চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার চাম্বল বাজারে মঙ্গলবার রাতে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর সমর্থকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, চার দিন ধরে চাম্বল ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের চেয়ারম্যানের বাড়ির পাশে স্লুইসগেটের পানি ছেড়ে দেওয়া নিয়ে বিএনপির সমর্থক আহমদ নূরের এবং জামায়াতের কপিল উদ্দিনের পক্ষের মধ্যে কয়েক দফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার রাতেও বিএনপির লোকজন চাম্বল বাজারে বিক্ষোভ করার সময় জামায়াতের সমর্থকেরাও সেখানে উপস্থিত হন। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বিএনপির পক্ষের মিজান নামের এক ব্যক্তি আহত হয়েছেন।

বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘স্লুইসগেটের পানি প্রবেশ নিয়ে কয়েক দিন ধরে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছিল। মঙ্গলবার রাতেও বিএনপি ও জামায়াতের পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে আমরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করি। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।’

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র সমর ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

বিশ্বের যেকোনো আদালতের মানদণ্ডে এই সাক্ষ্যপ্রমাণগুলো উতরে যাবে: চিফ প্রসিকিউটর

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলায় শেখ হাসিনাসহ আসামিদের যে সাজা দেওয়া হয়েছে, পৃথিবীর যেকোনো আদালতে এই সাক্ষ্যপ্রমাণ উপস্থাপন করলে একই শাস্তি পাবেন।

আজ সোমবার দুপুরে রায় ঘোষণার পর এক সংবাদ সম্মেলনে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এ কথা বলেন।

তাজুল ইসলাম বলেন, ‘যে ধরনের সাক্ষ্যপ্রমাণ এই আদালতে উপস্থাপিত হয়েছে, বিশ্বের যেকোনো আদালতের স্ট্যান্ডার্ডে এই সাক্ষ্যপ্রমাণগুলো উতরে যাবে এবং পৃথিবীর যেকোনো আদালতে এই সাক্ষ্যপ্রমাণ উপস্থাপন করা হলে আজ যেসব আসামিকে শাস্তি প্রদান করা হয়েছে, তাঁরা প্রত্যেকেই একই শাস্তি প্রাপ্ত হবেন।’

মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশ সব আন্তর্জাতিক নর্মস, আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ড মেইনটেইন করে ক্রাইমস এগেন্স হিউম্যানিটির মতো কমপ্লেক্স (মানবতাবিরোধী অপরাধের মতো জটিল) অপরাধের বিচার করতে সক্ষম এবং বাংলাদেশ সাফল্যের সঙ্গে সেটা করেছে।’ তিনি বলেন, ‘অপরাধী যতই ক্ষমতাশালী হোক, সে আইনের ঊর্ধ্বে নয়। বাংলাদেশ এমন একটি রাষ্ট্র, যেখানে যত বড় অপরাধীই হোক, তার অপরাধের জন্য তাকে জবাবদিহির মুখোমুখি হতে হবে এবং তার প্রাপ্য শাস্তি পেতে হবে।’

তাজুল ইসলাম আরও বলেন, এই রায়ের প্রক্রিয়া সমাপ্ত হওয়ার মাধ্যমে দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের সমাপ্তি হয়েছে। যদিও আরও অনেকগুলো মামলা বিচারাধীন রয়েছে। তিনি বলেন, ‘শহীদ পরিবার, যাদের ক্ষতি কোনো কিছু দিয়ে পূরণ হবে না, তাদের সামনে অন্তত একটা ন্যায়বিচারের দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পেরেছি। এ জন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