আবার অপেক্ষা করছি। কিসের এত অপেক্ষা আমার? এ কোথায় শুয়ে আছি? কোনো এক জলপ্রপাতে কি? কী জানি, হয়তো আসলেই জলপ্রপাত!
বাঁদিকের জানালা দিয়ে খুব অল্প আলো ঢুকছে ঘরে! জানালাগুলো সব সময় বাঁদিকে হয়! কে জানে, হয়তো বাঁদিকে ঘরেরও একটা হৃদয় থাকে।
চোখ বন্ধ। কোনো কিছুই খুব ভালো বুঝতে পারছি না। আসলে চোখ খুলে জলপ্রপাত দেখে ফেলব, ঠিক অতটা সাহস নেই আমার।
অপেক্ষা করছি।
পায়ে পা পেঁচিয়ে খুব বেশি করে চাচ্ছি একদম ভেসে যেতে। অনেক জলের ভেতর। থরথর করে কাঁপছে শরীর। আমার হাত ও পায়ের পাতাগুলো সাদা কঙ্কালের মতো ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে। ঠোঁট আর ভেজা নয়। গলা শুকিয়ে কাঠ।
আর কিছুতেই কিছু সহ্য করতে পারছি না। কেন এত কষ্ট হচ্ছে আমার? দম বন্ধ হয়ে আসছে। আর অল্প অপেক্ষা করলে আমি জানি একদম ঝুরঝুর করে ভেঙে পড়বে আমার পুরো কঙ্কাল শরীর। অমনই তো সব সময়। মানুষকে মুঠো করে যত জোরে চেপে ধরতে যাই, সে তো আঙুলের ফাঁক দিয়ে বালুর মতোই ঝরে পড়ে।
এবং হঠাৎ দেখি জানালা দিয়ে অনেক আলো এসে এক লাফ দিয়ে ঘরে ঢুকে পড়েছে। আসলে ওগুলো আলোর ধুলা। মিছিল করে একটু সুযোগ পেলেই একেবারে অস্তিত্বের ভেতর ঢুকে পড়ে, ভাঙাচোরা ছোট ছোট স্বপ্নের মতো।কনভেয়ার বেল্টের ওপর দিয়ে যৌবনটা চলেছে.
এবং হঠাৎ দেখি জানালা দিয়ে অনেক আলো এসে এক লাফ দিয়ে ঘরে ঢুকে পড়েছে। আসলে ওগুলো আলোর ধুলা। মিছিল করে একটু সুযোগ পেলেই একেবারে অস্তিত্বের ভেতর ঢুকে পড়ে, ভাঙাচোরা ছোট ছোট স্বপ্নের মতো। শরীরটাকে ফেলে রেখে আকুল হয়ে কোনোমতে বাইরে তাকিয়ে দেখি, ‘ওমা, এ কী! পাশের মরা রেডবাডগাছটা পেঁচিয়ে অনেক নীল রঙের মর্নিং গ্লোরি ফুটে আছে। কোনো কুয়াশা নেই। ভোর হয়ে গেছে।’
এদিকে নিজের দিকে তাকিয়ে সে তো আরেক কাণ্ড! আমি তো জেগেই আছি, পুরো জীবন কিছুটা আচ্ছন্ন হয়ে। তবু কোনো কারণ ছাড়াই অসম্ভব জোরে কেন যেন ঘড়ির অ্যালার্ম বেজে উঠল। আহা রে, জীবনটাতে কারখানার মতো কেবলই ঘণ্টা বেজে চলেছে। পড়িমড়ি নামতে গেলাম বিছানা থেকে। কোথায় স্যান্ডেল, কোথায় কী। হোঁচট খেয়ে পড়লাম।
কোনোমতে নিজের শরীর, মন সব সামলে রান্নাঘরের দিকে দৌড় দিলাম। জলখাবার বানাতে হবে। বাচ্চা দুটোর স্কুলের লাঞ্চ। স্নো-প্যান্ট, স্নো-বুট, মিটেন, টুপি, ডাউন কোট—কিচ্ছু ভুল করা যাবে না। চারদিকে এত বেশি সাদা বরফ জমে আছে! ওদের সোনালি চুল, নীল চোখ। আমারগুলোর কালো... লাল, নীল টুপি—বরফের ওপর ওটুকুই তো রং।
কী অসম্ভব পাপহীন সকাল! অসহায় শিশুর মুখের মতো। আমি ভাবলাম, কী জানি হয়তো বরফ গলে গেছে। বাইরে ঘাসে পা ডুবিয়ে একটু হাঁটি। অনেক হলুদ রঙের ড্যানডিলাইন ফুটে আছে। সাদা সাদা ক্লোভার। শিশিরে ভেজা পা নিয়ে কী করব ভাবছি, ঠিক তখন দেখি কোথা থেকে উড়ে এসে জুড়ে বসলে তুমি। হঠাৎ। এমনও হয় নাকি?
