শিল্পকলায় ‘এস এম সোলায়মান প্রণোদনা’
Published: 21st, September 2025 GMT
একুশে পদকপ্রাপ্ত নাট্যকার, নির্দেশক, সংগঠক, অভিনেতা ও সংগীতজ্ঞ এস এম সোলায়মানের জন্ম ও মৃত্যুকে স্মরণ করে প্রতি বছরের মতো এবারো অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে তার নাট্যদল থিয়েটার আর্ট ইউনিট।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেল সোয়া ৫টায় রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে অনুষ্ঠিত হবে মিথস্ক্রিয় আলোচনা এবং ‘এস এম সোলায়মান প্রণোদনা ২০২৫’।
আরো পড়ুন:
ট্র্যাব স্টার অ্যাওয়ার্ড পেলেন এরশাদ হাসান
রতন থিয়াম মারা গেছেন
আলোচনা পর্বে অংশ নেবেন নাট্যজন নায়লা আজাদ নূপুর, আজাদ আবুল কালাম, বাকার বকুল ও শামীমা শওকত লাভলী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন থিয়েটার আর্ট ইউনিটের ভারপ্রাপ্ত দলপ্রধান সেলিম মাহবুব। পুরো আয়োজনের সমন্বয়ে থাকবেন দলটির প্রধান সমন্বয়ক কামরুজ্জামান মিল্লাত।
বাংলাদেশের নবনাট্য আন্দোলনের অন্যতম প্রতিভাধর নাট্যজন এস এম সোলায়মানের জীবন ছিল সংক্ষিপ্ত—মাত্র ৪৮ বছরের। তবে এই স্বল্পজীবনেই তিনি নাটকে সংগীত সংযোজন ও ব্যঙ্গরসাত্মক নাট্যরীতির মাধ্যমে তৈরি করেছিলেন নতুন ধারা। সমকালীন রাজনীতি, গোঁড়ামি ও স্বৈরতান্ত্রিকতাকে তিনি বিদ্রূপ করেছেন রাজনৈতিক স্যাটায়ারের শক্তিশালী ভাষায়।
প্রায় ৩০টির মতো নাটক রচনা ও রূপান্তর করেছেন, নির্দেশনা দিয়েছেন তারও বেশি। তার উল্লেখযোগ্য নাটকগুলোর মধ্যে রয়েছে—‘খ্যাপা পাগলার প্যাচাল, ‘ইঙ্গিত’, ‘গণি মিয়া একদিন’, ‘আহ্ কমরেড’, ‘ইলেকশন ক্যারিকেচার’, ‘এই দেশে এই বেশে’, ‘কোর্ট মার্শাল’, ‘বার্থ ফ্যান্টাসি’, ‘গোলাপজান’, ‘আমিনা সুন্দরী’ ইত্যাদি।
বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের নির্বাচিত সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে তিনি দুই দফায় দায়িত্ব পালন করেছেন। আর তার নির্দেশিত ‘আমিনা সুন্দরী’ নাটকটি আমেরিকার ব্রডওয়েতে প্রথম বাংলা নাটক হিসেবে মঞ্চায়নের গৌরব অর্জন করে।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জকসু নির্বাচনের সময় এগিয়ে আনার দাবি
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের সময় এগিয়ে আনার দাবি জানিয়েছে জাতীয় ছাত্রশক্তি ও ছাত্র অধিকার পরিষদ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সমন্বয়ে গঠিত ‘ঐক্যবদ্ধ জবিয়ান’ মঞ্চের নেতারা।
বুধবার নির্বাচন কমিশনার জকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাশহীদ রফিক ভবনের নিচে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তাঁরা।
এই তফসিলের নিন্দা জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, স্বচ্ছ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে এ তফসিল বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২২ ডিসেম্বরের পরিবর্তে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানান তাঁরা।
দাবির পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে ঐক্যবদ্ধ জবিয়ান মঞ্চের নেতারা বলেন, পরীক্ষা শেষ হলে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে থাকে না। অন্যদিকে একটি ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীরা ঈদেও বাড়ি যায় না, তাঁদের ছুটি থাকে না। ছাত্রশিবিরকে সুবিধা দিতেই নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পিছিয়েছে বলে দাবি করেন তাঁরা।
এ সময় ঐক্যবদ্ধ জবিয়ান মঞ্চ আরও দুটি দাবি জানায়। দাবিগুলো হলো সব ছাত্রসংগঠনের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে স্বচ্ছ, অংশগ্রহণমূলক ও উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন আয়োজন নিশ্চিত করতে হবে। নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় কোনো রাজনৈতিক দলের হস্তক্ষেপ না থাকার নিশ্চয়তা দিতে হবে।