বাইডেনের ছেলের বিরুদ্ধে মামলার হুমকি মেলানিয়া ট্রাম্পের
Published: 14th, August 2025 GMT
মার্কিন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ছেলে হান্টার বাইডেনের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করার হুমকি দিয়েছেন। মেলানিয়াকে যৌন পাচারকারী জেফরি এপস্টাইনের সাথে সম্পৃক্ত করে হান্টার মন্তব্য করায় এই হুমকি দেওয়া হয়েছে।
সাবেক মার্কিন অর্থ ব্যবস্থাপক জেফরি এপস্টাইনের বিরুদ্ধে অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের ধর্ষণ, যৌন নিপীড়ন ও নারী পাচারের অভিযোগ ছিল। ২০১৯ সালের ১০ আগস্ট তাকে ম্যানহাটনের একটি কারাগারে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। মৃতদেহ পরীক্ষা করে জানা যায় তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
সম্প্রতি হান্টার বাইডেন এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, ট্রাম্পের সাথে মেলানিয়ার পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন এপস্টাইন। তাদের মধ্যে গভীর সম্পর্ক ছিল। বাইডেন এই দাবির জন্য লেখক মাইকেল উলফকে দায়ী করেছেন।
মেলানিয়া ট্রাম্পের আইনজীবী আলেজান্দ্রো ব্রিটো বাইডেনের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে লিখেছেন, বিবৃতিগুলি মিথ্যা, মানহানিকর। হান্টার বাইডেন যদি তার মন্তব্য প্রত্যাহার না করেন তাহলে ফাস্টলেডি মানহানির মামলা করবেন।
ট্রাম্প ও মেলানিয়া দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছেন ১৯৯৮ সালে নিউ ইয়র্ক ফ্যাশন উইক পার্টিতে মডেলিং এজেন্ট পাওলো জাম্পোলি তাদের পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
৫০ পেরিয়েও ‘জ্বলছে’ ‘শোলে’, কেন এখনো নতুন
তখনো ডিজিটাল জমানা আসেনি। গ্রামগঞ্জে ভিসিআর চালিয়ে চলচ্চিত্র দেখানোর চল; টিকিট পাঁচ টাকা। নব্বইয়ের দশকে স্কুল পালিয়ে সিরাজগঞ্জের জামতৈল বাজারে ‘নুন শো’তে দেখা ‘শোলে’ কিশোর মনে যতটা আঁচড় কেটেছিল, আজ এত বছর পরেও তা খুব একটা ফিকে হয়নি।
৫০ বছর। কোনো চলচ্চিত্রের জনপ্রিয়তা পরিমাপে সময়ের এই হিসাবের চেয়ে জুতসই মাপকাঠি আর কীই–বা হতে পারে! এখনো দর্শককে যেভাবে আবিষ্ট করে রেখেছে ‘শোলে’—আবেগে, মুগ্ধতায় তার তুলনা কেউ কেউ ক্ল্যাসিক সাহিত্য বা শিল্পের সঙ্গে টানতে পারেন। এককথায় একে বলিউডের ‘আলটিমেট ফিল্ম’ বললে এতটুকু অত্যুক্তি হবে না। ‘শোলে’ শুধু চলচ্চিত্রই নয়, এটি ভারতীয় সিনেমার মিথ।
রমেশ সিপ্পি পরিচালিত চলচ্চিত্রটিকে শুরুতে সাধারণ অ্যাকশন-অ্যাডভেঞ্চার বলেই মনে করা হয়েছিল। তবে কালের চাকায় সমানতালে দৌড়ে এসে এটি এখন ভারতীয় চলচ্চিত্র ইতিহাসের অন্যতম প্রভাবশালী এক নির্মাণ। এর সঙ্গে জুড়ে গেছে ‘কালজয়ী’র তকমা। বহুবার দেখেও তাই পুরোনো হয় না।
কেন এখনো ‘নতুন’? কেননা ‘শোলে’ একটি বৃহৎ সাংস্কৃতিক অভিজ্ঞতা। এটিকে বলা চলে একটি পূর্ণাঙ্গ ‘মাসালা ফিল্ম’; যেখানে রোমাঞ্চ, কমেডি, অ্যাকশন, ট্র্যাজেডি, প্রেম, প্রতিশোধ, সর্বোপরি সুর-অসুরের দ্বন্দ্ব—কী নেই! ‘স্প্যাগেটি ওয়েস্টার্ন’ ঘরানার প্রভাব স্পষ্ট, বিশেষ করে এই ঘরানার জনক সার্জো লেওনের চলচ্চিত্র থেকে যে অনুপ্রাণিত, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে আলাদা করে বলার কথাটি হলো ইতালীয় সেই ঘরানাকে পুরোপুরি ভারতীয় বাস্তবতায় রূপান্তরের দুর্দান্ত এক উদাহরণ ‘শোলে’। সেলিম–জাভেদ জুটির চমৎকার চিত্রনাট্যে মহাভারতীয় নৈতিক দ্বন্দ্বের প্রতীকী উপস্থাপন সমসাময়িক ভারতীয় সমাজবাস্তবতার দারুণ এক প্রতিরূপ।
‘শোলো’ সিনেমার পরিবর্ধিত সংস্করণের দৃশ্য। কোলাজ