এবং এসেই কথা নেই বার্তা নেই, বলতে শুরু করে দিলে, ‘এমন বাচ্চা মেয়ের মতো কাঁদছিস কেন রে, সোনামণি?’ আমি যে আসলে ঘরের দরজা বন্ধ করে সত্যিই ভীষণ রকম কাঁদছিলাম, তোমাকে কে যে সেই খবর দিল!
অথচ এমন তো সবারই হয়। খুব ছোটবেলায় স্বপ্ন থাকে। আর বড়বেলায়—স্বপ্নের মরে যাওয়া। নতুন কোনো গল্প তো নয়। বুকের কাছটা ব্যথা করে। গলার কাছটা ধরে আসে। বাচ্চাকাচ্চা মানুষ করতে করতে, তারপর একসময় সবকিছু সয়ে যায়।
আমি হাঁটছি। একা। কেননা কাশফুলের ভেতর দিয়ে তোমার হাত ধরে হেঁটে যাওয়ার মতো ঠিক অতটা জায়গা নেই। জীবনের পথগুলো খুব চওড়া তো আর হয় না!
তবু তুমি অকারণই বলে চলেছ, ‘ছোটবেলা ছাড়া আর কিছুই নেই আমাদের। একসঙ্গে। তাই সেটুকু আর কিছুতেই ভোলা গেল না। কত বৃষ্টি হল তারপর—তবু! ’
ছেলেদের পকেট ভর্তি থাকতে হয় ডাংগুলি, গুলতি, চকমকে তলোয়ার, এককোপে যেন সব দৈত্যদানোর মুণ্ডু কেটে ধুন্ধুমার কাণ্ড বাধিয়ে দিতে পারে! তা না, গেঞ্জির কোচর ভরে শিউলি ফুল কুড়িয়েছ।একবার শুধু দেখা হয়েছিল। কী একটা অকাজে ব্যস্ত ছিলে তুমি। পাড়ার বন্ধুরা অপেক্ষা করছিল, তোমারও যাওয়ার তাড়া ছিল। কী জানি হয়তো কৃষ্ণচূড়ার খোদলে দোয়েলের বাসা খুঁজে পেয়েছিলে। বাসায় নতুন বাচ্চা, একটা না ফোটা ডিম। মা পাখিটা মারা গেছে। নতুন জীবনের নেশা মরণের চেয়ে সব সময়ই বেশি শক্তিশালী হয়।
এত দিন পর আবার তোমাকে দেখে ভীষণ হাসি পেল আমার। কী একটা চেহারা, সত্যি! বড় বড় চোখ, এলোমেলো চুল বাতাসে উড়ছে। সাদা স্যান্ডো গেঞ্জির কোচর ভরে শিউলি ফুল। হাফপ্যান্টটা হাঁটুর ওপরে। ধুলাভর্তি খালি পা। দৌড়াচ্ছ। বাসাতে ফিরতে হবে তাড়াতাড়ি, নয়তো ফুলগুলো শুকিয়ে যাবে।
কী করবে এত ফুল দিয়ে? ছেলেরা কি মালা গাঁথে, পুতুল খেলে, কিংবা রান্নাবাটি? কিন্তু তুমি আবার এমনই মেয়ে মেয়ে ধরনের একটা ছেলে যে সব খেলে বসে আছ। দৌড়ে ফার্মগেটের কাছের ওই রেললাইনের কাছে যাচ্ছ। দশ পয়সা ছুড়ে দিয়েই ভোঁ–দৌড়। আর ট্রেন চলে গেলেই জীবনের সব কটা দশ পয়সা চ্যাপটা হয়ে গিয়ে রুপালি রাংতা।
এক নম্বরের বোকা তুমি। কী করবে বলো তো ওই সব ট্রেনের নিচে চ্যাপটা হয়ে যাওয়া দশ পয়সাগুলো দিয়ে? ওই রাংতা দিয়েই কি মুকুট বানাবে নাকি আমার? সব বুঝি জমিয়ে রেখেছ, এই এত দিন ধরে?
হায় রে, কীভাবে বোঝাই তোমায়, ছেলেদের এক্কেবারে অমন হতে নেই। ছেলেদের পকেট ভর্তি থাকতে হয় ডাংগুলি, গুলতি, চকমকে তলোয়ার, এককোপে যেন সব দৈত্যদানোর মুণ্ডু কেটে ধুন্ধুমার কাণ্ড বাধিয়ে দিতে পারে! তা না, গেঞ্জির কোচর ভরে শিউলি ফুল কুড়িয়েছ। সারাটা ছোটবেলা। পুরোটা জীবন।
এমন ছেলে দিয়ে কী করব আমি, বলো তো?
