেছেন স্থানীয় ভুক্তভোগী এলাকাবাসীরা।
জানা যায়, উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের নয়াগাঁও গ্রামে আতঙ্কের নাম সাদেকুর রহমান ও তার ছেলে আশরাফুল ইসলাম সিয়াম। তারা দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা, জমি দখল ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। তাদের অত্যাচারে এলাকাবাসী এখন অতিষ্ট।
আতঙ্কিত এলাকাবাসী তাদের হাত থেকে রেহাই পেতে চান। কোনো মানুষ তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছেন না হামলা মামলার ভয় দেখানো হচ্ছে। ভুক্তভোগীরা থানায় লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন।
এদিকে ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া কয়েকটি ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, সাদেকুর রহমান ও তার ছেলে আশরাফুল ইসলাম সিয়াম প্রকাশ্যে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে প্রতিবেশীর বাড়িতে ইট পাটকেল ছুড়ে হামলা করে ঘরবাড়ি ভাঙচুর করছে। আরও একটি ভিডিওতে দেখা যায় দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া করছেন প্রতিবেশীদের।
এতে আতঙ্কিত হয়ে প্রতিবেশীরা নিজেদের ঘরের দরজা বন্ধ করে রাখছেন। নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন তারা। শুধু সাধারন মানুষই নয় পুলিশকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন সাদেকুর রহমান ও তার ছেলে আশরাফুল ইসলাম সিয়াম।
নাম না প্রকাশ করার শর্তে স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান, তাদের বাপ ছেলে কার ক্ষমতায় এমন সন্ত্রাসী কাজ করছে। এখনও বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর হামলা করে। এই সাদেকুর রহমানের নামে মাদক মামলাও রয়েছে। আমরা এ ঘটনার সঠিক বিচার চাই।
এবিষয়ে অভিযুক্তের মুঠোফোনে কয়েকবার যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এবিষয়ে সোনারগাঁ থানার (পরিদর্শক) মো:রাশেদুল হাসান খান বলেন, এবিষয়ে কেউ এখনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স ন রগ ও ন র য়ণগঞ জ স দ ক র রহম ন এল ক ব স স ন রগ
এছাড়াও পড়ুন:
ফ্লোটিলা বহরে ভেসে চলা একমাত্র জাহাজ ম্যারিনেট কোথায়
ফিলিস্তিনের গাজা অভিমুখে যাত্রা করা ত্রাণবাহী নৌবহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’-এর একটি মাত্র নৌযান এখনো আটক করতে পারেনি ইসরায়েলি বাহিনী। এই নৌযানটি হলো দ্য ম্যারিনেট।
পোল্যান্ডের পতাকাবাহী এই নৌযানে ছয়জন আরোহী রয়েছেন ।
ফ্লোটিলার লাইভ ট্র্যাকার অনুযায়ী, ম্যারিনেট আন্তর্জাতিক জলসীমায় ভেসে চলেছে। এর গতি ঘণ্টায় প্রায় ২.১৬ নট (ঘণ্টায় প্রায় ৪ কিলোমিটার) , গাজার আঞ্চলিক জলসীমা থেকে ম্যারিনেটের দূরত্ব প্রায় ১০০ কিলোমিটার।
বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিওতে জাহাজটির ক্যাপ্টেন বলেন, ম্যারিনেটের ইঞ্জিনে সমস্যা হচ্ছিল। এটি এখন সারানো হয়েছে।
ফ্লোটিলা আয়োজকেরা বলছেন, ম্যারিনেট নৌযান এখনো স্টারলিঙ্কের মাধ্যমে সংযুক্ত। এটি যোগাযোগের আওতার মধ্যেই রয়েছে। লাইভস্ট্রিমও সক্রিয় আছে।
ইনস্টাগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা জানিয়েছে, অন্য জাহাজগুলো আটক করলেও ম্যারিনেট এখনো ভেসে চলছে।
ম্যারিনেট ফিরে যাবে না বলেও ওই পোস্টে জানানো হয়েছে। পোস্টে বলা হয়েছে, ‘ম্যারিনেট শুধু একটি জাহাজ নয়। ম্যারিনেট হলো ভয়, অবরোধ ও সহিংসতার বিরুদ্ধে দৃঢ়তা।’
ফ্লোটিলা আয়োজকরা আরও লিখেছেন, ‘গাজা একা নয়।’ ‘ফিলিস্তিনকে কেউ ভুলে যায়নি। আমরা কোথাও যাচ্ছি না।’
ফ্লোটিলা বহরের প্রায় সব নৌযানে থাকা অধিকারকর্মীদের আটক করেছে ইসরায়েল। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সুইডিশ অধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। ইসরায়েলের এমন পদক্ষেপকে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছে অনেক দেশ। বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভও হয়েছে।
আরও পড়ুনগাজা অভিমুখী নৌবহরে ইসরায়েলি সেনাদের আক্রমণ, ধরে নেওয়া হলো অধিকারকর্মীদের৬ ঘণ্টা আগে