বিজ্ঞানকে জয়ের সংকল্পে বরিশালে চলছে বিজ্ঞান উৎসব
Published: 20th, September 2025 GMT
সকাল থেকেই শরতের আকাশে ঝকঝকে রোদ। এমন ঝলমলে পরিবেশে সকালেই শিক্ষার্থীদের ভিড়ে মুখর হয়ে ওঠে বরিশাল ব্রজমোহন বিদ্যালয় (বিএম স্কুল) প্রাঙ্গণ। সঙ্গে ছিলেন অনেকের অভিভাবক। শিক্ষার্থীদের চোখেমুখে আনন্দ-উচ্ছ্বাসের সঙ্গে ফুটে উঠছিল বিজ্ঞানকে জয় করার সংকল্প।
আজ শনিবার সকাল ৯টা থেকে বিএম স্কুল প্রাঙ্গণে শুরু হয় বিকাশ-বিজ্ঞানচিন্তা বিজ্ঞান উৎসবের বরিশালের আঞ্চলিক পর্ব। শুরুতে জাতীয় সংগীতের পর জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোমিন হাওলাদার। এ ছাড়া উৎসবের পতাকা উত্তোলন করেন বিকাশের রেগুলেটরি অ্যান্ড করপোরেট অ্যাফেয়ার্স ডিপার্টমেন্টের ভাইস চেয়ারম্যান সায়মা আহসান ও বিজ্ঞানচিন্তার নির্বাহী সম্পাদক আবুল বাসার। পরে শিক্ষার্থীদের নিয়ে বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন অতিথিরা।
আরও পড়ুন‘বিজ্ঞানমনস্ক হওয়ার প্রত্যয়ে’ রাজশাহীতে বিজ্ঞান উৎসব১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫উৎসবে বরিশালের আঞ্চলিক পর্বে বিভাগটির ৬টি জেলার নিম্নমাধ্যমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় ৭০০ শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। উৎসবে শিক্ষার্থীদের স্ন্যাক্স পার্টনার হিসেবে আছে ড্যান ফুডস লিমিটেড। শিক্ষার্থীরা সেখানে নিজেদের বিজ্ঞান প্রজেক্ট নিয়ে উপস্থিত হয়। তাদের উদ্ভাবিত প্রজেক্টগুলো ঘুরে দেখবেন অতিথিরা। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের জন্য আছে বিজ্ঞানভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতা।
সকাল সাড়ে ১০টায় বিদ্যালয়টির অডিটরিয়ামে শুরু হয় আলোচনা পর্ব। এ পর্বে আরও উপস্থিত ছিলেন বিকাশের রেগুলেটরি অ্যান্ড করপোরেট অ্যাফেয়ার্স ডিপার্টমেন্টের ম্যানেজার মাহবুবুর রহমান, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক খোরশেদ আলম, গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হেনা রানী বিশ্বাস, বিএম কলেজের বোটানি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সুব্রত কুমার দাস, ঝালকাঠি সরকারি কলেজের গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক গৌতম কুমার সাহা ও প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক এম জসীম উদ্দীন প্রমুখ।
শিক্ষার্থীরা উৎসবে নিজেদের বিজ্ঞান প্রজেক্ট নিয়ে উপস্থিত হয়.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব ভ গ র সহয গ বর শ ল
এছাড়াও পড়ুন:
নাচ গান আনন্দে ৪০ বছর পর গোমস্তাপুরে ফিরল ওঁরাওদের কারাম উৎসব
প্রায় ৪০ বছর পর চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার পার্বতীপুর ইউনিয়নের শেরপুর কোঠাডাঙ্গা গ্রামে শুরু হয়েছে ওঁরাও সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী কারাম উৎসব বা ডালপূজা। গ্রামের নারীদের উদ্যোগে আবার চালু হওয়া এ উৎসব ঘিরে সৃষ্টি হয়েছে সম্প্রীতি, আনন্দ আর নাচ–গানের আবহ।
গত বুধবার সন্ধ্যায় আখড়ায় কারামগাছের ডাল পুঁতে পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হয় এ উৎসব। রাতভর চলে নাচ-গান। বৃহস্পতিবার বিকেলে আখড়া থেকে কারাম ডাল তোলা হয়। এরপর মাদল-বাঁশির তালে নেচে-গেয়ে গ্রামের বাড়ি বাড়ি ঘুরিয়ে পুকুরে বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় দুই দিনব্যাপী উৎসব। তবে সেদিনও গভীর রাত পর্যন্ত নারী-পুরুষ ও শিশুরা গান ও নাচে অংশ নেন।
আরও পড়ুনশ্রীমঙ্গলে নাচে-গানে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর করম উৎসব উদ্যাপন০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫বুধবার গোধূলিবেলায় দেখা যায়, ষষ্ঠ শ্রেণির তিন কিশোরী স্নান শেষে ভেজা কাপড়ে ধানগাছ, দূর্বাঘাস, কাদো ফুল ও সুতা দিয়ে কারাম ডাল সাজাচ্ছে। আগের রাত থেকে তারা নির্জলা উপোসে ছিল। অন্যদিকে তিন কিশোর দূরের গ্রাম থেকে খিলকদমের ডাল কেটে নিয়ে আসে। তারাও উপোস করেছিল। নতুন ধুতি পরে তারা ডাল নিয়ে এলে কিশোরীরা ফুল ছিটিয়ে বরণ করে। এরপর নারীদের সঙ্গে নেচে গেয়ে আখড়ায় তিনটি ডাল পাশাপাশি পুঁতে দেওয়া হয়। পূজা শেষে কিশোর-কিশোরীরা বাড়ি গিয়ে উপোস ভেঙে সেজেগুজে আখড়ায় ফিরে আসে।
বরণ করার পরে নেচে-গেয়ে গ্রামে আখড়ায় নিয়ে আসছে কারাম ডাল। বুধবার বিকেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার পার্বতীপুর ইউনিয়নের শেরপুর কোঠাডঙ্গা গ্রামে