একদম অকেজো।
আমি হাঁটছি। কেবলই হাঁটছি। কেননা পথটা এমনই যে হাঁটলে ফুরাবে না, না হাঁটলেও ফুরাবে না। পৃথিবীটা সত্যি কত ছোট! তবু আমি যেখানে যেতে চাই, যাদের কাছে থাকতে চাই, সেই পথ ঈশ্বরের চেয়েও অজানা। সেই পথ তাই কোনো দিনই ফুরায় না।
পথের পাশে শুধু পড়ে থাকে কিছু সবুজ রঙের ডোবা। শেওলা পড়া জল, মরচে পড়া জল, মরুভূমির জল। সব না পাওয়া স্বপ্নের মতো। যেন ওদের কোথাও যাওয়ার নেই। সবাই ওদের কেন যেন ভুলে গেছে। ওরা শুধু পড়ে থাকার জন্য। জলে মরচে পড়ে, নাকি জলই মরচে পড়ায়?
কিছু প্রশ্ন থাকে যেগুলোর কোনো উত্তর হয় না। কিছু উত্তর থাকে যা মরলোকের মতো শুধু ভাসতে থাকে। ঠিক ডোবাগুলোর জলের ওপরে। এতটাই নিচে নেমে আসে যে মনে হয় হাতটা একটু বাড়ালেই হয়তো সব ছোঁয়া যাবে। তবু সব প্রশ্ন আর উত্তর ভুলে যাওয়া ছোটবেলার গ্রামের পথে, শীতসন্ধ্যার ধোঁয়া হয়ে আজন্ম বেঁচে থাকে। কিছুই আর পাওয়া হয় না।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন র মত আর ক ছ র ভ তর র ওপর
এছাড়াও পড়ুন:
রাজবাড়ী সরকারি মুরগি প্রজনন খামার জরাজীর্ণ, নষ্ট হচ্ছে কোটির টাকার সম্পদ
জনবলস্বল্পতা ও সংস্কারের অভাবে জরাজীর্ণ রাজবাড়ী সরকারি মুরগি প্রজনন ও উন্নয়ন খামার। ১৪ জনের বিপরীতে এখানে কর্মরত আছেন ৫ জন। খামারে শুরুর দিকে হ্যাচারি চালু থাকলেও ১৯৯৭ সালে বন্ধ হয়ে যায়। সংস্কারের অভাবে মুরগির বাচ্চা পালনের শেডসহ কর্মচারীদের থাকার ঘরটিও জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে আছে। ফলে নষ্ট হচ্ছে কোটি টাকার সম্পদ।
কর্তৃপক্ষের দাবি, প্রয়োজনীয় জনবলের স্বল্পতা, অর্থ বরাদ্দ না থাকা এবং চাহিদার বিপরীতে নিয়মিত বাচ্চার জোগান দিতে না পারায় ওই সরকারি খামারের কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। খামার নামের সঙ্গে ‘প্রজনন’ শব্দটি থাকলেও কার্যক্রম না থাকায় বাচ্চা উৎপাদন সম্ভব হয় না।
খামার প্রতিষ্ঠার সময় চারটি শেড নির্মাণ ও বাচ্চা পালনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় বছরে ২০ হাজার। দুটি শেড পরিত্যক্ত থাকায় লক্ষ্যমাত্রা পূরণ সম্ভব হয়নি। আবদুল লতিফ, পোলট্রি টেকনিশিয়ানখামার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সাধারণ মানুষের ডিম, মাংসের চাহিদা পূরণ ও বেকারত্ব ঘুচিয়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে ১৯৮১-৮২ সালে সরকারি হাঁস-মুরগির খামার স্থাপিত হয়। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন রাজবাড়ীর নতুনবাজার বাসস্ট্যান্ড–সংলগ্ন প্রায় তিন একর জমিতে ওই খামার স্থাপিত হলেও এখন পর্যন্ত খামারে হাঁস পালন হয়নি। পাঁচ বছর আগে সরকারি আদেশে ‘হাঁস’ শব্দটি বাদ দিয়ে ‘সরকারি মুরগি প্রজনন ও উন্নয়ন খামার’ লেখা হয়। মুরগির বাচ্চা পালনে চারটি শেড, প্রশাসনিক ভবন, ব্যবস্থাপকের বাসভবন, অতিথি কক্ষ, বিক্রয়কেন্দ্র, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের আবাসিক ভবন তৈরি করা হয়। খামার প্রতিষ্ঠার পর হ্যাচারি কার্যক্রম (বাচ্চা ফোটানো) ছিল। অবকাঠামোগত সমস্যায় ১৯৯৭ সালে তা বন্ধ হয়ে যায়।
