মাধ্যমিক পর্যায়ের পাঠ্যসূচি থেকে ‘জৈব বিবর্তন’ (ডারউইনের মতবাদ) তত্ত্ব বাদ দিতে অনুরোধ জানিয়ে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। ঢাকার খিলক্ষেতের বাসিন্দা ও দুই শিক্ষার্থীর অভিভাবক মো. আরিফের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম সারোয়ার হোসেন আজ রোববার রেজিস্ট্রি ডাকযোগে এই নোটিশ পাঠান।

শিক্ষা উপদেষ্টা, শিক্ষাসচিব এবং জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান বরাবর এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে। আগামী বছর থেকে নবম ও দশম শ্রেণির বিজ্ঞান ও জীববিজ্ঞান বইয়ে ‘জৈব বিবর্তন’ তত্ত্ব বাদ দিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে নোটিশে।

নোটিশে বলা হয়, জাতীয় শিক্ষাক্রমে নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষায় ‘জৈব বিবর্তন’ শিক্ষাক্রমের অংশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত। নবম ও দশম শ্রেণির বিজ্ঞান বইয়ের বিজ্ঞান অধ্যায়ে ‘পৃথিবীতে জীবনের উৎপত্তি ও বিকাশ’ এবং জীববিজ্ঞান অধ্যায়ে ‘জীবের বংশগতি ও জৈব অভিব্যক্তি’ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। শিক্ষাক্রমে বিষয়টি অন্তর্ভুক্তি নিয়ে বহু বিতর্ক, তর্ক ও মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছিল। এ নিয়ে জাতীয় সংসদেও বিতর্ক হয়েছিল।

পরে আইনজীবী সারোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, মাধ্যমিক পর্যায়ে কেমব্রিজ শিক্ষাক্রমে ‘ও’ লেভেল পর্যন্ত বিবর্তনবাদ তত্ত্ব পড়ানো হয় না। তুরস্ক, ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য, দক্ষিণ কোরিয়া, সৌদি আরব ও ওমানসহ অনেক দেশের মাধ্যমিক পর্যায়েও পড়ানো হয় না। ২০২৬ সালের নবম ও দশম শ্রেণির বিজ্ঞান ও জীববিজ্ঞান বইয়ের পাঠ্যসূচি থেকে ‘জৈব বিবর্তনবাদ’ তত্ত্ব তথা ডারউইনের মতবাদ বাদ দিতে অনুরোধ জানিয়ে ওই আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: নবম ও দশম শ র ণ র তত ত ব

এছাড়াও পড়ুন:

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি নির্বাচনে হামলা ও জালিয়াতির অভিযোগে মামলা

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৩-২৪ মেয়াদের নির্বাচন ঘিরে সন্ত্রাসী হামলা, ভোট জালিয়াতি, মারধর, হত্যাচেষ্টা ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস ও সাবেক কয়েকজন পুলিশ সদস্যসহ ৭৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

বুধবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালেদ মনসুর প্রথম আলোকে বলেন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি নির্বাচনে হামলার অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে। তদন্ত করে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শাহবাগ থানায় দায়ের করা এজাহার অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ১৪ মার্চ সন্ধ্যায় নীল প্যানেলের প্রার্থী ও সমর্থকেরা জানতে পারেন, আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবীরা গোপনে ব্যালটে সিল মারছেন। প্রতিবাদ করতে গেলে কয়েকজন আইনজীবী মারধরের শিকার হন। পরদিন ১৫ মার্চ সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত সমিতির অডিটরিয়ামে প্রায় ৪০-৫০ জন আইনজীবী ও শতাধিক পুলিশ সদস্য জোরপূর্বক প্রবেশ করে বিএনপি–সমর্থিত প্রার্থী ও ভোটারদের ওপর হামলা চালান।

এ সময় মাহবুব উদ্দিন খোকন, রুহুল কুদ্দুস কাজল, মাহদিন চৌধুরীসহ বহু প্রার্থী ও সদস্য গুরুতর আহত হন। নারী আইনজীবীদেরও মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ রয়েছে। রাইফেলের বাঁট, লাঠি ও বুটের আঘাতে কয়েকজন আইনজীবী রক্তাক্ত জখম হন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।

এজাহারে আরও বলা হয়েছে, আইনজীবী রাসেল আহম্মেদ, ইব্রাহিম খলিল, সালাউদ্দিন রিগানসহ প্রায় তিন শতাধিক আইনজীবীকে লাঠি, রাইফেলের বাঁট ও বুটের আঘাতে আহত করা হয়। এ ছাড়া ভবনের বিভিন্ন কক্ষ ভাঙচুর, কাচ ভেঙে ফেলা, পুলিশের প্রবেশে সহযোগিতা, সাংবাদিকদের ওপর হামলারও অভিযোগ রয়েছে। আজকের পত্রিকা, জাগো নিউজ, মানবজমিন, এটিএন বাংলা, সময় টিভি, ডিবিসি নিউজ ও বৈশাখী টিভির অন্তত ২৫ জন সাংবাদিক গুরুতর আহত হন।

বাদীর দাবি, তৎকালীন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিনের প্রত্যক্ষ মদদে পুলিশ সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে প্রবেশ করে তাণ্ডব চালায়। নির্বাচনের দ্বিতীয় দিন ১৬ মার্চও ভয়ভীতি ও কারচুপির অভিযোগ ওঠে। অবশেষে রাতে জাল ব্যালটের মাধ্যমে ১৪ জনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আইনজীবী সমিতির নির্বাচন : প্রার্থীরা ঘুরছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বার
  • অস্ট্রেলিয়ায় চার দিনের ম্যাচ, যাঁরা আছেন বাংলাদেশ ‘এ’ দলে
  • হুমায়ূন-আনোয়ার প্যানেলের প্রচারণায় মুখর আদালতপাড়া 
  • সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের জামিন ও মামলা বাতিলের আবেদনের শুনানি পেছাল
  • সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি নির্বাচনে হামলা ও জালিয়াতির অভিযোগে মামলা
  • আদালত প্রাঙ্গণে আগ্নেয়াস্ত্র, বিস্ফোরক ও মাদক বহনে নিষেধাজ্ঞা