কুমিল্লার হোমনায় মাইকে ঘোষণা দিয়ে চারটি মাজারে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার দুপুরে উপজেলার আসাদপুর বাজার থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার দুজন হলেন আসাদপুর–নয়াপাড়া গ্রামের আবদুল আউয়ালের ছেলে ইব্রাহীম খলিল (২৪) ও আসাদপুর গ্রামের মৃত আনু মিয়ার ছেলে শহীদ উল্লাহ (৩৩)। আসাদপুরে ওই দুজনের দোকান আছে।

এ বিষয়ে হোমনার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মীর হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, গ্রেপ্তার দুই আসামিকে গতকাল বিকেলে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.

)-কে নিয়ে কটূক্তিমূলক একটি পোস্ট করাকে কেন্দ্র করে গত বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টার মধ্যে উপজেলার আসাদপুর ইউনিয়নের আসাদপুর গ্রামে পৃথক চারটি মাজারে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর ওই দিন রাতে হোমনা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তাপস কুমার সরকার বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করা হলেও তাঁদের সংখ্যা উল্লেখ করা হয়নি।

যে চারটি মাজারে হামলা চালানো হয়েছে, সেগুলো হলো আসাদপুর গ্রামের আলেক শাহের বাড়িতে অবস্থিত তাঁর বাবা কফিল উদ্দিন শাহের মাজার, একই গ্রামের আবদু শাহের মাজার, কালাই (কানু) শাহের মাজার ও হাওয়ালি শাহের মাজার। এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার রাতে হোমনা থানার এসআই তাপস কুমার সরকার বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করা হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কফিল উদ্দিনের ছেলে আলেক শাহের নাতি মহসিনের বিরুদ্ধে গত বুধবার সকালে ফেসবুকে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তিমূলক পোস্ট করার অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় মহসিনকে গ্রেপ্তার করে গত বৃহস্পতিবার সকালে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। এরপর ওই দিন সকালে প্রথমে মহসিনের বাড়িতে হামলা করে কফিল উদ্দিন শাহের মাজার ভাঙচুর করা হয়। এ সময় একটি টিনশেড ও দুটি টিনের বসতঘরে ভাঙচুর শেষে অগ্নিসংযোগ করা হয়। পরে অন্য তিনটি মাজারে হামলার ঘটনা ঘটে।

হোমনা থানার ওসি মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, অভিযুক্ত মহসিনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বৃহস্পতিবার কুমিল্লার আদালতে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেছেন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: মহস ন

এছাড়াও পড়ুন:

শ্রীপুরে মাদক উদ্ধার অভিযানে হামলা, দুই এসআই আহত, বাবা–মা ও দুই ছেলে গ্রেপ্তার

গাজীপুরের শ্রীপুরে মাদকবিরোধী অভিযানে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে পুলিশের দুই সদস্য আহত হয়েছেন। পরে ঘটনাস্থল থেকে ইয়াবা, গাঁজাসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে শ্রীপুর পৌরসভার কেওয়া পশ্চিমখণ্ড এলাকার মসজিদ মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ আজ শুক্রবার দুপুরে বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে জানায়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন কেওয়া পশ্চিমখণ্ড এলাকার আসাদুজ্জামান (৬০), তাঁর স্ত্রী দেলোয়ারা খাতুন (৪৫) এবং দুই ছেলে আশিক (২৩) ও আল আমিন (৩০)।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিযান চালিয়ে আসাদুজ্জামানের বসতঘর থেকে ৪৫টি ইয়াবা ও এক কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। আসাদুজ্জামানকে আটক করার সময় তাঁর স্ত্রী ও দুই ছেলে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে তাঁকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এতে উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল কুদ্দুস ও মনোয়ার হোসেন আহত হন। তাঁরা শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন।

হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার চারজনের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় একটি এবং মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আরেকটি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে শুক্রবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এসব তথ্য নিশ্চিত করে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহম্মদ আব্দুল বারিক বলেন, আহত দুই এসআই চিকিৎসা নিয়েছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নবীজির সময়েই নারীর অধিকার-সম্মান প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল: ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন
  • বৈষম্যবিরোধী মামলায় কুবি কর্মচারী গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ
  • মায়ের কোলে ১১ দিনের নবজাতক, প্রিজন ভ্যানে চেপে কারাগারে
  • গোপালগঞ্জে দু শিক্ষার্থী ছিনতাইয়ের কবলে: ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার
  • সাবেক মন্ত্রী সাইফুজ্জামানের বিদেশে সম্পদের নথি খুঁজতে দুদকের অভিযান, ২৩ বস্তা কাগজপত্র জব্দ
  • কুমিল্লায় ৪ মাজারে হামলা: উসকানিদাতাদের কেউ গ্রেপ্তার হননি
  • শ্রীপুরে মাদক উদ্ধার অভিযানে হামলা, দুই এসআই আহত, বাবা–মা ও দুই ছেলে গ্রেপ্তার
  • ভাঙ্গায় সহিংসতার ঘটনায় এবার ২১ জনের নামে হাইওয়ে থানায় মামলা
  • পুলিশের খাতায় নাম তাঁর রাবেয়া, কারাগারে মর্তুজা