জনবলসংকটে কার্যক্রম অনেকটা স্থবির। খামারের ব্যবস্থাপক হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত মো. কামাল বাশার স্বাক্ষরিত তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির শূন্য পদের তালিকা গত বছরের ১২ মে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালকের (উৎপাদন) কাছে পাঠানো হয়। এতে খামার পোলট্রি ডেভেলপমেন্ট অফিসার, দুজন পোলট্রি টেকনিশিয়ান, একজন অফিস সহকারী এবং একজন নিরাপত্তা প্রহরী রয়েছেন।
এ ছাড়া খামার ব্যবস্থাপকসহ এফএ (ফডার), ইলেকট্রিশিয়ান, ড্রাইভার, পোলট্রি অ্যাটেনডেন্ট, হ্যাচারি অ্যাটেনডেন্ট, নৈশপ্রহরী, এমএলএসএস ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীর পদ শূন্য রয়েছে। ব্যবস্থাপকের পদটি এক যুগ ধরে শূন্য। দীর্ঘদিন শূন্যের পর ২০২২ সালের ডিসেম্বরে পোলট্রি ডেভেলপমেন্ট অফিসার হিসেবে মো. মেহেদী হাসান যোগদান করেন।
চারদিকে দেয়ালঘেরা খামারের মূল ফটক পেরোলে বাঁয়ে প্রশাসনিক ভবন, ডানে বিক্রয়কেন্দ্রসহ একতলা ও টিনশেডের ১৩টি স্থাপনা। বাচ্চা পালনে চারটির মধ্যে দুটি শেড পরিত্যক্ত থাকলেও সম্প্রতি একটি শেড সংস্কার করা হয়। পানির ট্যাংকের খুঁটিতে ফাটল ধরায় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে আছে। ব্যবস্থাপকের বাসভবন ছাড়া তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের আবাসিক ভবন এবং অপর শেডটি জরাজীর্ণ। মাদকসেবীদের উৎপাত থেকে রক্ষায় পরিত্যক্ত অতিথি কক্ষের দরজায় কাঁটাযুক্ত ডালপালা রাখা হয়েছে। দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় জেনারেটর, পানির পাম্প, গাড়িসহ গুরুত্বপূর্ণ মালামাল অকেজো হয়ে গেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সরকারি এই খামারে বাজারের তুলনায় অনেক কম দামে মুরগির বাচ্চা পাওয়া যায়। সাধারণ মানুষ কিনতে আগ্রহী থাকলেও বাচ্চা নিতে এসে অধিকাংশ মানুষ খালি হাতে ফিরে যান।
পোলট্রি টেকনিশিয়ান আবদুল লতিফ বলেন, খামার প্রতিষ্ঠার সময় চারটি শেড নির্মাণ ও বাচ্চা পালনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় বছরে ২০ হাজার। দুটি শেড দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত থাকায় লক্ষ্যমাত্রা পূরণ সম্ভব হয়নি। পরবর্তী সময়ে গত বছর আরেকটি শেড সংস্কার শেষে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ২০ হাজার ১৫০টি বাচ্চা পালন করা হয়। এর আগে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ১২ হাজার ৪০৫টি এবং ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১৪ হাজার ৫৫০টি পালন হয়।
পোলট্রি ডেভেলপমেন্ট অফিসার মো. মেহেদী হাসান বলেন, ‘জনবলসংকট ও জরাজীর্ণ স্থাপনার কারণে কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। ১৮ বছর ধরে বাচ্চা উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। সংস্কার না হওয়ায় তিনটির মধ্যে দুটি শেড প্রায় ১৫ বছর বন্ধ ছিল। সম্প্রতি একটি শেড সংস্কার করা হয়েছে। বছরে ২০ হাজার বাচ্চা পালনের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও ১৩-১৪ হাজার বাচ্চা পালন করা যায়। অন্য জেলা থেকে বাচ্চা সরবরাহ করতে হয় বলে চাহিদা দেওয়ার পরও নিয়মিত পাই না। শেড সংস্কারে অর্থ বরাদ্দ চেয়ে পাইনি। ফলে কোটি টাকার সম্পদ নষ্ট হচ্ছে।’
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক (উৎপাদন) এ বি এম খালেদুজ্জামান বলেন, আপাতত হ্যাচারি চালুর পরিকল্পনা না থাকলেও আগামী অর্থবছরে রাজস্ব খাত থেকে জরাজীর্ণ শেড এবং আবাসিক ভবন সংস্কারের জন্য বরাদ্দ প্রদান করা হবে।