মৌলভীবাজারে বিষটোপে ৪৫০ হাঁসের মৃত্যু
Published: 18th, November 2025 GMT
মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলায় বিষটোপ খেয়ে এক খামারির ৪৫০টি হাঁসের মৃত্যু হয়েছে। গত রবিবার (১৩ নভেম্বর) উপজেলার জায়ফরনগর ইউনিয়নের হাকালুকি হাওর পাড়ের গবিন্দপুর গ্রামে হাঁসগুলো মারা যায়। এ ঘটনায় দিশেহারা হয়ে পড়া খামার মালিক চেরাগ আলী জানান, হাঁস মারা যাওয়ায় বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। তার অভিযোগ, দুশমনের দেওয়া বিষটোপ খেয়েই মারা গেছে তার হাঁস।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) সরেজমিনে এই প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হয় চেরাগ আলীর। তিনি জানান, প্রতিদিন সকালে হাওরে হাঁস ছাড়তেন। সারাদিন হাঁসগুলো হাওরের বিস্তৃর্ণ জলাভূমিতে ঘুরে বেড়াত। সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরত।
আরো পড়ুন:
গোপালগঞ্জে গরু চুরি: গণপিটুনে আহত আরেকজনের মৃত্যু
ঝিনাইদহে ট্রেনে কাটা পড়ে নারীর মৃত্যু
তিনি জানান, গত বৃহস্পতিবার সকালেও হাঁস ছেড়েছিলেন। কয়েক ঘণ্টা পর খবর পেয়ে গিয়ে দেখেন, হাঁসগুলো মরে পড়ে আছে জমির আইলে। এ দৃশ্য দেখেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। তার অভিযোগ, জাওরবিল জলাশয়ের ধারে দুশমনের দেওয়া বিষটোপ খেয়েই মারা গেছে তার হাঁস।
স্থানীয়রা জানান, চেরাগ আলী প্রায় ১৪ বছর ধরে হাঁস পালন করছেন। তার খামারে দেশি প্রজাতির ৭০০ হাঁস রয়েছে। বৃহস্পতিবার জমিতে মরে পড়ে ছিল সাড়ে ৩০০ হাঁস। বাড়িতে আনার পর মারা যায় আরো একশটি হাঁস।
স্থানীয়দের দাবি, যেখানে হাঁসগুলো মারা গেছে, সেখানে পরিযায়ী পাখি আসে না। তাদের ধারণা, ইচ্ছে করেই হাঁস নিধনের জন্য বিষটোপ দেওয়া হয়েছিল।
প্রতিবেশী এমরুল ইসলাম বলেন, “হাঁস মারা যাওয়ায় চেরাগ আলী অসহায় হয়ে পড়েছেন।”
আতিক মিয়া বলেন, “হাঁস ছিল চেরাগ আলীর সংসারের ভরসা। এ ঘটনায় সন্দেহের তীর তার প্রতিবেশী একজনের দিকে। তবে, তদন্তে বোঝা যাবে প্রকৃত দোষী কে? এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবেন না চেরাগ আলী।”
জুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুরশেদুল আলম ভূঁইয়া বলেন, “এ ঘটনার কোনো অভিযোগ আমাদের কাছে আসেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা/আজিজ/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অভ য গ চ র গ আল
এছাড়াও পড়ুন:
সাগরপথে মানবপাচারকারী চক্রের ৪ নারী সদস্য আটক
কক্সবাজারের টেকনাফের সাবরাং এলাকায় অভিযান চালিয়ে সাগরপথে মানবপাচারে জড়িত চক্রের চার নারী সদস্যকে আটক করেছে বিজিবি। তাদের কবল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে শিশুসহ আটজনকে। বিজিবি জানায়, উদ্ধার হওয়া সবাই রোহিঙ্গা। তারা কক্সবাজারের বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসবাস করতেন।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) মধ্যরাতে গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন বিজিবির টেকনাফ-২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান।
আরো পড়ুন:
ঢাকাসহ ৪ জেলায় বিজিবি মোতায়েন
মেহেরপুর সীমান্ত দিয়ে ১২ বাংলাদেশিকে ফেরত দিয়েছে বিএসএফ
আটককৃতরা হলেন- টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের পানছড়ি পাড়ার মৃত আফাজ উদ্দিনের স্ত্রী সাহারা খাতুন (৬২), তার মেয়ে জুহুরা (৪৩) ও আসমা (১৯) এবং একই এলাকার আব্দুল মোতালেবের মেয়ে শাবনূর (২০)।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান জানান, সোমবার ভোরে পানছড়ি এলাকার জনৈক আব্দুল মোতালেবের বসতঘরে সাগরপথে মালয়েশিয়া পাচারের জন্য কয়েকজন মানুষকে জড়ো করা হয়েছে এমন খবর পায় বিজিবি। পরে একটি বিশেষ দল সেখানে অভিযান চালায়। বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে কয়েকজন পাচারকারী পালিয়ে গেলেও ওই ঘর থেকে চার নারী পাচারকারীকে আটক করা হয়। আটজন রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করা হয়। তাদের মধ্যে দুইজন শিশু ও ছয়জন নারী।
আটক চার নারী পাচারকারীর বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে টেকনাফ থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান বিজিবির এই কর্মকর্তা।
ঢাকা/তারেকুর/মাসুদ