ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (সিপিএল) ১৩তম আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্স। আজ গায়ানায় অনুষ্ঠিত ফাইনালে গায়ানা আমাজন ওয়ারিয়র্সকে ৩ উইকেটে হারিয়েছে নিকোলাস পুরানের নেতৃত্বাধীন নাইট রাইডার্স।

প্রথমে ব্যাটিং করে গায়ানা করে ৮ উইকেটে ১৩০ রান। তাড়া করতে নেমে ১৮ ওভারে লক্ষ্যে পৌঁছায় ত্রিনবাগো। এটি সিপিএলে দলটির পঞ্চম শিরোপা। এর আগে সর্বশেষ ২০২০ সালে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্স।

প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামের ম্যাচটিতে রান তাড়ায় প্রথম দুই ওভারেই ২৫ রান তুলে ফেলেছিল নাইট রাইডার্স। এরপর আচমকার বিনা উইকেটে ৩৩ থেকে ৫৪/৩-এ পরিণত হয় দলটির স্কোর। সুনীল নারাইন পাঁচে নেমে দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করলেও তাঁর ইনিংস খুব একটা স্থায়ী হয়নি। ২ ছক্কার ইনিংস থামে ১৭ বলে ২২ রান করে।

এরপর কাইরন পোলার্ড নেমে ইমরান তাহিরকে ইনিংসের ১৪তম ওভারে তিন ছক্কা মারলে জয় নাগালে চলে আসে রাইডার্সদের। পোলার্ড তাহিরের পরের ওভারে বোল্ড হলেও (১২ বলে ২১ রান) দলকে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন কিসি কার্টি-আকিল হোসেনরা।

এর আগে গায়ানার হয়ে সর্বোচ্চ ৩০ রান করেন ইফতিখার আহমেদ। ডুয়াইন প্রিটোরিয়াসের ব্যাট থেকে আসে ২৫ রানের ইনিংস। নাইট রাইডার্সের হয়ে ২৫ রানে ৩ উইকেট নেন সৌরভ নেত্রবালকার। যা তার দলকে শেষ পর্যন্ত শিরোপাজয়ের ভিত তৈরি করে দিয়েছে।

২০১৭ সাল থেকে টানা চার মৌসুমে সিপিএল চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্স। তবে টানা সাফল্যের পর টানা ব্যর্থতায় ডুবে যায় দলটি। ২০২১ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত মাত্র একবার ফাইনাল খেলা নাইট রাইডার্স অবশেষে পাঁচ বছর পর দেখা পেল পঞ্চম শিরোপার।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

গায়ানা আমাজন ওয়ারিয়র্স: ২০ ওভারে ১৩০/৮ (ইফতিখার ৩০, প্রিটোরিয়াস ২৫; নেত্রবালকার ৩/২৫, আকিল ২/২৬)।
ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্স: ১৮ ওভারে ১৩৩/৭ (হেলস ২৬, মুনরো ২৩, নারাইন ২২; তাহির ৩/৩৪, শামার ২/৯)।
ফল: ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্স ৩ উইকেটে জয়ী।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ত র নব গ স প এল উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

‎১০ জনের কিংস ৪ গোলে উড়িয়ে দিল মোহামেডানকে

মোহামেডান ১–৪ বসুন্ধরা কিংস

ঘুরেফিরে একই ছবি। পার্থক্য শুধু গোলে। গত বছর কিংস অ্যারেনায় চ্যালেঞ্জ কাপ ফাইনালে এক গোলে এগিয়ে থেকেও ৩-১ গোলে হেরেছিল মোহামেডান।

আজ নিজেদের মাঠে একই প্রতিযোগিতায় ১-১ সমতার পর মোহামেডান ম্যাচটা হেরেছে ৪-১ গোলে। ১০ জন নিয়েই জয়ের গল্প লিখেছে মারিও গোমেজের বসুন্ধরা কিংস।

কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে ম্যাচ শুরুর কথা ছিল বেলা আড়াইটায়। শুরু হলো ২টা ৪১ মিনিটে। মাঠ প্রস্তুত করতে সময় লেগেছে ১১ মিনিট বেশি। প্রথমার্ধে দেখা গেল এক অভিনব দৃশ্য—মোহামেডানের ডাগআউটের পাশে মাঠের বাইরে দুজন ঘাস কাটছেন! দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য সেই দৃশ্য আর দেখা যায়নি।

‎প্রথমার্ধে দুই দলই লড়েছে সমানতালে। ১৪ মিনিটের মধ্যে পাল্টাপাল্টি পেনাল্টিতে ১-১ সমতা। এরপর দুই দলই সুযোগ তৈরি করেছে, তবে বলের দখলে এগিয়ে ছিল কিংস।

