এবার ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দিল পর্তুগাল
Published: 20th, September 2025 GMT
ইউরোপের দেশ পর্তুগাল ঘোষণা দিয়েছে, তারা রোববার ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে। গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ থামার কোনো লক্ষণ না থাকায় মধ্যপ্রাচ্যনীতি পরিবর্তনে পশ্চিমা দেশগুলোর তালিকায় সর্বশেষ যুক্ত হলো ইউরোপের এই দেশ।
নিউইয়র্কে আগামী সপ্তাহে অনুষ্ঠেয় জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের আগে পর্তুগালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই ঘোষণা দিয়েছে।
ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া ইতিমধ্যে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। সেই অনুযায়ী তারা প্রস্তুতি নিচ্ছে।
ইসরায়েল এই পদক্ষেপের নিন্দা করেছে। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু দাবি করেছেন, হামাসের ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের হামলার পর এই স্বীকৃতি ‘সন্ত্রাসবাদকে পুরস্কৃত করার’ শামিল।
ইসরায়েলের প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্রও নেতানিয়াহুর যুক্তির সঙ্গে একমত পোষণ করেছে।
চলতি সপ্তাহে যুক্তরাজ্যে রাষ্ট্রীয় সফরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে কথা বলার সময় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, তিনি এই স্বীকৃতির সঙ্গে একমত নন।
জাতিসংঘের ১৯৩টি সদস্যদেশের মধ্যে প্রায় তিন-চতুর্থাংশই ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। ২০১২ সালে ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের পর্যবেক্ষক রাষ্ট্রের (অ-সদস্য) মর্যাদা দেওয়া হয়েছিল।
বিশ্বনেতারা যখন আগামী মঙ্গলবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তখন ইসরায়েলি ট্যাংক ও সেনারা গাজা শহরে স্থল অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন। এই অভিযানের ফলে হাজার হাজার মানুষ পালাতে বাধ্য হচ্ছেন। ইসরায়েলি নৃশংসতায় প্রতিদিনই বিপুলসংখ্যক ফিলিস্তিনি হতাহত হচ্ছেন।
২০২৩ সালে দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাসের নেতৃত্বে চালানো হামলার জবাবে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী গাজায় নির্বিচার হামলা শুরু করে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুসারে, তখন থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলের বর্বর হামলায় হামলায় অন্তত ৬৫ হাজার ১৪১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইসর য
এছাড়াও পড়ুন:
ভারতের ১ শতাংশ ধনকুবেরের সম্পত্তি ৬২ শতাংশ বেড়েছে
ভারতের সবচেয়ে ধনী মুষ্টিমেয় কিছু ব্যক্তির সম্পত্তি গত প্রায় আড়াই দশকে দেড় গুণেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী ‘জি২০’র সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে এমনটাই দেখা গিয়েছে। প্রতিবেদন অনুসারে, ২০০০-২০২৩ সালের মধ্যে দেশের সবচেয়ে ধনী ১ শতাংশ ব্যক্তির সম্পত্তি ৬২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। খবর আনন্দবাজার অনলাইন।
স্বতন্ত্র অর্থনীতিবিদদের নিয়ে তৈরি জি২০ গোষ্ঠীর ‘এক্সট্রাঅর্ডিনারি কমিটি অব ইনডিপেনডেন্ট এক্সপার্টস অন গ্লোবাল ইনইকুয়ালিটি’ এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ওই কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন নোবেলজয়ী মার্কিন অর্থনীতিবিদ জোসেফ স্টিগ্লিট্জ়। এ ছাড়া কমিটিতে রয়েছেন জয়তী ঘোষ, উইনি ব্যানয়িমা, ইমরান ভালোদিয়াসহ অন্যেরা। তাদের প্রতিবেদনে বিশ্বের সার্বিক পরিস্থিতির কথাও উল্লেখ রয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, গত আড়াই দশকে (২০০০-২০২৪) বিশ্বে যত নতুন সম্পত্তি তৈরি হয়েছে, তার ৪১ শতাংশই রয়েছে পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী ১ শতাংশের কব্জায়।
কমিটির নেতৃত্বে থাকা স্টিগ্লিট্জ় এই বিশ্বব্যাপী বৈষম্য নিয়ে সতর্ক করে করে দিয়েছেন। তার মতে, এই বৈষম্য ‘জরুরি’ পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে, যা গণতন্ত্র, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং জলবায়ুগত দিক থেকে উদ্বেগজনক।
জি২০ গোষ্ঠীর ওই প্রতিবেদন অনুসারে, ২০০০-২০২৩ সালের মধ্যে ভারতে সবচেয়ে ধনী ১ শতাংশের সম্পত্তি ৬২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ওই একই সময়ে চীনেও সবচেয়ে ধনী ১ শতাংশের সম্পত্তি প্রায় ৫৪ শতাংশ বেড়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “সম্পত্তির ক্ষেত্রে চরম বৈষম্য কখনো কাম্য নয়। এটি ঠেকানো যায় এবং রাজনৈতিক ভাবে এটিকে বদলানো যেতে পারে।”
এতে জানানো হয়েছে, ২০২০ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী দারিদ্র দূরীকরণ মন্থর হয়ে গেছে। কিছু কিছু এলাকায় প্রায় থেমে গিয়েছে দারিদ্র দূরীকরণ। কোথাও কোথাও দারিদ্র বৃদ্ধি পেতেও শুরু করেছে। যে দেশগুলোতে আর্থিক বৈষম্য বেশি, সেখানে গণতন্ত্রের অবক্ষয়ের আশঙ্কাও তুলনামূলকভাবে বেশি।
ঢাকা/শাহেদ