দীর্ঘ ৯ বছর পর কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে কাউন্সিলরদের ভোটে সভাপতি পদে মো. শরীফুল আলম এবং মাজহারুল ইসলাম সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচিত দুজনই আগের কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলে ভোট গ্রহণ। পরে গণনা শেষে গভীর রাতে ফলাফল ঘোষণা করেন জাতীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল।

ফলাফলে, সভাপতি পদে মো.

শরীফুল আলম ১৫২২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রুহুল হোসাইন পেয়েছেন ১৯৭ ভোট। এ পদে বাতিল হয় ১২০ ভোট।

সাধারণ সম্পাদক পদে মাজহারুল ইসলাম ১১৫৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল পেয়েছেন ৬১১ ভোট। অপর দুই প্রার্থী সাজ্জাদুল হক ভোট পেয়েছেন ৭টি এবং শফিকুল আলম রাজন ৩০ ভোট পেয়েছেন। এ পদে বাতিল হয় ৩৩টি ভোট।

দুই জন সভাপতি পদপ্রার্থী ও চার জন সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী এ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। জেলার ১৩টি উপজেলার ১৩টি ও ৮টি পৌরসভার ৮টি মিলিয়ে মোট ২১টি ইউনিট কমিটির ২ হাজার ৯০ জন কাউন্সিলর এ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন।

এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টায় জেলা শহরের পুরাতন স্টেডিয়ামে এ ত্রি-বার্ষীক সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন (ভার্চুয়ালি) বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

জেলা বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ২২ নভেম্বর ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে মো. শরীফুল আলমকে সভাপতি ও মাজহারুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়। ওই সময় সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উপস্থিত থাকলেও বক্তব্যের মাধ্যমে শেষ হয়ে যায় সম্মেলন। তিন সপ্তাহ পর কেন্দ্র থেকে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করা হয়।

ঢাকা/রুমন/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ল ইসল ম ব এনপ র

এছাড়াও পড়ুন:

বিএনপি উড়ে এসে জুড়ে বসেনি: মির্জা ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এ দেশে যা কিছু ভালো, সবকিছু দিয়েছে বিএনপি। তাই নানা নির্যাতন-নিপীড়ন করেও দলটিকে কেউ বিলীন করতে পারেনি। এই দল ফিনিক্স পাখির মতো। একে ভেঙে ফেলার ষড়যন্ত্র হয়েছে, কিন্তু সফল হয়নি। বরং ষড়যন্ত্রকারীরাই পালিয়ে গেছে। বিএনপি সেই দল, যারা উড়ে এসে জুড়ে বসেনি।

আজ শনিবার দুপুরে কিশোরগঞ্জের পুরোনো স্টেডিয়ামে জেলা বিএনপির ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে এ কথা বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে জানিয়ে এই নেতা বলেন, বর্তমানে দেশে অনেক ষড়যন্ত্র চলছে এবং মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হচ্ছে বিএনপিকে। যাদের কাল জন্ম হয়েছে এবং যারা একাত্তর সালে ভিন্ন অবস্থানে কিংবা ভিন্ন জায়গায় ছিল—তারাও বিএনপিকে নিয়ে নানা কথা বলে। যা কিছু ভালো, তার সবকিছু বাংলাদেশে দিয়েছে এই বিএনপি। দীর্ঘ লড়াই সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বিএনপি এই পর্যায়ে এসেছে।

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে যে সুযোগ এসেছে এবং নির্বাচনের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার যে সুযোগ তৈরি হয়েছে—তা কাজে লাগাতে হবে। বিএনপি এ জন্য প্রস্তুত।

দেশ গঠনে বিএনপির অবদান তুলে ধরে দলটির মহাসচিব বলেন, শহীদ জিয়া ছিলেন বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছিলেন। এর আগে শেখ মুজিবুর রহমান মাত্র চারটি পত্রিকা চালু রেখে সব পত্রপত্রিকা বন্ধ করে দেন। তরুণদের এ কথাটা জানা দরকার। শহীদ জিয়ার স্বপ্ন ছিল একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ নির্মাণের, আধুনিক বাংলাদেশ গড়ার। সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার জন্য তিনি বিএনপিকে প্রতিষ্ঠা করেন। বাকশাল থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্র নিয়ে আসেন।

কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল আলমের সভাপতিত্বে ও মাজহারুল ইসলামের সঞ্চালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দলটির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম। বক্তব্য দেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ, কোষাধ্যক্ষ এম রাশিদুজ্জামান মিল্লাত, সহসাংগঠনিক সম্পাদক শাহ মোহাম্মদ ওয়ারেছ আলী ও আরেক সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • খুলনায় চাঁদাবাজির অভিযোগে বাড়ি থেকে ধরে এনে পিটুনি, যুবক নিহত
  • বিএনপি উড়ে এসে জুড়ে বসেনি: মির্জা ফখরুল 
  • বিএনপি উড়ে এসে জুড়ে বসেনি: মির্জা ফখরুল
  • সভাপতি পদে বিএনপি, সাধারণ সম্পাদক পদে জামায়াত–সমর্থিত প্রার্থী নির্বাচিত