অনলাইন কেনাকাটাকে আরও স্বয়ংক্রিয় ও ঝামেলাহীন করতে গুগলের কেনাকাটার প্ল্যাটফর্মে নতুন কিছু কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাচালিত (এআই) সুবিধা যুক্ত করেছে। সার্চ থেকে শুরু করে পণ্য বাছাই ও কেনাকাটা সব ক্ষেত্রে নতুন সব ফিচার ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা আরও দ্রুত ও স্বচ্ছ করে তুলবে বলে জানিয়েছে গুগল।

নতুন হালনাগাদে দোকানে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফোন করার সুবিধা যুক্ত করা হয়েছে। ব্যবহারকারীর পক্ষ থেকে কাছের দোকানে ফোন করে পণ্যের দাম, প্রাপ্যতা বা সেবাসংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করে পাঠিয়ে দেবে ই–মেইল বা বার্তায়। ফোনকল করতে অস্বস্তিবোধ করা এমন ব্যবহারকারী বা প্রতিবন্ধী ব্যক্তি জন্য এই সুবিধা বিশেষভাবে কার্যকর। কোনো পণ্য কাছাকাছি নিয়ার মি লিখে খোঁজ করলে ‘লেট গুগল কল’ অপশন দেখা যায়। গুগল তখন ব্যবহারকারীর প্রয়োজন জেনে স্বয়ংক্রিয়ভাবে দোকানে কল করে তথ্য সংগ্রহ করে। বর্তমানে অটোমেটিক কল দিয়ে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেওয়া, রেস্তোরাঁর অপেক্ষমাণ সময় জানা ও দাম–সংক্রান্ত তথ্য নিশ্চিত করার সুবিধা চালু রয়েছে। এখন খেলনা, বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ও সৌন্দর্য বৃদ্ধির পণ্য খোঁজার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কিছু অঙ্গরাজ্যে এই ফিচার ব্যবহারের সুযোগ আছে। ইন্ডিয়ানা, লুইজিয়ানা, মিনেসোটা, মনটানা ও নেব্রাস্কায় এখনই এই সেবা চালু হয়নি।

স্থানীয় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান তাদের বিজনেস প্রোফাইলের সেটিংস থেকে স্বয়ংক্রিয় কল গ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। এ ছাড়া গুগল চালু করেছে এআই–নির্ভর চেকআউট সহকারী। এই সেবায় নির্দিষ্ট পণ্যের দাম ও প্রাপ্যতা ট্র্যাক করা যায়। নতুন সেবায় দাম ব্যবহারকারীর নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার নিচে নামলে নোটিফিকেশন পাঠানো হয়। ব্যবহারকারী চাইলে রং, মাপ বা ভ্যারিয়েন্ট অনুযায়ী আলাদাভাবে পণ্যের জন্য সতর্কবার্তা সেট করতে পারবেন। ব্যবহারকারীর অনুমতি পেলে এআই নিজেই গুগল পে ব্যবহার করে পণ্য কিনে দিতে পারবে। কেনার আগে অবশ্যই ব্যবহারকারীর সম্মতি, ঠিকানা ও ডেলিভারি–সংক্রান্ত তথ্য যাচাই করা হয়। প্রথম ধাপে এই সুবিধা যুক্তরাষ্ট্রে সীমিত পরিসরে চালু হয়েছে।

একই সঙ্গে গুগল ভার্চ্যুয়াল ফিটিং রুম চালু করেছে। ব্যবহারকারীরা নিজেদের ছবি আপলোড করে নির্বাচিত পোশাক পরে কেমন দেখাবে, তা এই ফিচারের মাধ্যমে আগেই দেখে নিতে পারেন।

সূত্র:ম্যাশেবল

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স বয় ক র য় ব যবহ র এই স ব

এছাড়াও পড়ুন:

জয়ার ‘কমফোর্ট জোন’ আবির

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত দাপুটে অভিনেত্রী জয়া আহসান। ওপার বাংলাতেও দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। গত এক যুগে ভারতীয় সিনেমায় নিজের শক্ত অবস্থান গড়েছেন। ২০১৩ সালে ‘আবর্ত’ সিনেমা দিয়ে ভারতীয় বাংলা সিনেমায় পা রাখেন জয়া। অভিষেক সিনেমায় সহশিল্পী হিসেবে পান আবির চ্যাটার্জিকে। তারপর অনেক সিনেমায় একসঙ্গে রোমান্সে মেতেছেন এই জুটি।   

মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) আবির চ্যাটার্জির জন্মদিন। এ উপলক্ষে ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে কথা বলেছেন জয়া। অন্যতম সেরা বন্ধুকে নিয়ে নানা তথ্য জানিয়েছেন ‘বিসর্জন’খ্যাত এই অভিনেত্রী।   

আরো পড়ুন:

‘১৫ হাজার সেফটিপিন শাড়িতে লাগালেও, তারা খুঁত বের করবে’

দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে নাম জড়াল নোরার, অভিনেত্রীর কড়া হুঁশিয়ারি

জয়া আহসান বলেন, “ইন্ডাস্ট্রিতে নানা ধরনের মানুষের সঙ্গে কাজ করতে হয়। আবির হলো তাদের মধ্যে অন্যতম। অত্যন্ত নির্ঝঞ্ঝাট একজন মানুষ। ওর সঙ্গে আমার সবচেয়ে বেশি কাজ। আর সবচেয়ে বড় কথা হলো ইন্ডাস্ট্রিতে আমার সবচেয়ে কমফোর্ট জোন আবির। পর্দায় তো আমাদের একসঙ্গে অনেক রোমান্টিক কাজ করতে হয়, ও আমার এতটাই ভালো বন্ধু, এত দুষ্টুমি আর মজার সম্পর্ক ওর সঙ্গে যে, কাজ নিয়ে ভাবতেই হয় না; সবকিছু খুব সহজ হয়ে যায়।” 

মানুষকে কষ্ট দিয়ে কথা বলেন না আবির। এ তথ্য উল্লেখ করে জয়া আহসান বলেন, “আমি কখনো দেখিনি ও কোনো আড্ডায় বা কখনো কোথাও কাউকে নিয়ে সমালোচনা করছে। কেউ কষ্ট পেতে পারে এরকম কথা আমি আবিরকে কখনো বলতে শুনিনি। তাই ওর জায়গা আমার জীবনে অনেকটা উপরে। একটু বেশিই সমালোচনাহীন মানুষ। যদিও মাঝেমধ্যেই একটু টক-ঝাল গল্প হলে সকলেরই খুব ভালোলাগে। তবে ওর মধ্যেও নিশ্চয়ই সেটা আছে, নয় সেটা কেউ খুঁজে পায় না অথবা আমরা দেখতে পাই না।” 

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ঘটনা বর্ণনা করে জয়া আহসান “পুতুল নাচের ইতিকথার জন্য আমরা কিছু দিন আগে যাদবপুর ইউনিভার্সিটিতে গিয়েছিলাম। ওরে বাবা! আবির ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে সে যা হলো। আমাদের দিকে আর কে তাকাবে, আমাদের কথা কারো তখন কান দিয়ে মাথা পর্যন্ত পৌঁছাচ্ছে না। সকলে শুধু ওর দিকেই তাকিয়ে রয়েছে। মুগ্ধ নয়নে সকলে আবিরকে দেখছে। আমিও দেখছিলাম যে, আহা কী অপূর্ব এই দৃশ্য। ওর জন্য অনুরাগীরা কতটা পাগল। এই ভক্তদের সামলে রাখা এবং সবটা এমন যত্নে রাখাও খুব কঠিন কাজ। আবির খুব সুন্দরভাবে সামাল দিতে পারে।” 

“আসলে আবিরের থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। সংসার, কর্মজীবন পাশাপাশি চালিয়ে যাওয়া খুব সহজ কাজ নয়। আবির খুব সুন্দরভাবে পরিবারকে প্রাধান্য দিয়ে সংসার জীবনটা মেইনটেন করে। শুধু তাই নয়, কাজের জায়গাটাও ব্যালান্স করে।” বলেন জয়া আহসান। 

পেশাগত জায়গা ও পরিবার একই সঙ্গে দক্ষ হাতে সামলান আবির। বিষয়টি ব্যাখ্যা করে জয়া আহসান বলেন, “আসলে ওর মতো একজন মানুষকে বন্ধু হিসেবে পাওয়া খুব ভাগ্যের ব্যাপার। ওর অনুভূতি খুব মন থেকেই আসে সেটা যার জন্যই হোক এবং এই বিষয়টা কিন্তু ফেক নয়। আমি চাই, ও যেন সারাজীবন এমনই থাকে। আমরা যা করতে পারিনি বা পারি না সেটাই ও অতি যত্নে করে দেখায়। কত অবলীলায় আমরা বলে ফেলি, কর্মজীবন ও পরিবার একসঙ্গে সামলানো কঠিন, ও সেটা বার বার ভুল প্রমাণ করে দেখিয়েছে।”

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