Risingbd:
2025-08-15@05:44:59 GMT

রক্তস্বল্পতা কমায় হাঁসের মাংস

Published: 15th, August 2025 GMT

রক্তস্বল্পতা কমায় হাঁসের মাংস

হাঁসের মাংসে বেশি মাত্রায কোলেস্টেরল এবং ফ্যাট আছে। এই মাংস শক্তির ভালো উৎস হিসেবে কাজ করে। একই সঙ্গে যাদের রক্তস্বল্পতা  আছে তাদের জন্য বিশেষ উপকারী।  কারণ হাঁসের মাংসে  থায়ামিন, আয়রন, জিংক, ভিটামিন বি৬, ফসফরাস এবং ম্যাগনেশিয়াম পাওয়া যায়। 

পুষ্টিবিদদের পরামর্শ, ‘‘হাঁসের মাংস খাওয়ার ক্ষেত্রে ৬০ গ্রাম অর্থাৎ ২ টুকরো হাঁসের মাংসে খাওয়াটাই সুষম হবে।’’ নিয়ম মেনে হাঁসের মাংস খেয়ে  উপকারিতা পেতে পারেন। জেনে নিন কীভাবে রান্না করবেন হাঁসের মাংসের ভুনা।

উপকরণ
হাঁসের মাংস: ১ কেজি
পেঁয়াজকুচি: ১ টেবিল চামচ
পেঁয়াজবাটা: ১ টেবিল চামচ
মরিচের গুঁড়া: ১ টেবিল চামচ
হলুদের গুঁড়া: ১ চা–চামচ
আদাবাটা: ১ টেবিল চামচ
রসুনবাটা: ১ টেবিল চামচ
ধনেগুঁড়া: ১ চা–চামচ
জিরাবাটা: ১ চা–চামচ
গরমমসলার গুঁড়া, জায়ফল গুঁড়া, জয়ত্রী গুঁড়া, মৌরি গুঁড়া: ১ চা–চামচ করে
এলাচ, দারুচিনি, তেজপাতা, লং, গোলমরিচ: ২টি করে
কাজুবাদামবাটা: এক টেবিল চামচ
কাঠবাদামবাটা: ১ টেবিল চামচ
নারকেল দুধ: ১ কাপ
কাঁচা মরিচ: কয়েকটি
লবণ স্বাদমতো,: তেল পরিমাণমতো

আরো পড়ুন:

যে নিয়ম মানলে বেগুন ভাজা দীর্ঘ সময় মুচমুচে থাকে

রবীন্দ্রনাথের প্রিয় রেসিপি ‘চিংড়ি মালাইকারি’

প্রথম ধাপ

শুরুতে একটি পাত্রে  তেল গরম করে তেজপাতা, এলাচ, দারুচিনি, লং, গোলমরিচ ফোড়নে পেঁয়াজকুচি নেড়ে ভেজে নিন। এ পর্যায়ে পেঁয়াজবাটা দিয়ে নেড়ে দিন। তারপর মরিচ, হলুদের গুঁড়া দিয়ে নেড়ে বাকি সব মসলা দিয়ে দিন। এবার এতে একটু পানিতে কষিয়ে নিন।

দ্বিতীয় ধাপ

মসলা কষানো হয়ে গেলে এর মধ্যে পরিষ্কার করে পানি ঝরিয়ে নেওয়া হাঁসের মাংস দিয়ে নাড়ুন।  তারপর কিছুসময় কষিয়ে নিন। এবার পানি দিয়ে ঢেকে দিন।

তৃতীয় ধাপ

মাংস কষানো হয়ে গেলে নারকেল দুধ দিয়ে নেড়ে কাজুবাদাম ও কাঠবাদামবাটা দিন। কাঁচা মরিচ ছড়িয়ে কষিয়ে নিন।

শেষ ধাপ

সব শেষে মাংসের ঝোল গা মাখা মাখা হয়ে এলে এতে এলাচ, দারুচিনি, জায়ফল, জয়ত্রী, মৌরি গুঁড়া ছড়িয়ে নামিয়ে নিন।

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

পিছিয়ে পড়া মানুষের পাশে যমুনা ব্যাংক ফাউন্ডেশন

বেসরকারি খাতের যমুনা ব্যাংক পরিবেশ, সমাজ ও অর্থনীতিকে সমান গুরুত্ব দিয়ে প্রতিটি কার্যক্রমে টেকসই উন্নয়নের নীতি মেনে চলছে। সে কারণে টানা তিনবার বাংলাদেশ ব্যাংকের টেকসই ব্যাংকের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে যমুনা ব্যাংক। এই অর্জনের পেছনে রয়েছে আমাদের ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনার দূরদর্শী নেতৃত্ব, সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ও সমন্বিত প্রচেষ্টা। 