ম্যাচের সপ্তম মিনিটে ডি-বক্সে দরিয়েলতন গোমেজকে ফাউল করেন মোহামেডানের মেহেদী হাসান। পেনাল্টি থেকে গোল করে কিংসকে এগিয়ে দেন দরিয়েলতন। কিন্তু সেই লিড বেশিক্ষণ টেকেনি।

১৩ মিনিটে মোহামেডানের এলি কেকেকে বক্সে ফেলে দেন তারিক কাজী। সঙ্গে সঙ্গে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি সায়মন হাসান। স্পট কিক থেকে গোল করে মোজাফফরভ ম্যাচে ফেরান মোহামেডানকে।

১-১ সমতার পর জমে ওঠে লড়াই। কিংস বলের দখলে এগিয়ে থাকলেও দুই দলই সুযোগ খুঁজছিল। ২৫ মিনিটে কিংসের রাফায়েল অগুস্তো ফ্রি-কিক নিলেন, ইমানুয়েল সানডে হেড দিলেও লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি। মোহামেডানও কর্নার পেয়েছে, কিন্তু গোলের কোনো সম্ভাবনা জাগাতে পারেনি।

প্রথমার্ধের শেষ দিকে কিংস চাপ বাড়ায়, কিন্তু মোহামেডানের গোলকিপার সুজন হোসেন দারুণভাবে রুখে দেন কয়েকটা আক্রমণ।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই বোঝা যায়, লড়াইটা আরও জমবে। দুই দলই গোলের জন্য মরিয়া। কিন্তু ম্যাচের মোড় ঘুরে যায় ৬৩ মিনিটে। কিংসের সোহেল রানা সিনিয়র মাঝমাঠে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখলেন। ১০ জনের দলে পরিণত হলো কিংস।‎

কিন্তু এরপর যা হলো, সেটা কিছুটা অবিশ্বাস্যই! ১০ জন নিয়ে তিন মিনিটের মধ্যে দুবার গোল করে ম্যাচ নিজেদের করে নেয় কিংস।

‎৭২ মিনিটে এগিয়ে যায় কিংস। সোহেল রানার কর্নার আটকাতে গিয়ে বল শরীরে লেগে সামনে চলে আসে মেহেদী হাসানের। সুযোগ হাতছাড়া করেননি অগুস্তো, বাঁ পায়ের শটে বল জালে জড়ান। এর দুই মিনিট পর স্বাগতিকদের রক্ষণের ভুলে গোল করেন সানডে।

৮৬ মিনিটে মোহামেডানের ভুলে চতুর্থ গোলও পায় কিংস। সানডের বাড়ানো বল থেকে দরিয়েলতন সহজেই জালে পাঠান।

তিন গোলে পিছিয়ে পড়ার পর মাঠে স্মোক ফ্লেয়ার ছোড়েন মোহামেডান সমর্থকেরা। খেলা বন্ধ থাকে পাঁচ মিনিট। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ম্যাচ কমিশনার সুজিত কুমার খেলা আবার শুরু করার নির্দেশ দেন। অতিরিক্ত সময়ের একেবারে শেষ দিকে আবারও স্মোক ফ্লেয়ার ছোড়া হয়, তবে এবার খেলা বন্ধ হয়নি।

গত মৌসুমে কিংস অ্যারেনায় একই প্রতিযোগিতায় মোহামেডানকে ৩-১ গোলে হারিয়ে শিরোপা–উৎসব করেছিল কিংস। সেই ম্যাচেও স্মোক ফ্লেয়ার ছুড়েছিলেন স্বাগতিক দর্শকেরা। ম্যাচের পর যা নিয়ে অনেক সমালোচনাও হয়েছিল।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘ঘেটুপুত্র কমলা’ এখন রড-সিমেন্টের কারবারি
  • পাবনায় সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদে বেড়াবাসীর বিক্ষোভ
  • ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিল যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া
  • রাজশাহীতে মাদ্রাসায় দফায় দফায় শিক্ষার্থীকে নির্যাতন
  • এখন ফাইনালের স্বপ্ন দেখতেই পারে বাংলাদেশ
  • লোকসানে বগুড়ার ‘মধুবন সিনেপ্লেক্স’ বন্ধ 
  • সুপার ফোরে একাধিক বাড়তি ‘সুবিধা’ পাবে ভারত
  • হাত না মেলানো, বর্জনের হুমকি আর ম্যাচ রেফারির ক্ষমাপ্রার্থনা—এরপর সামনে কী
  • ‎১০ জনের কিংস ৪ গোলে উড়িয়ে দিল মোহামেডানকে