স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের আওতায় স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীনে দেশের বিভিন্ন পৌরসভায় ৮৯৭টি শূন্য পদে জনবল নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে বিভিন্ন পদের জন্য আগ্রহী ও যোগ্য বাংলাদেশি নাগরিকদের কাছ থেকে অনলাইনে আবেদনপত্র আহ্বান করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। অনলাইনে আবেদন শুরু হবে ২০ নভেম্বর থেকে।

এর আগে গতকাল স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীন জেলা পরিষদসমূহে ৯ম ও ১০ম গ্রেডের ৯৩টি পদে নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।

উল্লেখযোগ্য পদ ও পদসংখ্যা—

১.

পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা (ক শ্রেণি)

পদসংখ্যা: ২৬টি

গ্রেড: ৯ম

২. হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা

পদসংখ্যা: ৩১টি

গ্রেড: ৯ম

৩.সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল)

পদসংখ্যা: ৮৪টি

গ্রেড: ৯ম

৪. মেডিকেল অফিসার

পদসংখ্যা: ১৭৭টি

গ্রেড: ৯ম

৫. শহর পরিকল্পনাবিদ

পদসংখ্যা: ১৬৮টি

গ্রেড: ৯ম

আরও পড়ুনদেশি তরুণদের মধ্যে বাড়ছে লিংকডইনের জনপ্রিয়তা২ ঘণ্টা আগে

৬. সমাজ উন্নয়ন কর্মকর্তা

পদসংখ্যা: ৫৭টি

গ্রেড: ৯ম

৭. উপ-সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল)

পদসংখ্যা: ৭৭টি

গ্রেড: ১০ম

৮. উপ-সহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ)

পদসংখ্যা: ১২২টি

গ্রেড: ১০ম

৯. উপ-সহকারী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক):

পদসংখ্যা: ৮১টি

গ্রেড: ১০ম

১০. পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা (খ শ্রেণি)

পদসংখ্যা: ২০টি

গ্রেড: ১০ তম

স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীনে ৯ম ও ১০ম গ্রেডে ৯৩ পদের আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হবে ২০ নভেম্বর থেকে। ডেল: রাজ

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: সরক র ব ভ গ কর মকর ত পদস খ য প রক শ সহক র

এছাড়াও পড়ুন:

জয়ার ‘কমফোর্ট জোন’ আবির

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত দাপুটে অভিনেত্রী জয়া আহসান। ওপার বাংলাতেও দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। গত এক যুগে ভারতীয় সিনেমায় নিজের শক্ত অবস্থান গড়েছেন। ২০১৩ সালে ‘আবর্ত’ সিনেমা দিয়ে ভারতীয় বাংলা সিনেমায় পা রাখেন জয়া। অভিষেক সিনেমায় সহশিল্পী হিসেবে পান আবির চ্যাটার্জিকে। তারপর অনেক সিনেমায় একসঙ্গে রোমান্সে মেতেছেন এই জুটি।   

মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) আবির চ্যাটার্জির জন্মদিন। এ উপলক্ষে ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে কথা বলেছেন জয়া। অন্যতম সেরা বন্ধুকে নিয়ে নানা তথ্য জানিয়েছেন ‘বিসর্জন’খ্যাত এই অভিনেত্রী।   

আরো পড়ুন:

‘১৫ হাজার সেফটিপিন শাড়িতে লাগালেও, তারা খুঁত বের করবে’

দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে নাম জড়াল নোরার, অভিনেত্রীর কড়া হুঁশিয়ারি

জয়া আহসান বলেন, “ইন্ডাস্ট্রিতে নানা ধরনের মানুষের সঙ্গে কাজ করতে হয়। আবির হলো তাদের মধ্যে অন্যতম। অত্যন্ত নির্ঝঞ্ঝাট একজন মানুষ। ওর সঙ্গে আমার সবচেয়ে বেশি কাজ। আর সবচেয়ে বড় কথা হলো ইন্ডাস্ট্রিতে আমার সবচেয়ে কমফোর্ট জোন আবির। পর্দায় তো আমাদের একসঙ্গে অনেক রোমান্টিক কাজ করতে হয়, ও আমার এতটাই ভালো বন্ধু, এত দুষ্টুমি আর মজার সম্পর্ক ওর সঙ্গে যে, কাজ নিয়ে ভাবতেই হয় না; সবকিছু খুব সহজ হয়ে যায়।” 

মানুষকে কষ্ট দিয়ে কথা বলেন না আবির। এ তথ্য উল্লেখ করে জয়া আহসান বলেন, “আমি কখনো দেখিনি ও কোনো আড্ডায় বা কখনো কোথাও কাউকে নিয়ে সমালোচনা করছে। কেউ কষ্ট পেতে পারে এরকম কথা আমি আবিরকে কখনো বলতে শুনিনি। তাই ওর জায়গা আমার জীবনে অনেকটা উপরে। একটু বেশিই সমালোচনাহীন মানুষ। যদিও মাঝেমধ্যেই একটু টক-ঝাল গল্প হলে সকলেরই খুব ভালোলাগে। তবে ওর মধ্যেও নিশ্চয়ই সেটা আছে, নয় সেটা কেউ খুঁজে পায় না অথবা আমরা দেখতে পাই না।” 

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ঘটনা বর্ণনা করে জয়া আহসান “পুতুল নাচের ইতিকথার জন্য আমরা কিছু দিন আগে যাদবপুর ইউনিভার্সিটিতে গিয়েছিলাম। ওরে বাবা! আবির ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে সে যা হলো। আমাদের দিকে আর কে তাকাবে, আমাদের কথা কারো তখন কান দিয়ে মাথা পর্যন্ত পৌঁছাচ্ছে না। সকলে শুধু ওর দিকেই তাকিয়ে রয়েছে। মুগ্ধ নয়নে সকলে আবিরকে দেখছে। আমিও দেখছিলাম যে, আহা কী অপূর্ব এই দৃশ্য। ওর জন্য অনুরাগীরা কতটা পাগল। এই ভক্তদের সামলে রাখা এবং সবটা এমন যত্নে রাখাও খুব কঠিন কাজ। আবির খুব সুন্দরভাবে সামাল দিতে পারে।” 

“আসলে আবিরের থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। সংসার, কর্মজীবন পাশাপাশি চালিয়ে যাওয়া খুব সহজ কাজ নয়। আবির খুব সুন্দরভাবে পরিবারকে প্রাধান্য দিয়ে সংসার জীবনটা মেইনটেন করে। শুধু তাই নয়, কাজের জায়গাটাও ব্যালান্স করে।” বলেন জয়া আহসান। 

পেশাগত জায়গা ও পরিবার একই সঙ্গে দক্ষ হাতে সামলান আবির। বিষয়টি ব্যাখ্যা করে জয়া আহসান বলেন, “আসলে ওর মতো একজন মানুষকে বন্ধু হিসেবে পাওয়া খুব ভাগ্যের ব্যাপার। ওর অনুভূতি খুব মন থেকেই আসে সেটা যার জন্যই হোক এবং এই বিষয়টা কিন্তু ফেক নয়। আমি চাই, ও যেন সারাজীবন এমনই থাকে। আমরা যা করতে পারিনি বা পারি না সেটাই ও অতি যত্নে করে দেখায়। কত অবলীলায় আমরা বলে ফেলি, কর্মজীবন ও পরিবার একসঙ্গে সামলানো কঠিন, ও সেটা বার বার ভুল প্রমাণ করে দেখিয়েছে।”

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