হাঁসের মাংসে বেশি মাত্রায কোলেস্টেরল এবং ফ্যাট আছে। এই মাংস শক্তির ভালো উৎস হিসেবে কাজ করে। একই সঙ্গে যাদের রক্তস্বল্পতা আছে তাদের জন্য বিশেষ উপকারী। কারণ হাঁসের মাংসে থায়ামিন, আয়রন, জিংক, ভিটামিন বি৬, ফসফরাস এবং ম্যাগনেশিয়াম পাওয়া যায়।
পুষ্টিবিদদের পরামর্শ, ‘‘হাঁসের মাংস খাওয়ার ক্ষেত্রে ৬০ গ্রাম অর্থাৎ ২ টুকরো হাঁসের মাংসে খাওয়াটাই সুষম হবে।’’ নিয়ম মেনে হাঁসের মাংস খেয়ে উপকারিতা পেতে পারেন। জেনে নিন কীভাবে রান্না করবেন হাঁসের মাংসের ভুনা।
উপকরণ
হাঁসের মাংস: ১ কেজি
পেঁয়াজকুচি: ১ টেবিল চামচ
পেঁয়াজবাটা: ১ টেবিল চামচ
মরিচের গুঁড়া: ১ টেবিল চামচ
হলুদের গুঁড়া: ১ চা–চামচ
আদাবাটা: ১ টেবিল চামচ
রসুনবাটা: ১ টেবিল চামচ
ধনেগুঁড়া: ১ চা–চামচ
জিরাবাটা: ১ চা–চামচ
গরমমসলার গুঁড়া, জায়ফল গুঁড়া, জয়ত্রী গুঁড়া, মৌরি গুঁড়া: ১ চা–চামচ করে
এলাচ, দারুচিনি, তেজপাতা, লং, গোলমরিচ: ২টি করে
কাজুবাদামবাটা: এক টেবিল চামচ
কাঠবাদামবাটা: ১ টেবিল চামচ
নারকেল দুধ: ১ কাপ
কাঁচা মরিচ: কয়েকটি
লবণ স্বাদমতো,: তেল পরিমাণমতো
আরো পড়ুন:
যে নিয়ম মানলে বেগুন ভাজা দীর্ঘ সময় মুচমুচে থাকে
রবীন্দ্রনাথের প্রিয় রেসিপি ‘চিংড়ি মালাইকারি’
প্রথম ধাপ
শুরুতে একটি পাত্রে তেল গরম করে তেজপাতা, এলাচ, দারুচিনি, লং, গোলমরিচ ফোড়নে পেঁয়াজকুচি নেড়ে ভেজে নিন। এ পর্যায়ে পেঁয়াজবাটা দিয়ে নেড়ে দিন। তারপর মরিচ, হলুদের গুঁড়া দিয়ে নেড়ে বাকি সব মসলা দিয়ে দিন। এবার এতে একটু পানিতে কষিয়ে নিন।
দ্বিতীয় ধাপ
মসলা কষানো হয়ে গেলে এর মধ্যে পরিষ্কার করে পানি ঝরিয়ে নেওয়া হাঁসের মাংস দিয়ে নাড়ুন। তারপর কিছুসময় কষিয়ে নিন। এবার পানি দিয়ে ঢেকে দিন।
তৃতীয় ধাপ
মাংস কষানো হয়ে গেলে নারকেল দুধ দিয়ে নেড়ে কাজুবাদাম ও কাঠবাদামবাটা দিন। কাঁচা মরিচ ছড়িয়ে কষিয়ে নিন।
শেষ ধাপ
সব শেষে মাংসের ঝোল গা মাখা মাখা হয়ে এলে এতে এলাচ, দারুচিনি, জায়ফল, জয়ত্রী, মৌরি গুঁড়া ছড়িয়ে নামিয়ে নিন।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সকালে এক গ্লাস নাকি চার গ্লাস পানি পান করা ভালো
সকালে খালি পেটে পানি পান করলে অনেক বেশি উপকার পাওয়া যায়, একথা আমরা সবাই জানি। কিন্তু কত গ্লাস পানি পান করা ভালো সে কথা জানেন? সেই প্রসঙ্গে আসছি, তার আগে বলে নেই সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর খালি পেটে পানি পান করলে ঠিক কোন কোন উপকার পাওয়া যায়। অল্প কিছু বিষয় মেনে চললে সকালে খালি পেটে পানি পান করে সুস্থ-সবল থাকার পথে একধাপ এগিয়ে যেতে পারেন। জেনে নিনি বিস্তারিত—
এক. সকালে পানি পান করলে পাকস্থলী পরিষ্কার হয়। এই অভ্যাস অনেক রোগের ঝুঁকি কমায়। পরিপাকক্রিয়া থেকে সঠিকভাবে নানা পুষ্টি উপাদান গ্রহণে শরীরকে সাহায্য করে। সকালে খালি পেটে পানি পান করলে হজমশক্তি বাড়ে। আর এটা তো জানা কথা, হজমশক্তি ভালো হলে অনেক স্বাস্থ্য সমস্যাই দূর হয়।
আরো পড়ুন:
যেসব স্বাস্থ্যকর অভ্যাস জীবন বদলে দিতে পারে
লিভার ডিটক্সিফিকেশনের জন্য সাপ্লিমেন্ট খাওয়া কী জরুরি?
দুই. সকালে খালি পেটে পর্যাপ্ত পানি পান করলে ত্বক উজ্জ্বল ও সুন্দর থাকে। রক্ত থেকে ‘টক্সিন’ বা বিষাক্ত নানা উপাদান দূর করে পানি।নতুন রক্ত কোষ এবং পেশি কোষ জন্মানোর প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে।
তিন. খালি পেটে পানি পান করলে ওজনও নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
যেভাবে পুরোপুরি সুফল পাবেন
বিশেষজ্ঞরা বলেন, সকালে পানি পান করার পারেই খাবার গ্রহণ করা উচিত নয়।
মনে রাখবেন, প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস পানি পান করেই অনেক উপকার পেতে পারেন। আরও ভালো ফলাফল পেতে প্রতিদিন সকালে গড়ে চার গ্লাস পানি (প্রায় এক লিটার) পানি পান করতে পারেন।
প্রথম দিকে এই অভ্যাস গড়ে তুলতে একটু সমস্যা হতে পারে। তবে চেষ্টা করলে এটা অনেক কিছুদিনের মধ্যে এই অভ্যাস আয়ত্বে চলে আসবে। এবং এর নানা উপকারিতাও বুঝতে পারবেন।
সূত্র: ওয়েবএমডি
ঢাকা/লিপি