যমুনা ব্যাংকের প্রতিটি পদক্ষেপে রয়েছে পরিবেশ সুরক্ষা, সামাজিক কল্যাণ ও অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তির প্রতিফলন। ব্যাংকটি এমন সব প্রকল্পে বিনিয়োগ করছে, যেগুলো প্রকৃতি ও মানুষের জন্য সহায়ক। বৃহৎ ও মাঝারি মানের শিল্পকারখানায় বিদ্যুৎ–সাশ্রয়ী মূলধনি যন্ত্রপাতি স্থাপন, কৃষি খাত, ক্ষুদ্র ও মাঝারি প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়ন, সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন, স্বয়ংক্রিয় ইট প্রস্তুতকরণ প্রকল্প, আধুনিক চাল উৎপাদনের কারখানা, পুনর্ব্যবহারযোগ্য কাঁচামাল থেকে কাগজ উৎপাদন প্রকল্পের মতো বিভিন্ন পরিবেশবান্ধব খাতে অর্থায়ন করছে ব্যাংকটি। 

অন্যদিকে টেকসই অর্থায়নের লক্ষ্য পূরণে যমুনা ব্যাংক সারা দেশে তাদের বিস্তৃত নেটওয়ার্কের মাধ্যমে কৃষি, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প, কৃষি সরঞ্জাম উৎপাদন শিল্প, টেকসই ও পুনর্ব্যবহারযোগ্য পণ্যের ব্যবসা এবং দারিদ্র্য বিমোচন ও আয়বর্ধক কর্মসূচি বাস্তবায়নে নিয়োজিত বেসরকারি সংগঠনে (এনজিও) ঋণ দেওয়াকে অগ্রাধিকার দেয়। তবে পরিবেশবান্ধব প্রকল্প বাস্তবায়নে অধিক ব্যয়, নথিপত্র প্রদানে গ্রাহকের অনীহাসহ বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। 

বিভিন্ন খাতে করপোরেট সামাজিক দায়িত্ব (সিএসআর) পালনের মাধ্যমে সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে যমুনা ব্যাংক। যার অনেকটাই ‎যমুনা ব্যাংক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হয়। যেমন দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য নিয়মিত বৃত্তি প্রদান, শিক্ষাসামগ্রী বিতরণ, অবকাঠামো উন্নয়নে অনুদান, অসচ্ছল তরুণ-তরুণীদের জন্য কম্পিউটার শিক্ষা, বয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য পবিত্র কোরআন শিক্ষা কার্যক্রম প্রভৃতি ক্ষেত্রে যমুনা ব্যাংকের সিএসআর কার্যক্রম সফল ও সমাদৃত হয়েছে। 

স্বাস্থ্য খাতে সিএসআরের মধ্যে রয়েছে বিনা মূল্যে মেডিকেল ক্যাম্প ও চক্ষুচিকিৎসা ক্যাম্প, হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আর্থিক অনুদান, ডায়ালাইসিস ও ডায়াগনস্টিক কেন্দ্র, ডেন্টাল ক্লিনিক, চক্ষু হাসপাতাল, মাদক নিরাময়কেন্দ্র প্রভৃতি স্থাপন ও কার্যক্রমে সহযোগিতার মাধ্যমে দরিদ্র মানুষের জন্য মানসম্মত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা। বন্যা, ঘূর্ণিঝড়সহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে ত্রাণ ও পুনর্বাসনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে যমুনা ব্যাংক। প্রতিবছর ব্যাংকের উদ্যোগে দেশব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করা হয়। করপোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতার ক্ষেত্রে ‎যমুনা ব্যাংকের এসব কাজের জন্য ব্যাংকটি একাধিক আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিও পেয়েছে।

যমুনা ব্যাংক মনে করে, দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে হলে সব শ্রেণির মানুষের আর্থিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করা জরুরি। এ লক্ষ্যে ব্যাংকটি নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ হারে ঋণসুবিধা দেয়। এ ছাড়া ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের জন্য সহজ শর্তে ঋণ বিতরণ করা হয়। দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে ব্যাংকিং সুবিধার আওতায় নিয়ে আসতে যমুনা ব্যাংক গ্রামীণ এলাকায় শাখা সম্প্রসারণ, এজেন্ট ব্যাংকিং ও মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু করেছে। গ্রাহকের আর্থিক অভিজ্ঞতা উন্নত করা ও কাগজের ব্যবহার কমানোর জন্য যমুনা ব্যাংক ই-স্টেটমেন্ট, অ্যাপনির্ভর ব্যাংকিং, ইন্টারনেট ব্যাংকিং ও অনলাইন সেবার প্রসার ঘটিয়েছে। 

প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সুশাসন ও স্বচ্ছতা চর্চার মাধ্যমে কর্মীদের মধ্যে জবাবদিহি, নৈতিকতা ও দায়িত্ববোধ গড়ে তোলার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেয় যমুনা ব্যাংক। প্রতিষ্ঠানটি জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) অনুযায়ী নিজেদের কার্যক্রম পরিচালনা করে। নিয়মিতভাবে পরিবেশ, সামাজিক ও সুশাসন (ইএসজি) প্রতিবেদনও তৈরি করছে। যমুনা ব্যাংক ধারাবাহিকভাবে কৌশল ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা চর্চার মধ্যে টেকসই উন্নয়নকে আরও বেশি অন্তর্ভুক্ত করেছে। একই সঙ্গে ব্যাংকের ব্যবসার অগ্রাধিকারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নীতিমালা, পদ্ধতি ও প্রক্রিয়াসমূহ হালনাগাদ করছে।

মোহাম্মদ প্রশান্ত সমির
সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট, যমুনা ব্যাংক 

সম্পর্কিত নিবন্ধ