রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের হেনস্তা রাকসু নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্র: ছাত্রদল
Published: 20th, September 2025 GMT
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্য কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে আন্দোলনে শিক্ষকদের হেনস্তার শিকার হওয়ার ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। তাদের অভিযোগ, শিক্ষকেরা একটি ছাত্রসংগঠনের গুপ্ত নেতা–কর্মীদের দ্বারা এই ন্যক্কারজনক হামলা ও হেনস্তার শিকার হয়েছেন। এ হামলার ঘটনা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ।
আজ শনিবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলেছেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন।
আরও পড়ুনসহ-উপাচার্যকে আটকে বিক্ষোভ, শিক্ষক-কর্মকর্তাদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের হাতাহাতি৪ ঘণ্টা আগেআজ বিকেলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্য কোটা ফেরানোর প্রতিবাদে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে জুবেরী ভবনে শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের হাতাহাতি ও ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিপ্রক্রিয়ায় পোষ্য কোটা দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষাব্যবস্থায় ন্যায্যতা ও সমতা নিশ্চিতকরণের পথে একটি বড় বাধা হয়ে আছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এই কোটা পুনর্বহালের যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা শিক্ষার্থীদের আকাঙ্ক্ষা ও চিন্তাভাবনার সম্পূর্ণ বিপরীত। এর মাধ্যমে নিতান্তই বঞ্চনা ও বৈষম্য তৈরি হবে। ভর্তিপ্রক্রিয়ায় মেধাই হওয়া উচিত একমাত্র মানদণ্ড। তবে যেকোনো প্রতিবাদের ভাষাই গঠনমূলক ও শান্তিপূর্ণ হওয়া বাঞ্ছনীয়।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্য কোটা অবিলম্বে বাতিল এবং শিক্ষকদের ওপর হামলার দ্রুত বিচার দাবি করেছেন ছাত্রদলের দুই শীর্ষ নেতা। বিজ্ঞপ্তিতে তাঁরা বলেছেন, ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত শিক্ষকেরা একটি ছাত্রসংগঠনের গুপ্ত নেতা–কর্মীদের দ্বারা আজ যে ন্যক্কারজনক হামলা ও হেনস্তার শিকার হয়েছেন, এটা রীতিমতো অভূতপূর্ব। আন্দোলনের নামে শিক্ষকদের গায়ে এভাবে হাত তোলা ও হামলার বিষয়টি কোনোক্রমেই মেনে নেওয়া যায় না। আমরা মনে করি, আজকের এই হামলার ঘটনাটি রাকসু নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: শ ক ষকদ র ছ ত রদল র ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
সিলেটে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে ছাত্র ইউনিয়নের তিন নেতা আটক
সিলেটে এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের তিন নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে সিলেট নগরীর চৌহাট্টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে থেকে তাঁদের আটক করা হয়।
বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সহসভাপতি আনোয়ার হোসেনসহ (সুমন) শ্রমিক সংগঠক ও রাজনৈতিক নেতা–কর্মীদের ‘গণগ্রেপ্তার ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দেওয়ার প্রতিবাদে’ ওই সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছিল।
তিন নেতাকে আটকের তথ্য নিশ্চিত করেছেন মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (মিডিয়া) সাইফুল ইসলাম। তিনি জানান, আটক তিনজন হলেন ছাত্র ইউনিয়নের সিলেট জেলা সংসদের সভাপতি মাশরুখ জলিল, সংগঠনটির শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সংগঠক জুবায়ের আহমেদ ও শান্ত তালুকদার।
সম্প্রতি সিলেটে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলন করছেন শ্রমিকেরা। ওই আন্দোলনে সংগঠক হিসেবে বাসদ ও সিপিবির নেতারা সম্পৃক্ত আছেন বলে অভিযোগ ওঠে।
গত শনিবার (১ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নগরীর আম্বরখানা বড়বাজার এলাকায় বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) কার্যালয় থেকে ২২ নেতা–কর্মীকে আটক করে পুলিশ। এর আগে গত শুক্রবার দিবাগত রাতে নগরের আখালিয়া কালীবাড়ি এলাকার বাসা থেকে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সিলেটের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক নেতা আনোয়ার হোসেনসহ শ্রমিক সংগঠক ও রাজনৈতিক নেতা–কর্মীদের গণগ্রেপ্তার ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দেওয়ার প্রতিবাদে আজ বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে সিলেট নগরীর চৌহাট্টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে ছাত্র ইউনিয়নের তিন নেতাকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ।